নাসির ওয়াদেন
সময় যাপনের পালা
কাটা ছেঁড়া সংলাপগুলো ঘুরছে আকাশের বুকে
বনেদি বাড়ির হলুদ উঠোনে মড়াই-র বাক্য বর্ষণে---
ও চাঁদ ? তুমি কাটা মুণ্ডুর রক্তে ভেজা ধূসর সংলাপ শুনেছো ?
উত্তাপে জমে ওঠে ওম
রক্তবীজ ছড়িয়ে পড়ুক পলল মৃত্তিকায়।
কচি ধান হাসে , নীরবে ফোটে ফুল
হতচ্ছাড়া গান হাওয়াই হাওয়াই
রোশনাই ঝিলকায় ---
বুকের ভেতর নবোদয় সূর্য
সময় যাপনের সংলাপসমূহকে
ছড়িয়ে দিচ্ছে নিরন্ন শ্রমিকের ছিন্ন তাঁবুতে••••
তীব্র শীত, কুমারী উষ্ণতা খোলা জানালায়
স্পর্ধিত রৌদ্র হয়ে উড়ে সাম্যবাদের উলঙ্গ রাস্তায়।।
বিধ্বস্ত বাড়িতে
পৃথিবীর যাবতীয় সুখানুভূতি বিতরিত হয়ে
থাকে আমাদের বাড়ির কেন্দ্র বিন্দু থেকেই
মেঘ টুকরো টুকরো হয়ে ভাঙে আকাশের বুকে
বিন্দু বিন্দু জমা জল থেকে ঝরতো নিত্য আশিস্ ...
আমাদের বাড়ির চিলে কোঠায় দুটো প্যাঁচা
নিবিড় সংসার পাতে ফি-সনে গ্রীষ্মের দাবদাহে
আমার পোয়াতি মেয়েটিকে দেখে পড়শিনী
বলে : প্যাঁচার ডাক কুমঙ্গলের প্রতীক --
তাড়িয়ে দিতে পারিনি কোনদিনই ওদের
ছানাপোনা বড় হচ্ছে আমার নাতির মতন
ছানারা প্রতি রাতে ডাকে মাকে খাবার তাগিদে
মঙ্গলাচরণে কোন আহুতির প্রয়োজন নেই
যেদিন আর এক মেয়ে চলে গেল আমাদের
সেদিন থেকেই প্যাঁচাগুলো আর চিৎকার করে ডাকে না
ওরাও জেনে গেছে, বুঝে গেছে , যেচলে যায়
সে আর ফিরে আসে না ,ফিরবে না কোনদিনও
জীবনের সুখানুভূতিও শুকিয়ে যাচ্ছে বিধ্বস্ত বাড়ির প্রতিদিনই
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন