অরণ্যজাত
প্রতিটি সঙ্গমের শেষে
মুঠোয় ভরে রাখি পাপ,
চোখের সামনে অপাপবিদ্ধ
মুখেদের সারি।
এদের আমি বারেবারে ঠকিয়েছি।।
সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসার মুখে
কত নাম তাড়া করে বেড়ায়,
দোষ দিই না।আমি সৃষ্টিছাড়া,
এদের ভালোবাসিনি কখনো।
অথচ এরা তো প্রেমিক ছিল সেদিন।
ছায়াপথে আমি বিশ্বাসী নই
সন্দীপন।
আমাকে বার বার রসাতলে পাঠাও তুমি।
তুমি অরণ্যজাত, তোমার
তীক্ষ্ণ চোখ আমাকে স্বেচ্ছাচারে
বাধ্য করে।
আজীবনের দাসত্বও মেনে নিই
নির্বিকারে।।
অস্তমিত
আজন্ম লালিত প্রেম
বিলিয়ে দিয়েছি বুবুক্ষু দৃষ্টিপাতের কাছে।
যা প্রেম র ভুল করি আসলে তা শরীরে আবর্জনা।
ভীষন ক্ষিদে পায় আমার।
তোমার বাড়ি যাব বলে, এক একদিন রাত হয়ে যায় ফিরতে। আমি পথঘাটে ঘুরে বেড়াই,
হারিয়ে ফেলি ঠিকানা।
এক বিষাদলগ্নে তোমাকে চিনেছিলাম
সূর্যাস্ত বলে।