কিছুটা নিচে নামতেই দেখলাম একটা বড় গাছের নিচে ছড়ানো পুঁথির মত চকচকে ছোটো ছোটো ফল,যার কিছুটা লাল আর কিছুটা কালো। সামনে তাকিয়ে দেখলাম, এঁকেবেকে পথ মিশেছে আর একটা উঁচু টিলার পাদদেশে। দু’পাশের ঝোঁপে ছোটো ছোটো রঙিন জঙ্গল ফুল। মুঠোয় ভরতে লাগলাম তাদের আর এগিয়ে চললাম ঐ পথটার শেষে টিলার পাদদেশের দিকে। কেমন যেন একটা থ্রিল অনুভব হচ্ছে মনে। নিচে দাঁড়িয়ে ভাবছি, অভিযাত্রীদের মত পাহাড়ে উঠবো কিন্তু ততক্ষনে পিছনে বাড়ির সবাই এসে হাজির। অগত্যা পিছনের পথ হাঁটা। সূর্য তখন অস্তাচলের পথে। ফিরতে হবে সেই ট্রেনেই কারণ ফেরার সময় আর খালি ট্রাক পাওয়া সম্ভব নয়, তখন ফিরতি পথের প্রতিটি ট্রাকের পিঠে পাথারের বোঝা। আবার টাঙ্গায় চেপে স্টেশনে ফেরা। ট্রেন ফরাক্কা স্টেশনে ঢোকার ঠিক আগেই ক্ষণিক গতি রোধ করে যেন অলিখিত স্টপেজ। ট্রেনের গার্ড,ড্রাইভার সবাই জানে এপথেও কিছু নিত্যযাত্রী আছে এভাবেই ট্রেনথেকে লাফিয়ে নেমে মিশে যায় সড়কপথের সাথে, বেঁছে নেয় যে যার নিজের নিজের ঘরে ফেরার পথ। আমরাও সেই সব নিত্যযাত্রীদের সাথে সঙ্গী হয়ে পা বাড়ালাম ঘরের পথে।
১ম পর্ব পড়ুন