শৌ ন ক / স্নেহা

sounoksneha



দাদা
আজ বসন্ত আসলো বলে
দেখো বসেছে হলুদের মেলা...
হলুদের মাঝে তুমি একা আনমনে ভাবো,
হঠাৎ দৌড়ে যাও নীল পাখি ধরতে...
আমি স্বপ্নের আড়াল থেকে দেখি তোমায়...
তুমি ভালোবাসার শব্দাকাশে লেখো
নতুন নতুন কবিতা।
আর আমি এঁকে যাই...
নতুন নতুন স্বপ্ন নতুন রঙে......
আমার তাবোত বসন্ত
তোমাতে ও তোমাদের আঙিনায়...
যতোটুকু লাগে, যতোখানি পারো নাও,
আছে উজাড় করে ঢালা.........
এই নাও দাদা তোমার কফি... তুষারপাতের এতো সাধ্যি কি জলচিঠি প্রপাতে বিঘ্ন ঘটায়...
দেখো সব ঠিক আছে কিনা, সামান্য চিনি লাগতে পারে যদি তুমি ইচ্ছে করো...
রঙধনু রঙের বেলুনগুলো পথ হারায়নি হাজার পথের পারে, তাইতো এখন আমার চারপাশ জুড়ে হাসনাহেনারা ঘুরে......সত্যি সত্যি আমি হাসনাহেনার গন্ধ পাচ্ছি দাদা...এ কোন মন ভোলানো কল্প নয়...সুখ ভোলানো দুঃখ নয়...
আমি বেশ ভালো আছি দাদা ভীষণ ভালোলাগায়...মেলার স্বপ্নিল সুবাসে পাঠকদের মনের দরজায়... হুমাইরা আর রুবি “কারুময় খামে...অচেনা প্রেম”-এর সবটুকু সুবাস আমায় পাই পাই করে পাঠিয়েছে...আমি আপ্লুত, কিন্তু...সত্যি আমি বিচলিত নন্দিতা প্রকাশনার ঘুনে ধরা কারুশিল্পে...প্রথমেই আসি বইটির মূল বেষ্টনীর আদরে...ছোটগল্পের সৌন্দর্যস্থলে ছোহগল্প লেখার অসৌন্দর্যতা, আমার না হয়ে আমরা...আর যাই হোক না কেনো লেখকের বক্তব্যটুকু অন্তত নির্ভেজাল নির্ভুল ভালোবাসায় উৎসর্গ করাতেই তৃপ্ততা...তোমার বোন চিরকালই নিখাদ ভালোবাসায় আগ্রহী কিনা তাই সামান্য ভুলগুলো চোখ ট্যাড়া করে দেয়...তবুও উৎসর্গের ভালোবাসায় আমি স্বর্গে চলে গেলাম দাদা...পরজন্ম বলে যদি কিছু থাকে, তবে আমি সে জন্মেও তোমাদেরই বোন...তোমাদেরই বন্ধু হয়ে জন্মাতে চাই......ঈশ্বর এতোটুকু কৃপা আমায় করতেই পারেন তাইনা বোলো...
সব দাবী মেনে কাব্যচর্চা হয়না দাদা, তবুও তোমাদের সব দাবী আমি মেনে নিলাম অনায়াসে হেরে যাবার ছলে...
তোমার সব ভক্তদের বলে দিয়ো বইটির মোড়ক উন্মোচন হয়েছে আমারই পরশে...পড়াও শুরু ভুল ধরা খেয়ালে...
কিছুইতো দিতে পারলামনা শুধুই নিয়া ছাড়া...
আমি জীবননান্দ দাশ নই
যে তোমায় নিয়ে লিখবো...
হাজারো আবেগি কবিতা।
আমি নই কবিগুরু রবি
যে তোমায় দেবো...
আকর্ষিত প্রকৃতির এক ছবি...
আমি ক্ষুদিরামের মতো হয়তো
তোমার জন্য জীবন দিতে পারবোনা...
আমি সুকান্তের মতো
হয়তো ভালোবাসতে পারবোনা...
তবুও আমার সবটুকু ভালোবাসা
তোমার আর তোমাদেরই জন্য......

কাল ২১শে ফেব্রুয়ারি...খুব মনে পরছে সেই শহীদ মিনার, সেই দোয়েল চত্বর, সেই মুখোরিত বইমেলা......আমি তোমার জন্য বসন্তের কোকিল সেজে গেলাম রঙ্গালয়ে। অনেকদিন কোকিলের ডাক শোনা হয়নি...কেও কি কোকিলের ডাক রেকর্ড করে পাঠাতে পারো তোমরা...? দাদাই (শৈবাল) কিংবা শুভ্র-দা বা মিসবাহ ভাইকে বলে দেখো...নিশ্চই তাদের সংগ্রহে থাকতে পারে...
একটু বসো, হাই বেবিকে মোটা ঘুষ দিয়ে আসছি...
হাই বেবির আমুল পরিবর্তন দাদা...তুষারময় দ্বীপের মানুষের চাপে আজ সে হয়েছে ভ্যাবলা-কান্ত, যেন মাছ ধরতে ছিপ ফেলেছে সুইমিংপুলে...হাই বেবির সাথে খুব ভাব হয়েছে আমার, আমি যা বলি সেটাই তার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ-সত্য মধুর বাক্য...তিনি আমার মাঝে কিছু একটা খুজে বেড়ান, হয়তোবা খুঁজে পান...হয়তোবা না...আমিও তার মাঝে কিছু একটা খুঁজি...আমি পেয়ে যাই...আবার হারাই...আবার খুঁজে বেড়াই...
কুয়াশা ভেঙ্গে ভেঙ্গে রোদ খুঁজতে...
আঁধার কেটে কেটে চাঁদ ধরতে,
রাত থেকে দিন অবধি...
কি দিয়ে যে বোঝাবো তোমায় জীবন নিয়ে এতো মাতামাতি...ছুটে আসো... এসে দেখো... এই কি মানুষের জন্ম...? নাকি শেষ পুরোহিত কঙ্কালের পাশাখেলা...? আমাকে খোলস বদলাতে হোচ্ছে... এখানকার তুষারপাত আমার সইলনা...কাল আবার বলাকা হবো অন্য দ্বীপের সন্ধানে...
কি আশ্চর্য তুষারময় দ্বীপটার জন্য মন কেমন যেনো করছে...আমারতো খুশীই হবার কথা...
লাইনে এসে আমার ওয়ালে তোমার জলচিঠি-৫ জমা দেখলাম...জমা থাক অন্য দিনের স্বাদে...
দাদা লাল চা খাবো...খুব কড়া এক মগ...আজ আমি অনেক্ষন থাকতে চাই...
তোমার আর তোমাদের সাথে...এইখানে...এই ঘরে...এই মনে......


স্নেহা।







একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.