শান্তনু হালদার




 তাই হোক


বেশ তবে তাই হোক,
যেভাবে খোলে মোড়ক
খুলে নাও,
আয়না বলতে শোয়ার ঘরে যেটাকে রেখেছো,
কোনোদিন ও কি তার সামনে গিয়ে দেখেছো?
কেমন লাগে!

বেশ তবে তাই হোক,
যেভাবে দোলে দোলক
ছেড়ে দাও,
দেওয়ালের আলনায় ঝোলা মুখোশের যে সারি,
আপাদকালীন সময়ে ওগুলোই কি হয় তোমার?
অবিশ্বাস্য ব্যাপার!

বেশ তবে তাই হোক,
বাকি যেটুকু আছে স্তবক
গেয়ে নাও,
গলার নালি ভর্তি যতোটা না সুর তুমি পেয়েছো,
কোনোদিন সেটা দিয়েই কি প্রতিবাদ গেয়েছো?
বলো না!

বেশ তবে তাই হোক,
এভাবেই গড়ি নরক
ক্ষতি কি?
এই নেই,সেই নেই,আরো কতোকি যে নেই,সব ধুধু,
সেসব নিয়েই সবাই দোষারোপ করেছি শুধু,
সেইটুকুই তো!

বেশ তবে তাই হোক।



খারাপ ভালো


আমার খারাপ চিন্তারা যখনই ভীড় করে আমি আর মানুষ থাকি না,
যে লোকটা রাত অব্ধি শোক মিছিলে মোমবাতি বেঁচে বাড়ি ফিরলো সেই লোকটাই কিছুটা পাশবিক হয়ে ওঠে,
খবর দেখে,
আর ভাবতে থাকে মিছিলের এতো দরকার কিসের রাস্তা জ্যাম করে?
আরেকটু আগে এলেই খেলাটা দেখতে পেতাম।

আবার আমার ভালো চিন্তারা যখন চাগাড় দেয়,
আমার মানুষ হবার তাগিদটা বেড়ে যায়,
চাহিদার জন্য আমি মোমবাতি বেঁচি আর হাত গুন্তে থাকি,
ভগবান ঠিক আর কটা ব্রীজ ভাঙলে আমার বাড়িটা দোতালা হবে।



Previous Post Next Post