রত্নদীপা দে ঘোষ
ঈশ্বর , পারমিতা এবং আমরা
শীতকাল এলে আমরা প্রেমে পড়লুম ! আমাদের মধ্যে কেউ দার্শনিক , কেউ প্রোফেসর । কেউ রকগায়ক । আমরা তিনজনেই ঈশ্বরের ফিয়ঁসে পারমিতার প্রেমে পড়লুম !
এক শীতের দুপুরে ঝোপের আড়াল থেকে দেখতে পাওয়া গেল ... আত্রেয়ী নদীর মতো বুক ঝুঁকিয়ে আছে পারমিতা । ইশ্বরের ক্যাথোলিক ঠোঁট । বেলজিয়ামের কামার্ত আয়না অর্ধনগ্ন ... ফুল বাতাসা চন্দন লোভী ঈশ্বর চেটে খাচ্ছেন পারমিতার লিপস্টিক ! ব্রহ্মাণ্ড পাতাল ক্লিভেজ রসাতল ! পুজো - পার্বণের দিনে যেমন উপোষী আকাশ গঙ্গার পাটাতন !
আমাদের মধ্যে যিনি দার্শনিক তিনি বললেন , দেখো সংকল্পের মধ্যে না দাঁড়িয়েও তিনি প্রেম করেন প্রাণীর মতো , পরবাস করেন পশুর মত , আবার ভাঙা জাহাজের মত ধর্মকে দু'হাতে তুলে ধেইধেই করেন সমুদ্রে ! এই গুণ তাঁরই মৌলিকত্ব ! এখানেই তিনি শ্রেষ্ঠ , তাই তিনি ঈশ্বর !
প্রোফেসর বললেন , ওদের দুজনের ঘাম আর গর্জন থেকে এটা স্পষ্ট ঠোঁটের মতো এমন নির্জন আর রহস্যময় উপাদান গোটা সায়েন্স সিলেবাসে নেই । আমি চমৎকৃত ! একে নিয়ে গবেষণা চালিয়ে গেলে অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই জানতে পারা যাবে এই প্রত্যঙ্গটি কিভাবে বিশ্বাসভঙ্গের প্রতীক হতে পারে ......
রকগায়ক বাঁধলেন গান । বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ... ঈশ্বরের অসুখ সম্পর্কিত , পারমিতার বীজাণু বহির্ভূত ! নামদুটি বদলে গেল ... শায়রা খাতুন আর মিথিলেশ বসাক ! গানের শেষ চরণে জানা গেল , শায়রা এবং মিথিলেশ এখনো ঝোপের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসেননি ...
আমাদের কাছে শীত মানে পারমিতার প্রেমে পড়া আর চুমুর শব্দ লক্ষ্য করে ঈশ্বরের পেছন পেছন গ্রীষ্মকালীন পারমিতার দিকে এগিয়ে যাওয়া ......
কোন মন্তব্য নেই:
সুচিন্তিত মতামত দিন