শুক্লা মালাকার
পাহাড় পদাবলী
১।
পাহাড়িয়া কাপড়ের ভাঁজে ফাগুন
চোখে মীনে করা সকাল বলে
এসো,
একদিন থাকো,
কাঠের আগুনে সেঁকে নাও ভিজে মন
উৎখাত করো আত্মার বিষ।
২।
নিঃস্বর্গতার গভীরে ডুব দিয়ে যা পাই
লিখে রাখি ঘাসে,
রামদানার ক্ষেতে হারায় শহর,
মাকড়সার জাল, ক্ষয়ে যাওয়া মানুষ।
পথশ্রম নয়
পাহাড়ি ভিয়েনে শুধুই
ক্ষুদা তৃষ্ণা হীন উৎসব।
৩।
যে সরলতা খুঁজে পাই পাহাড়ের ধাপে
সন্তান ভেবে বুকে তুলি,
স্নেহে, সোহাগে জড়িয়ে
কবিতার মতো কিছু লিখি,
তারপর
আলুথালু শহরের জটিলতার পাশাপাশি দাঁড় করাই।
এ কী উপলব্ধি? না মরণ?
৪।
এক কিন্নরী চেয়েছিল শহুরে পুতুল
তাই সে নেমে আসে একা, নিয়মিত
মেঘ রোদ বরফে
ঝুলন্ত গ্রাম থেকে নীচে
জিসকুনের ডাকঘরে,
ভুল হয়েছিল তার
পোড়া হৃৎপিণ্ডের মলম ও আসে না বহুকাল।
কোন দূর দেশে ভাসছ হে পুতুল!
তোমার হাতেই যে
কিন্নরীর ইহকাল
পরকাল।
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন