ধৈর্য্য ধারণ, শিখিয়েছো তুমি
অন্ধকার কালো আধার থেকে
কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে
যখন আলোতে প্রবেশ করলাম
বেড়ে উঠলাম দেখলাম শুনলাম
পুরোনো সাদা কালো ছবি দেখে
সবাই বলতো
তুমি ছিলে অনেক সুন্দরী
আমি দেখেছি সেই ছবিটা
আসলেই তাই, তোমার ছবিটা দেখে
আমি এখনও গর্ববোধ করি
স্নেহ আদর যত্ন ছায়ায় বেড়ে উঠা আমি
অনেক ঋনি হয়ে গেলাম
তোমার সেই সুন্দর চেহারায় আজ
ভাজ পড়ে গেছে
হারিয়ে গেছে সেই কর্ম ক্ষমতা
এই সুযোগে চার দিকে উৎপাতা বিষাক্ত জীবানুগুলি
কামড়ে ধরেছে তোমায়
অস্থির হয়ে পড়েছো ব্যাথা বেদনায়
কাটাচ্ছো বিছানায় শুয়ে শুয়ে
আমি তাকিয়ে দেখি আর দেখি
শব্দ বিহীন কান্না করি আর
নীরবে নয়ন সমুদ্রের নোনা অশ্রু ফেলি
তোমার ক্ষয় হয়ে যাওয়া স্মৃতি শক্তি
আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলে
আরো ভেঙ্গে পড়ি যখন তুমি অবুঝের মতো বলো
' তুমি কে ! ' তোমরা কে '
তোমার কি দোষ
এ তো নিয়মতান্ত্রিক কথা বয়সের কারনে
কোনো সমস্যা নেই
তুমি চেয়ে চেয়ে দেখো
যা বলি তা শুনে শব্দহীন হাসো
এতেই আমি খুশি
একবারে চোখ বন্ধ করো না
তুমি চলে গেলে কার আঁচলের ছায়া তলে থাকবো
তোমাকে আরো সেবার সুযোগ দাও
অনেক ধৈর্য্য আমার
ধৈর্য্য ধারণ , শিখিয়েছো তুমি ।
যেও না চলে
তুমি চলে গেলে
কোথায় পাবো শাড়ির আঁচল
কোথায় পাবো তোমার মিষ্টি হাসি
কে দিবে আমার গালে একটুকরো চুমু
কে শুনাবে ঘুম পাড়ানি গান
কে বলবে চাঁদ মামার গল্প
কে দিবে স্থান নরম বক্ষে
কোথায় পাবো শাসন শিক্ষা
কে খাওয়াবে আহার মুখে তুলে
কতো কষ্ট বেদনা যন্ত্রনা সয়েছো আমার জন্য
তুমি চলে গেলে
কাকে করবো সেবা মনের মতো
কাকে ধরবো জড়িয়ে আনন্দের বার্তা নিয়ে
কাকে দেখাবো সত্যের উজ্জল আলো
কাকে ডাকবো দুঃখ সুখে ' মা '
মাগো তুমি যেয়োনা চলে
বলো না বিদায়
বেঁচে থাকো নিস্পাপ শিশুটির মতো
আমার পাশে মিষ্টি হেসে
যেনো বিলিয়ে দিতে পারি সব কিছু
তোমার সেবায় সীমাহীন ভালোবেসে ।
সুচিন্তিত মতামত দিন