সুমন কুমার সাহু
জীবন কথা –মেলা
আজকে শোনাই গগন রবির জীবন কথা -মেলা
ভোর আকাশে ছোট্ট রবির ছাড়লো জীবন-ভেলা।
স্নিগ্ধ আকাশ মুক্তো বাতাস লাল টুক টুক ছোটন রবি সোনা
বাল্য এযে কাটল সবে গড়িয়ে চলল সকাল বেলা।
পূবের ঘরে কাটল জীবন ঘুচলো ছেলেবেলা
আঠেরো বুঝি এমনি আসে যায়না সময় গোনা।
ছোট্ট ছিলো ভালোই ছিলো ম্লান স্নিগ্ধ হাসি
আপন ভোলা ছেলেবেলা গগন পরবাসী।
মধ্যে থেকে ভিন জগতে তবুও সবার কাছে
ভালোবাসার স্বপ্ন তরী খেলাচ্ছলে মেলে।
চলল রবি চলল সময় একুশ এলো চলে
রক্তে বুঝি তাপ বেড়েছে উঠলো ভরে লালে ।
পড়লো চোখে অপার জগত বাস্তব উঠলো ফুটে
দুনিয়া এখন বদলে গেছে না তাকায় ফিরে।
কিন্তু রবি এথায় তাকায় ওথায় তাকায় চেয়ে
দুনিয়া হতে বিমুখ আজি না-কোনো সম্বল পেয়ে।
আশা ছিলো বড়ো হবে খুব বড় হবে
দুনিয়ার ভাগ্য ফেরে এ বেকার সবে।
শত সাধনার এই তো সাধ রইলো শুধু তেজে
উন্নত শীর জীবনের তীর সবি সর্বহারার দলে।
জীবন কালে দুপুর সবে অপার শক্তি দেহে
সুযোগ না পেয়ে হারিয়ে গেলো সময় চলল গড়ে।
চলল সময় গড়ল জীবন চলল পশ্চিম ঘর
চাইলো না কেউ আপন করে এ বৌ বিনা বর ।
চলল রবি বেকার প্রেমী ধিরে ধীরে ধীরে এক কোনে
জগত এখন সরিয়ে দিলে ওগো তুমি কার সনে!
কবিতায় তুমি
কবিতা তোমাকে জব্দ করেছি আমি
ছন্দ শিকলে বেঁধেছি তোমার ই হৃদয় খানি ।
তুমি ছট পট করো খুলতে বাঁধনের দড়ি
এ বাঁধন শব্দের বন্ধন কেমনে পালাবে তুমি ।
তবু নিজেই কেন পালিয়ে বেড়াই নীল নীলিমা অন্তরালে
অনুভুতি গুলো আসেনা আর কেটে গেছে জীবনের ছন্দে ।
হ্যাঁ, আমি আজ ছন্দ হারিয়ে ভাব লেশহীন
সব-ই তো দিয়েছি তোমায় তুমি অমলিন ।
তোমায় বাঁধতে নিজেই হেরেছি হয়েছি জব্দ অজান্তে
তুমি-ই তো রয়েছো সবার প্রানে আমি আজ নির্বাসনে!
সুখ দুখ
একদিকে তুমি বৃষ্টি দেখ একদিকে আমি কান্না
একদিকে তুমি কবিতায় মাতো একদিকে ভাঙা রান্না ।
একদিকে তুমি মেঘ বাদলায় গান শোনো নির্জনে,
একদিকে আমি চাল আগলায় কে কোথায় চিত্কারে ।
একদিকে তুম একদিকে আমি বৃষ্টির ধারাপাতে
প্রকৃতির মাঝে বাসা বাঁধি পাশাপাশি সুখ দুখে ।
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন