নন্দিনী পাল

nandini











সর্বনাশী ঠিকানার খোঁজে 

বুকটা ছ্যাৎ করে ওঠে!
ভ্রু দুটোর মাঝে সন্দেহের কুঞ্চন
ফেলে যায় সমান্তরাল দুই দাগের মাঝে কিঞ্ছিত ঢেউ।
কানের মধ্যে প্রবেশ করা
সর্বনাশী পথের ঠিকানা-মাথার স্নায়ুতে
করে আঘাত, শরীরে ফুঁটিয়ে দেয় গরম আলপিন।
প্রবেশ পথে ধাক্কা খেয়ে,
প্রতিধ্বনি করে ওঠে মুখ।
ভুল- শোনার ইচ্ছায়,নাকি ভুল-
শুধরেনেবার জন্য,পুনঃরাবৃত্তি করি ঠিকানাটার।
চোখের তলায় সময়ের রেখা আঁকা
শঙ্কিত,উদ্বিগ্ন, ঝাপসা, দৃষটি,
নিদ্রাহীন কালশিটে পড়া মুখ থেকে,
বেরিয়ে আসা খনখনে স্বরের ফিসফিস
শব্দ, মনে ক্রোধের সঞ্চার করে।
কৌতুহলী মন সর্বনাশী,চোরা, রহস্যময়,
অন্ধকার, কানাগলির ঠিকানা খোঁজার কারন জিজ্ঞেস করে।
সাদা থানে মোড়া ,অবয়বের আচ্ছাদনে
বিষাদদির্ন মাতৃমন শোনায়,
ভবিষ্যতের কাণ্ডারীর হাত ধরে চোরাগলির
চোরাপথে মেয়ের কানাগলিতে প্রবেশের ইতিহাস।
মেয়েকে ফিরিয়ে নেবার দুঃসাহসে
আজ তিনি প্রবেশ করতে চলেছেন সেই চক্রব্যূহে,
যেখানে প্রবেশের বহু দিক খোলা আছে আজও,
ফিরে যাবার পথে ছড়ানো আছে শুধুই কাঁটা।
কারন শোনার পর জনপদের,
সব কোলাহল যায় থেমে,
বধির আমার স্বত্তা বাকরূদ্ধ হয়ে
চেয়ে থাকে বৃদ্ধার দিকে।
বিশ্বাসঘাতকের কথার ছুঁরিতে নিহত
এক রমণী হয়েছে আজ নামহীন।
অন্ধকার রাত্রি শেষে ওই মুখোশধারী
মিশে গেছে খুব সহজে,
সংসারে ভালোর দলে,
তার জন্য তাকে জোগাড় করতে হয়নি পবিত্রতার ছাড়পত্র,
অথচ সমাজ শুধু ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে
ওই মেয়েটিকে ‘খারাপ’ বলে আস্তাকুঁড়ে।



Previous Post Next Post