মানচিত্র
ভারতবর্ষের মানচিত্র এঁকেছিলাম ক্লাশ টেনে,স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে,
সাদা খড়িতে যত্ন করে লিখেছিলাম,
উত্তরে হিমালয়, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর,
মাঝে আসমুদ্র হিমাচল আমার ভারত, আমার দেশ।
তারপর অনেকদিন মানচিত্র আঁকা হয়নি আর ।
যদিও তার কোন যুৎসই ব্যখ্যা কিন্তু আজও আমার কাছে নেই ,
তবুও !চোখের আন্দাজে পার হয়েছি কাঞ্চনজঙ্ঘা, নন্দাদেবী,বিন্ধ্যাচল,
কম্পাসকাঁটা ঘুরেছে পশ্চিম থেকে দক্ষিণ,পূব থেকে উত্তর,
আমিও লঙ্গিচিউড ল্যাটিচিউড খুঁজে চিনে নিয়েছি,
রাজস্থানের বালুময় উষর প্রান্তর থেকে কেরালার সবুজ নারকেলি বন,
চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিস্নাত উপত্যকা ঘুরে মাউন্ট আবু,
পাহাড় আর অরণ্য ডিঙ্গিয়ে গেছি ত্লীক্ষ্নমুখ ছড়ির ডগায়,
কাগজের ওপর দাগ কেটে বনিয়েছি নতুন রাজ্য ছত্তিশগড়,ঝাড়খন্ড,
বদলে যাচ্ছে মানচিত্রের চেনা বিভাজিকা,নদীমুখ, দিগদর্শন।
আমিও লোকের অবুঝ চাহিদায়, রাজনীতির স্বার্থপর দাবার চালে
অনায়াসে পাল্টে যেতে পারতাম ,ভুলে যেতে পারতাম ,
ছোটবেলায় বই পড়ে শেখা সেই শব্দটা
আসমুদ্র হিমাচল ।কিন্তু যাইনি !
বরঞ্চ আবার হাতে নিয়েছি চকখড়ি,
আকাশ ছুঁতে চাওয়া তেরঙ্গার ছায়ায় বসে
একমনে আঁকছি সার্বভৌম প্রজাতান্ত্রিক ভারতের অটুট মানচিত্র।
রাজ্যের সীমানা বদলাচ্ছে,
দেশের মানচিত্রের সাথে খাপে খাপ মিলে যাচ্ছে
রাজ্যের মানচিত্র – সামান্য বিভেদ ছাড়াই,
তাই বলে
আমার দেশের সীমানায় যেন ভুলবশত কালির আঁচড়টাও না পড়ে।
Tags:
কবিতা