শুক্লা মালাকার

শুক্লা মালাকার

রুপিন পাসের ওপেন বায়স্কোপে 

পাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি
নীচের উপত্যকায় রুপিনের আলপনা
তীব্র নিল আকাশে
কেউ এঁকে রেখেছে অগুনতি চূড়ার কারুকাজ
যেদিকে তাকাই শুধুই পাথুরিয়া কোলাহল
পাথর গড়িয়ে যায় যেভাবে গড়ায় সম্পর্কহীন কাল
এরই মাঝে দলগত ছবি তুলছে এক যুবক
সেলিব্রেট করছে দুই হাত তুলে তাদের উঠে আসা
ছদিনের পরিশ্রম,পোস্টাবে ফেসবুকে
ভালোলাগা কমেন্টসএ ভরে যাবে ইনবক্স।

নীচের সবুজের দেশ থেকে হেলেদুলে উঠে আসে
সুরে ডোবা হিমেল বালক,পিঠে দুমনি লড়াই
সাংলা থেকে ঝাঁকা আমাদের চারদিনের পথ
পেরোবে আজ হাসিমাখা ভারহীন,
অবাস্তব মনে হয়-
মসনদের রদবদল, ধর্মীয় কোঁদল,
সিঁড়ি ভাঙার মতো রিয়্যালিটির অভাব স্বত্বেও
প্রায় ষোলো হাজার ফুটের ওপেন বায়স্কোপে
আমাদেরই দেওয়া সিগারেটের ধোঁয়ায়
ফুঁৎকারে উড়িয়ে দিচ্ছে শহুরে জল্পনা।

অন্তর্জালে নয়, পায়ে পায়ে নিয়ে চলে গেল ওর অপেক্ষার সুদিন
ওই দূরে দিগন্তরেখায় তখন ফুটে উঠেছে কিন্নর কৈলাস।                            
                                           

দীর্ঘতম ফুটপাত

থাকা না থাকার মাঝে কোনো সেতু নেই
এ শুনে জীবন হেসে ওঠে,
প্রতিদিন যে আশার চাদরে জড়িয়ে
প্রেম লালিত হতো পরম প্রশ্রয়ে
সে কি শুধুই ছলনা? কথার নির্যাস?
সাংসারিক খুটিনাটি আর অদৃশ্য অহং-এর আড়ালে
এলিয়েছে দখিনা পলাশ
আগুন পাখির মতো যে প্রণয় দাপিয়েছে
সুখতপ্ত দিন, উড়ে উড়ে পেরিয়েছে বল্গাহীন রাত
তবে কি বিসর্জনে গেছে প্রেমাহারী মন?
তবে কি চুপিচুপি সময় নেমেছে
অনুরাগ মোছা অভিমানে?

না বলা বিষে ভেজা কথাদের পেরিয়ে
দূরত্ব চলেছে ফুটপাত ধরে,
অবয়বহীন দীর্ঘতম ফুটপাত।




    

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.