বন্ধুদের নামগুলো
বিলেত ফেরত প্রতিক্রিয়ার আশায়
হাইতোলা দুপুরে চিনি মিশিয়ে আমি
বন্ধুদের নামগুলো মনে করার চেষ্টা করি ।
বেমানান শার্টের শংসাপত্র যেখানে
হেঁচকির অতিরিক্ত জল-পুনর্মুদ্রিত
মেঘেদের কোলেপিঠে বেড়ে ওঠে -
আমাদের উল্টো ছায়ারা।
সেই কবে আয়ত্বে এসেছিল অপেক্ষারত
অগ্রিম সমোচ্চারণ ।
নিজেকে অবাক করি যখন খুলে দিই
বাঁধন-নৌকাগুলোর।
টেলিস্কোপ
উৎক্ষেপণ বলতে-
যখনই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আমার
শব্দ জগতে জেগে থাকা
দু'এক দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার
কোনো পূর্বাভাস থাকে না।
নিজের ভিতরে অবিরাম নোনা
জলের স্রোত- রন্ধনশালার নেপথ্যে
সমোচ্চারিত আমি বাস্তুতন্ত্রে ধুয়ে যাই।
টেলিস্কোপের সিঁড়ি বেয়ে
এই যে নেমে আসছি মোজা
খুলে ফেলা পর্যন্ত -
দূরপাল্লা বিবেচনায় স্থানীয় জমিন।
কম্পাস
একটা তপ্ত দুপুরের ব্যবহার বিধিতে
আমার ক্যালেন্ডারে ছেড়ে রাখা বিষন্নতা
জীববিজ্ঞানের রুটচার্ট-
তবে ধরে নিতেই পারি
বর্গাকার সুরারোপের আঙুল ।
ক্লিপবোর্ডে দুটি পাখি ছিল- একটি
উড়ে গেলে
বিভক্তি চিহ্ণে পৌনঃপুনিক বসে।
তাহলে দাঁড়াল সেই স্বাস্থ্যবান বৃক্ষ
আইসক্রিম কাঠির রসালো অতীত-
ধুলো ভরতি খালি পা
ছায়াটিতেও মুখস্থ হয়েছি এযাবৎ ।
Tags:
একক কবিতা