সন্ধিভ্রমর
তুমি তো বুকে ব্যস্ত ছিলে তখন,
তাই কিছুই দেখোনি জানি।
চোখের রোদে যখন বেছে দিচ্ছিলে,
রুপোলী বিদ্যুৎ রেখা বিগ ব্যাং অন্ধকার চিরে।
মেঘের বুকে ঠোঁট গুঁজে আমি তখন
ডানা মেলছি ঘামের পৃথিবীতে,
আর ভাজ খুলে যাচ্ছে অলিখিত রোমাঞ্চ ধ্বনির।
কৃষ্ণ বিলের মাছেদের পাশে, সে কী
ইচ্ছে সাঁতার আমার-
কী বেহিসেবী ঢেউ গোনা সমুদ্রের লোনা বেলাভূমিতে।
দূরে কোথাও লকগেট ভাঙার শব্দ শুনে
যদি গনগনে সূর্য আগুন হই, খুনের অপরাধে,
যে কোনো শাস্তি শিরোধার্য আমার।
ওই তো হুড়মুড় করে ঝড়ে পড়ছে জলরাশি,
উল্লাসের চরে পড়ে আছে -
ভাঙা নৌকোর গলসি, ছেঁড়া পালের ছিন্ন বাতাস।
খাটে শুয়ে ক্লান্ত গড়াগড়ি দিচ্ছে বিকেলের শ্বাস
সে সব লুকিয়ে রেখো অন্ধকার শোওয়ার ঘর।
যেটা ইতিহাস হলো-
পর্বতাভিসারী তুমি জিতে নিচ্ছ কাঞ্চনজঙ্ঘা,
আর চেরাপুঞ্জি নিয়ে আমি ফিরে আসছি, সমতলে-
আমার সারা গায়ে বনমহোৎসবের জঙলা মহেক।
Tags:
কবিতা