আলো বসু

alo


দৈববাণী 

"আলো দিয়ে কী হবে যদি অন্ধকারই না চিনতে পারো ?
জলজ্যান্ত দিনের আলোয় দিব্যি বেঁচে বর্তে কত অন্ধকার দেখো .....সিঁড়ির তলায় ,চিলেকোঠার ঝুলপড়া আসবাবের ভেতরে , হাইওয়ের ধারে ধাবায় ,নিয়ন আলোর ল্যাম্পপোষ্টের নিচে ,গাছ গাছালির পাতার আড়ালে ----আরও কত ----
আলো ধরতে চেয়ে সিঁড়ি ভেঙ্গে ভেঙ্গে ওপরে উঠেও তো কেউ কেউ অন্ধকারে ---
সিঁড়ি জানে উত্থান পতন কাব্য দু' ই জানে সিঁড়ি
একই আলোর নিচে কেউ ভাগবত পাঠ করে তো  কেউ নোট জাল করে
সুতরাং অন্ধকার চেনাটাই জরুরী
অন্ধকারও জেনেছে
দুধের মধ্যে নর্দমার জল
চালের মধ্যে কাঁকড় হয়ে কীভাবে আলোকে তৃতীয় স্তরের ধূসরিমায় টেনে নামাতে হয়
অন্ধকার জানে ক্যামফ্লেজ মানে
তোমাদের আলোময় জীবনে
ঈর্ষার মতো  অন্ধকার
কেমন বর্শার তীক্ষ্ণফলার ঔজ্জ্বল্য মেখে আলোয় মিশে থাকে !
আলোর লোভী , আলো কুড়োনোর দিনে তোমার ভিক্ষুক হাতে আঁকেনি সে চুম্বন ?
শিরায় শিরায় শোনায়নি কী শিহরণের গান কোনদিন ?
আবার শুক্তির অন্ধকার ঘর থেকে
মুক্তো জ্যোৎস্না গড়িয়ে পড়েছে তোমারই হাতে
অলৌকিক কতবার
তাই বলছি
' আলো দাও , আলো দাও ' বলে ভিক্ষাপাত্র এগিয়ে দেওয়া ওগো ধূসর দুটি হাত ,
আলো দিয়ে কী হবে যদি অন্ধকারই না চিনতে পারো ? "
মর্মের জানলায় মুখ বাড়িয়ে
" উটের গ্রীবার মতো কোন এক নিস্তব্ধতা নয় "
অন্ধকারে আলোকসম্পাত করে
এইমাত্র ঈশ্বরকে আমি আঁধারে মিলিয়ে যেতে দেখলাম।



Previous Post Next Post