আব্দুল মাতিন ওয়াসিম

আব্দুল মাতিন ওয়াসিম



১৯১৩ সালে লেখা এই কবিতাটি কবি আশ-শাব্বীর শ্রেষ্ঠ রচনা গণ্য করা হয়। এই কবিতায়, কবি প্রেমিকা ও প্রকৃতিকে একাত্ম করে তুলেছেন। প্রাকৃতিক উপাদানসমূহের আবরণে সৌন্দর্যকে বর্ণনা করার প্রয়াস করেছেন। তাই, এই দীর্ঘ কবিতার আদ্যোপান্তে প্রেমিকা পুষ্পের ও পুষ্প প্রেমিকার রূপ ধারণ করে আছে। 


প্রেমমন্দিরে অঞ্জলি অর্পণ (صلوات في هيكل الحب)
আবুল ক্বাসিম আশ-শাব্বি 


عذْبة ٌ أنتِ كالطّفولة ِ، كالأحلامِ كاللّحنِ، كالصباحِ الجديدِ 
كالسَّماء الضَّحُوكِ كالليلة ِ القمراءِ كالورد، كابتسام الوليدِ 
يا لها من وَداعة ٍ وجمالٍ وشبابٍ مُنَعَّم أمْلُودِ! 
يا لها من طهارة ٍ، تبعثُ التقديـ ـسَ في مهجة الشَّقيِّ العنيدِ!.. 
يالها رقَّة ً تكادُ يَرفُّ الوَرْ دُ منها في الصخْرة ِ الجُلْمُودِ!




তুমি মিষ্টি শৈশবের মতো 
স্বপ্নের মতো মুগ্ধকর
সুললিত তোমার কণ্ঠস্বর 
তুমিই আমার নতুন ভোর 
হাস্যমণ্ডিত আকাশ তুমি 
তুমি জ্যোস্না মাখানো রাত 
গোলাপের মতো তুমি 
যেন নবজাতকের হাসি। 



কি মনোহর তোমার গাম্ভীর্য! আর 
কতই না মনোরম তোমার সৌন্দর্য তোমার যৌবন! 
আর তোমার স্বচ্ছতা জাগিয়ে তলে পবিত্রতা 
হতভাগ্য-অবাধ্যের হৃদয়মাঝে, 
আর তোমার কোমলতাকে সাঙ্গ করে 
ছড়িয়ে দেয় গোলাপ নিজ সুবাস পাথরের বুকে। 


أيُّ شيء تُراكِ؟ هلى أنتِ "فينيسُ" تَهادتْ بين الورى مِنْ جديدِ 
لتُعيدَ الشَّبابَ والفرحَ المعسولَ للْعالم التعيسِ العميدِ! 
أم ملاكُ الفردوس جاء إلى الأر ضِ ليُحييِ روحَ السَّلامِ العهيدِ! 
أنتِ..، ما أنتِ؟ أنتِ رسمٌ جميلٌ عبقريٌّ من فنِّ هذا الوجودِ 
فيكِ ما فيه من غموضٍ وعُمقٍ وجمالٍ مُقَدِّسٍ معبودِ 




তুমি কী?- বলো তো, তুমি কী প্রেম-দেবতা ‘ভেনাস’? 
সৃষ্টি কূলের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছ নতুনভাবে; 
ফিরিয়ে দিতে যৌবন ও অপুর্ব আনন্দ-উল্লাস 
ভারাক্রান্ত ধ্বংসশিল এ বিশ্বের জন্য! 
না কি তুমি কোনো স্বর্গ-পরী? 
এসেছ পৃথীবিতে পুনরুজ্জীবিত করতে 
কাঙ্খিত শান্তির প্রাণকে! 
তুমি..., তুমি কী? কোন বিরল অপূর্ব চিত্র তুমি, 
এই সৃষ্টিজগতেরই কোন শিল্পকলার; 
তোমাতে রয়েছে, যা রয়েছে সৃষ্টির মাঝে- 
গাম্ভীর্য, গভীরতা ও পবিত্র দৈব-সৌন্দর্য। 


أنتِ.. ما أنتِ؟ أنتِ فَجْرٌ من السّحرِ تجلّى لقلبيَ المعمودِ 
فأراه الحياة َ في مونِق الحسن وجلّى له خفايا الخلودِ 
أنتِ روحُ الرَّبيعِ، تختالُ فـ الدنيا فتهتزُّ رائعاتُ الورودِ 
وتهبُّ الحياة سكرى من العِطْر، ـر، ويدْوي الوجودُ بالتَّغْريدِ 
كلما أبْصَرَتْكِ عينايَ تمشين بخطوٍ موقَّعٍ كالنشيدِ  


তুমি... তুমি কী? কোন মায়াবী প্রভাত তুমি, 
আলোকিত করেছ দুঃখে ভারাক্রান্ত হৃদয়কে; 
দেখিয়েছ তাকে জীবনের মনোহর সৌন্দর্য, 
আর তার জন্য উন্মুক্ত করেছ চিরগোপনীয়তার আবরণ।
তুমি বসন্তের প্রান, তোমাতেই হয়ে ওঠে শ্যামলীময় 
এই পৃথিবী আর গোলাপের পাপড়িগুলো হয় উদ্বেলিত; 
শীতল বায়ু প্রবাহিত হয় তোমার সুগন্ধি মেখে 
এবং অস্তিত্ব-মুখরিত করে তোলে এই সংসারকে। 
যখনই চেয়ে দেখে তোমায় এই দুই নয়ন- 
তুমে হেঁটে যাও সঙ্গীতের ছন্দময় গতিতে। 


خَفَقَ القلبُ للحياة ، ورفّ الزّهـ رُ في حقل عمريَ المجرودِ 
وأنتشتْ روحي الكئيبة ُ بالحبِّ وغنتْ كالبلبل الغرِّيدِ 
أنتِ تُحِيينَ في فؤادي ما قد ماتَ في أمسي السعيدِ الفقيدِ 
وَتُشِيدينَ في خرائبِ روحي ما تلاشى في عهديَ المجدودِ 
من طموحِ إلى الجمالِ إلى الفنِّ، إلى ذلك الفضاءِ البعيدِ 

জীবনের জন্য মন আজ ব্যাকুল 
উন্মুক্ত জীবনউদ্যানও পুষ্পশোভিত, 
আর দুঃখী হৃদয় ভালোবাসায় উদ্বেলিত হয়ে 
বুলবুলির ন্যায় গেয়ে চলেছে কতশত গান। 
তুমি... হ্যাঁ তুমিই, তোলো জাগিয়ে যা গেছে হারিয়ে 
সুখময় অতীতের কোনো বিস্মৃত গলিপথে; 
তুমিই পুনর্নির্মাণ করো এ হৃদয়-ধ্বংসাবশেষে 
যা হয়ে গেছে বিলীন কালের করালগ্রাসে- 
সৌন্দর্যের প্রতি, শিল্পের প্রতি, উন্মুক্ত দিগন্তের প্রতি 
আমার সেই উচ্চাকাঙ্খাকে ।

وتَبُثِّين رقّة َ الشوق، والأحلامِ والشّدوِ، والهوى ، في نشيدي 
بعد أن عانقتُ كآبة ُ أيَّامي فؤادي، وألجمتْ تغريدي 
أنت أنشودة ُ الأناشيد، غناكِ إله الغناءِ، ربُّ القصيدِ 
فيكِ شبّ الشَّبابُ، وشَّحهُ السِّحْرُ وشدوُ الهوى ، وَعِطْرُ الورودِ 
وتراءى الجمالُ، يَرْقُصَ رقصاً قُدُسيَّا، على أغاني الوجودِ 



তুমি ছড়িয়ে দিয়েছ আমার কবিতায় 
আগ্রহের কোমলতা ও স্বপ্নের প্রসন্নতা 
গানের মাধুর্য ও প্রেমময়তা; 
অথচ এ চিত্ত পূর্বে দুঃখের জালে ছিল আবদ্ধ 
আর সুর ছিল নিজ কণ্ঠে রুদ্ধ। 
তুমিই সৃষ্টির সেরা গান, গেয়ে চলেছে তোমায় 
গানের ঈশ্বর ও কবিতার প্রভু। 
তোমাতেই পূর্ণতা পায় যৌবন, 
মুড়ে রেখেছে যাকে প্রেম-সঙ্গিত 
গোলাপের সৌরভ ও যাদুর আচ্ছাদন; 
বিকশিত হয়ে সৌন্দর্য মজেছে পবিত্র নৃত্যে 
প্রকৃতির গানের তালে।

وتهادتْ في لإُفْقِ روحِكِ أوْزانُ الأغَاني، وَرِقّة ُ التّغريدِ 
فَتَمايلتِ في الوجود، كلحنٍ عبقريِّ الخيالِ حلوِ النشيدِ: 
خطواتٌ، سكرانة ُ بالأناشيد، وصوتٌ، كرجْع ناي بعيدِ 
وَقوامٌ، يَكَادُ يَنْطُقُ بالألحان في كلِّ وقفة ٍ وقعودِ 
كلُّ شيءٍ موقَعٌ فيكِ، حتّى لَفْتَة ُ الجيد، واهتزازُ النهودِ 


সুরের এ ঝংকার ও সঙ্গীতের কোমলতা 
তোমার অন্তর-দিগন্ত হতে ছড়িয়ে পড়েছে আমার মাঝে 
চমৎকার গানের সুমিষ্ট সুরের ছন্দে 
তুমি হেঁটে চলেছ এই পৃথিবীতে 
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ গানের তালে করে নৃত্য
তোমার কণ্ঠস্বর, যেন দূর থেকে ভেসে আসা বাঁশির সূর 
আর তোমার শরীর প্রতিটি ওঠা-নামায় 
যেন ছন্দবিন্যাসের তাল; 
তোমার প্রতিটি বিষয়ই অপূর্ব ও সজ্জিত 
গ্রীবার উত্তোলন থেকে স্তনের মৃদু কম্পন- সবই। 


أنتِ..، أنتِ الحياة ُ، في قدْسها     السامى ، وفي سحرها الشجيِّ الفريدِ 
أنتِ..، أنتِ الحياة ُ، في رقَّة ِ الفجر في رونق الرَّبيعِ الوليدِ 
أنتِ..، أنتِ الحياة ً كلَّ أوانٍ في رُواءِ من الشباب جديدِ 
أنتِ..، أنتِ الحياة ُ فيكِ وفي عينَيْـ وفي عيْنَيْكِ آياتُ سحرها الممدُودِ 
أنتِ دنيا من الأناشيد والأحْلام والسِّحْرِ والخيال المديدِ 


তুমি..., হ্যাঁ তুমিই জীবন, 
দৈব-পবিত্রতা ও যাদুমাখানো সীমাহিন বিস্ময়তার মাঝে।
তুমি..., হ্যাঁ তুমিই জীবন 
প্রভাতের কোমলতা ও নব বসন্তের সৌন্দর্যের মাঝে।
তুমি..., হ্যাঁ তুমিই জীবন 
প্রাণবন্ত নবযৌবনের স্নিগ্ধতার প্রতিটি মুহূর্তে। 
তুমি..., হ্যাঁ তুমিই জীবন,
তোমার ও তোমার চক্ষুদ্বয়ের মধ্যে বিস্তৃত যাদুর নির্দশন।
তুমি..., হ্যাঁ তুমিই 
আমার গান-স্বপ্ন-মায়া ও বিস্তৃত কল্পনার জগৎ।


أنتِ فوقَ الخيال، والشِّعرِ، والفنِّ وفوْقَ النُّهَى وفوقَ الحُدودِ 
أنتِ قُدْسي، ومَعبدي، وصباحي، وربيعي، ونَشْوَتِي، وَخُلودي 
يا ابنة َ النُّور، إنّني أنا وَحْدي من رأى فيكِ رَوْعَة َ المَعْبُودِ 
فدَعيني أعيشُ في ظِلّك العذْبِ وفي قرْب حُسْنك المشهودِ 
عيشة ً للجمال والفنّ والإلهام والطُّهرْ، والسّنَى ، والسّجودِ 

কল্পনা, কবিতা ও শিল্পের উর্ধে তুমি 
মেধা ও সকল সীমানারও উর্ধে। 
তুমি, হ্যাঁ তুমিই আমার পবিত্রতা, আমার উপাসনা
আমার সকাল, আমার বসন্ত, আমার জীবন, আমার যৌবন। 
আমি, হে আলোককন্যা! শুধু আমিই দেখেছি
তোমার মধ্যে দেবতার জৌলুস।
সুযোগ দাও আমায়, তোমার সুমিষ্ট ছায়াতলে থাকার 
তোমার মোহিত সৌন্দর্য-স্পর্শে জীবনধারণের; 
সৌন্দর্য, শিল্প ও অনুরণনের জন্যে 
পবিত্রতা, আলো ও আনুগত্যের উদ্দেশ্যে 
একটি বার, একটা জীবন... 


عيشة َ النَّاسِكِ البُتولِ يُنَاجي الرّ بَّ في نشوَة ِ الذُّهول الشديدِ 
وامنَحيني السّلامَ والفرحَ الرّو حيَّ يا ضَوْءَ فجْريَ المنشودِ 
وارحَميني، فقدْ تهدَّمتُ في كو نٍ من اليأس والظلام مَشيدِ 
أَنقذِيني من الأَسى ، فلقد أَمْسيـ أَمْسَيتُ لا أستطيعُ حملَ وجودي 
في شِعَابِ الزَّمان والموت أمشي تحت عبءِ الحياة جَمَّ القيودِ 

যেমন করে, সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী 
আনুগত্য করে ঈশ্বরের, 
একাগ্রচিত্তে অবচেতন মনে। 
হে অপেক্ষিত প্রভাত-আভা একটু শান্তি দাও
আমার হৃদমাঝে জাগাও আনন্দ ও উল্লাস। 
একটু অনুকম্পা করো আমায় 
হতাশা ও অন্ধকারে ভরা এই জগতে 
আমি যে ধ্বংসের মুখে। 
উদ্ধার করো আমায় দুর্দশার কবল থেকে 
আমি যে আর পারছিনা বহন করতে 
এই জীবন-বোঝাকে। 
আমি হেঁটে চলেছি সময় ও মৃত্যুর ঘাঁটি দিয়ে 
প্রতিকূলতায়-বেষ্টিত জীবনের চাদর মুড়ে। 


وأماشي الورَى ونفسيَ كالقبرِ، ـرِ، وقلبي كالعالم المهدودِ 
ظُلْمَة ٌ، ما لها ختامٌ، وهولٌ شائعٌ في شكونا الممدودِ 
وإذا ما اسْتخفّني عَبَثُ النَّاس تبسَّمتُ في أسَى ً وجُمُودِ 
بسمة ً مُرَّة ً، كأنِّيَ أستلُّ من الشَّوْك ذابلاتِ الورودِ 
وانْفخي في مَشَاعِري مَرَحَ الدُّنيا وشُدِّي مِنْ عزميَ المجهودِ 

অস্তিত্ব আমার সমাধির ন্যায় অসাড় 
আর হৃদয় যেন বিচূর্ণ পৃথিবীর দোসর 
তবুও হেঁটে চলেছি যুগের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। 
সম্মুখে সীমাহীন অন্ধকার আর 
বিস্তীর্ণ নীরবতার মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে উদ্বেগের রেখাগুলি। 
লোকেদের বিদ্রূপ যখন হেয় করেছে আমায় 
আমি হেসেছি সেই দুঃখ ও স্থবিরতার মাঝেও, 
তিক্ত হাঁসি- যেন কণ্টক-বলয়ের হৃদয় ভেদ করে 
তুলে আনছি কিছু নির্জীব গোলাপ। 
তাই সঞ্চার করো আমার অনুভূতিতে 
পৃথিবীর স্বাচ্ছন্দ, আর দৃঢ় করো 
আমার অবসন্ন আত্মপ্রত্যয়গুলি। 


وابعثي في دمي الحَرارَة ، عَلَّي أتغنَّى مع المنى مِنْ جَديدِ 
وأبثُّ الوُجودَ أنْغامَ قلبٍ بُلْبُليٍّ، مُكَبَّلٍ بالحديدِ 
فالصباحُ الجميلُ يُنعشُ بالدِّفءْ حياة َ المحطَّمِ المكدودِ 
أَنقذيني، فقد سئمتُ ظلامي! أَنقذيني، فقد مللتُ ركودي 
آهِ يا زَهرتي الجميلة ُ لو تَدْرِين ما جَدَّ في فؤادي الوَحِيدِ 


উষ্ণতা ছড়িয়ে দাও আমার রক্তে পুনরায় 
যাতে আকাঙ্খার সুরে গাইতে পারি নতুন গান, 
আর শিকলে বাঁধা বুলবুলির মতো করে 
ছড়িয়ে দিতে পারি পৃথিবীতে হৃদয়ের সুরগুলি; 
যেমন করে ক্লান্ত-ভারাক্রান্ত জীবনকে 
উষ্ণতার সাহায্যে 
সজীব করে তোলে মনোহর সকাল।
আমায় উদ্ধার করো, আমি যে
অন্ধকার ও গতিহীনতায় বিরক্ত। 
আহ! আমার একাকী মনের ভাবনাগুলিকে 
যদি তুমি জানতে, হে আমার মনোহর কুঁড়ি! 


في فؤادي الغريبِ تُخْلَقُ أكوانٌ من السحر ذات حسن فريد 
وشموسٌ وضَّاءة ٌ ونجومٌ تَنْثُرُ النُّورَ في فَضَاءٍ مديدِ 
وربيعٌ كأنّه حُلُمُ الشّاعرِ في سَكرة الشّباب السعيدِ 
ورياضٌ لا تعرف الحَلَك الدَّاجي ولا ثورة َ الخَريفِ العتيدِ 
وَطُيورٌ سِحْرِيَّة ٌ تتناغَى بأناشيدَ حلوة ِ التغريدِ 


কেমন মলিন দেখাচ্ছে আমার চোখে
অপূর্ব সুন্দর এই পৃথিবী- 
উজ্জ্বল সূর্য ও উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে 
আলোয় ঝলমল করছে তারকারাজি; 
আর বসন্ত, যেন আনন্দমুখোর যৌবন-উল্লাসে দেখা
কবির স্বপ্ন; 
এই বাগানগুলি জানেনা নিকষ কৃষ্ণতাকে, 
জানেনা উপস্থিত হেমন্তের বিদ্রোহকেও; 
আর মায়াবী পাখিগুলি সুমিষ্ট গান ও আবৃতিতে 
প্রতিযোগিতা করছে পরস্পরে; 
وقصورٌ كأَنَّها الشَّفَقُ المخضُوبُ أو طلعة ُ الصباحِ الوليدِ 
وغيومٌ رقيقة تَتَادَى كأَباديدَ من نُثَارِ الورودِ 
وحياة ٌ شعريَّة ٌ هي عندي صورة ٌ من حياة ِ أهلِ الخلودِ 
كلُّ هذا يشيدهُ سحرُ عينيكِ وإلهامُ حسْنكِ المعبودِ 
وحرامٌ عليكِ أن تَهْدمي ما شَادهُ الحُسْنُ في الفؤاد العميدِ 



প্রাসাদগুলি দেখতে যেন দিগন্তে ছড়িয়ে থাকা লালিমা 
বা ঊষাকালের প্রথম আলোর সরণি; 
আর আকাশের হাল্কা মেঘগুলি উড়ে বেড়াচ্ছে
বিক্ষিপ্ত গোলাপ-গুচ্ছের ন্যায়।
আর এই কাব্যিক জীবন আমার নিকট 
স্বর্গবাসীদের জীবন-চিত্র।
আর এসবই সৃষ্ট হয়েছে, 
তোমার মায়াবী চক্ষু ও উপাস্য সৌন্দর্যের স্পর্শে।
তাই, এই ক্লান্ত হৃদয়-মাঝে 
সৌন্দর্যের নির্মাণগুলিকে
তুমি ভেঙে দিতে পারো না। 

وحرامٌ عليكِ أن تسْحَقي آمـ ـالَ نفسٍ تصْبو لعيشٍ رغيدِ 
منكِ ترجو سَعَادَة ً لم تجدْهَا في حياة ِ الوَرَى وسحرِ الوجودِ 
فالإلهُ العظيمُ لا يَرْجُمُ العَبْدَ إذا كانَ في جَلالِ السّجودِ 

স্বাচ্ছন্দ জীবনের জন্য লালায়িত হৃদয়কে 
আশাহত করা তোমায় সাজে না; 
যে তোমার কাছেই আশা করে
অস্তিত্বের জাদুময়তায় হারিয়ে যাওয়া সুখ। 
মনে রেখো, সাজদা রত দাসকে 
মহান ঈশ্বর ধ্বংস করেন না।। 


অনুবাদ - আব্দুল মাতিন ওয়াসিম 




Previous Post Next Post