ঋণ
কেনো তোমার বাবা কাঁদে?
কেনো কাঁদে মা?
কেনো তাঁদের মনোকষ্ট
সময় যে দাওনা।
হিসেব তোমায় দিতে হবে
দিবা রাত্রি যতো,
অবলীলায় সময় তুমি
নষ্ট করো কতো।
ফুফু পায়না দেখা তোমার
কতো বছর ধরে!
খালা তোমায় খুঁজে ফিরে
তন্ন তন্ন করে।
আজকে তোমার চাচার পাশে
বসার সময় নেই!
দৌড়ে গিয়ে উঠতে কোলে
হাতটি বাড়ালেই।
ভেবে দেখো মামার বাড়ি
যাওনা কতোদিন!
তোমার তরে মামার ত্যাগের
শুধবে কবে ঋণ?
দাদী বলেন, নাতি আমার
ভুলে গেলো আজ?
কি জ্বালাতন করতো আমায়
নিত্য সকাল সাঁঝ!
রোগে শোকে কাতর নানী
তোমায় খুঁজে ফিরে,
আজকে তুমি মহাব্যস্ত
স্ত্রী সন্তান ঘিরে।
দাদুর কাছে বায়না তোমার
মন্ডা মিঠাই এনো,
পথটি চেয়ে থাকবো তোমার
মনে থাকে যেন!
রোগে শোকে পড়লে তুমি
আসতো নানা ছুটে,
আপেল আঙ্গুর দেখতে তুমি
নানার পক্ষপুটে।
এখন তোমার হয়না সময়
দাদুর খোঁজটি নেয়ার,
বৃদ্ধ নানার মনোকষ্ট
করোনা তুমি কেয়ার।
মনে রেখো খোদার কাছে
দাড়াবে একদিন,
কড়ায়-গন্ডায় শুধতে হবে
পূর্বসূরীর ঋণ।
এখন তুমি হও সাবধান
সেদিন স্মরণ করে,
সবার ঋণের পাঠ চুকিয়ে
যাও যেন কবরে।