ঘড়ি
সময়কে ঠোঁটে ধরে
দেয়াল ঘড়িটা পথ চলছে
ক্লান্তিহীন টিক্ টিক্ টিক্।
আর আমরা ভুলে গেছি পথ
ফরমালিন পেটে নিয়ে
বসে আছি শূন্যের কোটায়।
আমরা মানুষ! যদিও
মাঝেমধ্যে পশুকেও হার মানাই,
মন খারাপের দিনগুলোতে
ইচ্ছে চোখে ধুলো মেখে
সেই ঘড়ির দিকে চেয়ে থাকি
সময় ট্রেনের অপেক্ষায়।
জীবন যেমন চলে
ভায়োলিনের সুরে আমরা জেগে উঠি
গেয়ে উঠি মৃত্যুর গান
'আনন্দ' আমাদের ঘটি-বাটির মতো
ঝনঝন শব্দে ভেঙ্গে পড়ে অনুভবের দেয়াল।
সম্ভ্রম হারানো কুয়াশায় কৌমার্য খুঁজি সভ্য শহরে
প্রেমের ভেতর কোন গভীরতা নেই জেনেও
অভিশপ্ত ঈশ্বর কে গালি দিয়ে পাড় হই উন্মত্ত নদ।
পাপের ভ্রুণ আমাদের মাথার ভেতর
বুকের ভেতর বেড়ে উঠছে কালসাপ।
নতুন দিন
বিবেককে আবেগের ঘরে বন্দি করে
আমি সব নীরবে সয়ে গেছি একা,
বিষন্ন পৃথিবী দাঁড়িয়েছে ক্ষুধার জ্বালায়
ক্যামেরার চোখে দেখি নর্তকী নাচছে মত্যের নাচ।
দূরে সরে যাই, এ আমার ভয় নয়
খ্যাতির যশে যদি আমি পুড়ে যাই,
এসো তবে রাত হলে আমরা চাঁদ হই
ঠোঁটের আগায় মেলে ধরি নতুন ইতিহাসের পাতা
সভ্যতার কান্না
ডানে আমার স্বপ্ন কন্যা
বামে বেহালার সুর
বাকি সবদিকে আঁধার কালো
সিথানে রাখা আছে ঘুম।
জানালাগুলো সব খুলে দাও
আঁধার করুক আজ খেলা
আলোর খেয়ায় দিচ্ছি পাড়ি
নদীর নেই কোন মানা।
সব ইতিহাস জানতে নেই
কিছুটা খেয়ে ফেলে ঘুনপোকা
ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায় সভ্যতা সব
মানুষ বড়ই বোকা।
নোনা কষ্ট
বুকের ভেতর নোনা কষ্ট রেখে আজকাল হেসেই উড়িয়ে দেই অনেককিছু
স্বার্থের বাণিজ্য করে ঘরে ফিরি ঘাসফুল সন্ধ্যায়
শাদা কাফনের মতো শীত নামলেই আমাদেরও বয়স বেড়ে যায় দেড়গুণ
টাইম মেশিনের কথা ভুলে গিয়ে উঠে পড়ি পঙ্খিরাজ ঘোড়ায়।
এখন চাঁদের পাশে দাঁড়ালেই আমরাও আলোকিত হই
উপহাসের চিরকুটে লিখে রাখি অপ্রাপ্তির ইতিহাস
আমাদের সময়-অসময় নেই বন্ধু তারপরেও
গলা বাড়িয়ে ডাকলেই উৎসাহে যোগদেই তোমাদের মিছিলে।