এবং প্রেম
পীঠস্থানের জ্যোতির্ময়ে চুপ করে যাই ,
চুপ করে যাই অগ্নি-গিরি , খেয়াল-পরী ;
তিরস্কারে জ্বলে জীবন , চাঁদের আলো ,
দু-চোখ জ্যাঠা , চীনামাটির রূপ দেখাল ।
উপযুক্ত তৃপ্তি আশায় জীবন-ছিলা ,
জটিল , তোমার ব্যতিরেকে ন্যস্ত বরণ ;
সাধারণের হিসাবি-মাস যাত্রীবাহী ,
তৃণভোজীর ব্যঞ্জনাতে আকাশ-মারণ ।
ঘ্রাণেন্দ্রিয় ,টাট্টুঘোড়া - আলোড়নে
স্মৃতির কণা নাকাল করে মুষ্টিমেয় ;
প্রাকৃত সব উপায় যখন সন্তোষী-মা -
জীব-জগতই - আশার ছলে দাবার-স্নেহ ।
বিপদ বুঝে অন্ধকারের নিদ্রা আসে
বিকট আকার যোগ-ত্রয়ের আস্তাবলে ;
অর্পিত সব অশ্বারোহী ভরসা জোগান ,
যদিও তখন গভীর রাতে ব্যাঙ ডাকে না ।
নিঃশব্দ - অশোধিত , উঁচুদরের -
ইস্তাহারের আবেশ লেগে অবাঞ্ছিত ;
উপায় কেবল পাতলা খরচ প্রবৃত্তিতে
যদিও তখন অশ্বারোহীর মান থাকে না ।
প্রাণ থাকে না দাবার স্নেহ অতিক্রমণ ,
দিক-চালনা নাকাল করে বুনো-আঁধার ;
তখন 'তারা'-তৃপ্তি সাধন ব্যঞ্জনাতে
জীবের সাথে চীনামাটির ভাব থাকে না ।
কবি কাকাতুয়া এবং প্রতিশ্রুতি
১।
মনের নির্মোক দোলায়
শিশিরের মাকড়সা এবং সামাজিক লোভ ।
কবি কাকাতুয়া
মদন ভস্মের প্রাথমিক লিপি ;
তোমাকে দেবো প্রেম ,
শর ও স্বর গোলাপ ;
কোনো রামী রজকিনী , ডাকের চিঠি ,
কয়েকটি অক্টোপাস , কিছু চ্যাপ্টা তালি ,
অন্তঃকরণের মেঘমল্লার আর অসহযোগ ;
বাঁশির কসাই , কণ্ঠের মালাকার ,
বহু-ভাষিক পৃথিবী যেমন
তেমনি তোমাকে দেবো শাঁখের শব্দ-----
বাজাবো বিকার ;
অবিকল নীড়ের পালক , আর
বিচালির বুক দেবো - মন রাখবার ।
২।
ফিঙের পালকে আগুন লাগলে
যতখানি আয়না দোলায় শীতল চাঁদ ,
অনেকটা তেমনই পথ ;
আর কিছু না হোক আমি আমাতেই সৎ ।
পাতার চিবুকে করে জল তুলে ভেজাবো
চোরা শিকারি-নখের মাল্লা পলক
নামাবলী হারেম-খানায় ,
গুহার চিত্রলিপি চুম্বন ;
থাকবো সাথে গঙ্গোত্রী - মোহনায় ।
রাত পেড়ে এনে দেবো ,
দিন ছিঁড়ে রাখব ভ্যানিটি ব্যাগে এবং
গ্রহান্তরের পেপার কাটিং ;
শুধু তোমারই জন্য পাথরের গাঙচিল ওড়াবো ,
মিউজিয়ামের সুখ ;
শুধু তোমারই সাথে খেলবো ---
হাট্টি-মাটিম-টিম ।