কর্পূরের ঘ্রাণ
কর্ষণ
গ্রহণ লেগেছে,ফুরিয়ে যাচ্ছে সুর্য্যমুখী দিন।
নক্ষত্রের ঘ্রাণ মেখে আকাশ চেয়ে আছে অনিঃশেষ,
মুছে যাচ্ছে চার দেয়ালের যতি—
নিভে যায় দৃশ্য, দৃশ্যের অপর পারে নিভে আসে মানুষের চোখ।
রাহু কেতু নয়,সূর্য্যকে ঢেকে রাখে নিভন্ত চোখের নদীপথ ক্লান্তি।
নদীপথ ফুরালেই আদিম অরণ্য কথা বলে,
অন্তহীন কথকতা,বুকে তার অনির্বাণ অতৃপ্ত দাবানল।
দিগন্তে বয়ে যায় কর্ষিতা পৃথিবীর অজানিত দীর্ঘশ্বাস।
নিরাকার চোখে আকাশ নদী অরণ্যের এইসব দৃশ্য ভ্রম হতে থাকে।
ডাক
যেইসব পদ্মফুল,ঢাকের বাদ্যি আর কর্পূরগন্ধে ভরা ছিল পুজোমন্ডপ
তাদের স্পর্শেও ছিলো নারীর উষ্ণতা,সজলদৃষ্টি,
অসুরনিধনে ব্যস্ত দশভূজাতেও ছিল তোমাদের অতৃপ্ত লালসা।
ঐ হাতে যতই পুষ্পাঞ্জলি দাও , কি জ্বলন্ত মোমবাতি তুলে নাও,
খণ্ডিত তৃষ্ণা আর বিসর্জনের কাঠামোয় বারবার মনে পড়বে
নিহত মেয়েটিও ধর্ষণের আগে ডেকেছিল,মা,মাগো।।
শিকার
রাত গড়িয়ে পড়ছে ঘাসের ডগায়,শিশিরের ফোঁটায়।
সারা আকাশ জুড়ে নক্ষত্রের ঘ্রাণ …আর তার নীচে অন্ধকার পৃথিবী,
রুদ্ধশ্বাস বাসনার রক্তবীজের দল শিকার খুঁজছে,
রক্ত মদিরায় নৃত্যরত পুরুষালী কাম অথবা পিশাচের অন্ধ তৃষ্ণা!
নরম নারীদেহ, অক্ষত যোনি,মানুষ হবার স্বপ্নমাখা চোখ,
ঘরের বাইরে পা ফেলেনি বেশি,
বিশ্বাস শব্দটা এখনও মায়ের দুধের মত লেগে আছে নরম ওষ্ঠে।
ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরে যাচ্ছে,শেষ হয়ে যাচ্ছে পথ।
অন্তহীন পঙ্গপাল ‘না মানুষে’র সমাজ,
Tags:
একক কবিতা