মজিদ




১।

এক গরিব লোকের ঘরে চোর এসে আতিপাতি করে খুঁজে, নিয়ে যাওয়ার মতো কিছুই পেল না। হতাশ হয়ে চোর যখন চলে যাচ্ছে- 
লোক : (শুয়ে শুয়ে) দরজাটা বন্ধ করে যেও। 
চোর : (দীর্ঘশ্বাস ফেলে) দরজা খোলা থাকলেও সমস্যা নেই। আপনার ঘরে কেউ ঢুকবে না।


২।

১ম বন্ধু : জানিস, বাড়ি থেকে পালিয়ে যেদিন নিশিকে বিয়ে করলাম, ঠিক সেদিনই জুতোর বাড়ি খেতে হল! 
২য় বন্ধু : আমার ধারণা, এর পেছনে নিশ্চয়ই নিশির বাবার হাত ছিল! 
১ম বন্ধু : না না, হাত নয়! ওটার মধ্যে নিশির বাবার �পা� ছিল!


৩।

পাগলদের স্বভাব তো আপনারা সবাই কম বেশি জাননে। কোন পাগল বলে আমি বাংলাদেশের president ছিলাম, আবার কোন পাগল বলে আমি আমেরিকার president ইত্যাদি...... 

যাইহোক- একবার-president জিয়াউর রহমান পাবনার পাগলা গারদ পরিদর্শনে গিয়েছিল । ঐখানে পাগলদের মাঝখানে দাড়িয়ে president জিয়াউর রহমান পাগলদের উদ্দেশ্যে বলছেন- এই যে তোমরা আমাকে চেন ? আমি বাংলাদেশের president জিয়াউর রহমান !! 

পাগলদের এক জন জবাব দিল- হি:! হি:! চিনি--চিনি, প্রথম - প্রথম সবাই এইরকম president থাকে- পরে সব ঠিক হয়ে যায় !


৪।

ভাড়াটে স্বাক্ষীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে। চুরির মামলায় ... 

বিবাদী পক্ষের জাঁদরেল উকিল জানতে চাইলেনঃ তুমি কি চুরি হতে দেখেছো? 
‌--দেখেছি মানে, আমার সামনেই তো চুরি হলো। 

‌‌-- তা সেটা কতো বড়ো ছিলো? 

থতমত খেলো ভাড়াটে স্বাক্ষী, কি চুরি হয়েছে, তা জানা হয়নি। তবে সে পেশাদার। তাই ভড়কে না গিয়ে বাম হাতটা উঁচু করে ধরলো। 
উকিল রেগে গিয়ে বললেন--চুরি হয়েছে দেশী ছাগল আর তুমি দেখাচ্ছো অস্ট্রেলিয়ান গরুর সাইজ। 
ভাড়াটে স্বাক্ষী হেসে বললো--সবে তো একটা হাত তুলেছি, এখন অন্য হাতটা কোথায় রাখি দেখুন, তবে তো বুঝবেন।

৫।

এক পুলিস অফিসার প্রমোসন পেয়ে ট্রেনিং এ গেছেন এবং সেখানে তাকে ট্রেনার SWOT এ্যানাল্যাইসিস সেখাচ্ছেন। SWOT হল ব্যবসার ক্ষেত্রে শক্তি(Strength, দূর্বলত(Weakness), সূযোগ(Opportunity) ও ভয়(Threat)-এর বিবেচনা। আলোচনার পর ট্রেনার ঐ অফিসার কে ব্যক্তিগত অভিঙ্গতা থেকে SHOT এর একটা উদাহরণ দিতে বললেন। 
উত্তর টা ছিল এমন:- 

আমার শক্তি হল আমার বৌ; 
আমার দূর্বলতা হল পাশের বাড়ির বৌ; 
আমার সূযোগ হল তার বর যখন বাইরে কোথাও যায়; 
আমার ভয় আমি যখন বৌ কে রেখে বাইরে কোথও যাই;


৬।

এক তরুণী চাকরিজীবী, রোজ অফিসে বেশ দেরি করে আসেন। অফিসের বস, এই ঘটনা জেনে অনেক বার ওই তরুণীকে শাসিয়েছেন। অথচঃ আজও সে দু�ঘণ্টা দেরি করে অফিসে এসেছে! 
বস : আচ্ছা, আজও দেরি হল কেন? 
তরুণী : কি করব স্যার, রাস্তায় এক বখাটে ছেলে পিছু নিয়েছিল! 
বস : বলে কী! তাহলে তো দ্রুত হেঁটে আরও এক ঘণ্টা আগে অফিসে পৌঁছানোর কথা, দেরি হল কেন? 
তরুণী : আর বলবেন না, ছেলেটা এত আস্তে হাঁটে!


৭।

মেডিকেল কলেজের প্রফেসর নতুনদের ক্লাস নিচ্ছেন। 

-ভালো ডাক্তার হওয়ার দুটি শর্ত। প্রথমটি হল খুব ভালো পর্যবেক্ষন শক্তি থাকা। রুগীকে দেখেই যেন তার সম্পর্কে ধারনা করতে পারো, কোন একটা অসুখের হালকা লক্ষনও যেন বাদ না যায়। দ্বিতীয়টা হল মন শক্ত করা। যেন কিছুতেই তুমি ভড়কে না যাও। 

আজকে তোমাদের পর্যবেক্ষন এবং মানসিক অবস্থার পরীক্ষা হবে। আমার সামনে একটা জারে হলুদ বর্নের তরল আছে। সবাই এক এক করে আসো আর দেখে যাও। বলো এটা কি? 

একে একে সবাই এলো। সবার এক কথা এটা প্রস্রাব। 

গুড! এই বলে প্রফেসর একটা আঙ্গুল তরলে ডুবিয়ে দিলেন। ছাত্র-ছাত্রীরা ওয়াক থু টাইপ আওয়াজ করল। তরলে আঙ্গুল রেখেই প্রফেসর বললেন, 

-তোমাদের ঘেন্নাপাতি কমাতে হবে। মানসিক দৃঢ়তার জন্য এই ধরনের ঘৃনা থাকা ভালো নয়। যারা এখনো আমার আঙ্গুল চুবিয়ে রাখা পছন্দ করো নাই তারা ভালো করে লক্ষ্য করো। এইবলে প্রফেসর আঙ্গুল তুলে মুখে দিলেন। ছাত্রদের অবস্থা ত সেই রকম। 

এরপর প্রফেসর বললেন, তোমরা সবাই ঠিক আমি যেভাবে আঙ্গুল চুবিয়েছি আর মুখে দিয়েছি সেইভাবে কর। সবাই আসো... একে একে... 

ছাত্ররা তাই করল। 

সবশেষে প্রফেসর বললেন, এবার তোমাদের পর্যবেক্ষনের প্রসঙ্গে আসি। বলো কতজন খেয়াল করেছো যে আমি তর্জনী চুবিয়েছি আর মধ্যমা মুখে দিয়েছি...


৮।

একদিন এক রোগী ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলল, ডাক্তার সাব, আমার একটা অদ্ভুদ রোগ হয়েছে। 
ডাক্তার বললেন, কি রকম? 
রোগী বলল, আমি অল্পতেই রেগে যাই। গালাগালি করি 
ডাক্তার বলল, ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন তো। 
রোগী বলল, হারামজাদা, কয়বার খুইল্লা কমু!!!

ডাক্তার রোগীকে ব্যাবস্খাপত্র দিয়ে বললেন - 
ডাক্তার : আপনার খাবার সব সময় ঢাকা রাখবেন। 
রোগী : কেন ? ঢাকা তো অনেক দূর ! কুমিল্লায় রাখলে চলবে না ? 


৯।

পুত্র : বাবা, আজ একটা ভালো কাজ করেছি। 
বাবা : কী কাজ? 
পুত্র : পাশের বাড়ির মোটকা ভদ্রলোক আছেন না, রোজ অফিসে যেতে ট্রেন ফেল করেন, তাকে আজ ট্রেন ধরিয়ে দিয়েছি। 
বাবা : তাই নাকি! কী করে? 
পুত্র : প্রতিদিনের মতো তিনি হেলেদুলে হেঁটে চলছিলেন, লালুকে (বাঘা কুকুর) লেলিয়ে দিলাম তার পেছনে। ব্যস এমন ছোটা ছুটলেন।


১০।


বাবা, মা এবং ছেলে একজায়গায় যাচ্ছে। ছেলেটির মা ছেলেটিকে একটি চকলেট কিনে দিল। ছেলেটি যখন চকলেটটি খেতে গেল তখন চকলেকটি পড়ে গেল। 

ছেলেটি চকলেট তুলতে গেলে ছেলেটির মা বলল, পিন্টু, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো।পিন্টু দোকানে গিয়ে আরেকটা চকলেট নিয়ে এল। 

তারপর হাটতে হাটতে হঠাৎ করে পিন্টুর বাবা পড়ে গেল। পিন্টুর মা বাবাকে তুলতে গেলে পিন্টু মাকে বলল, মা, পড়ে যাওয়া জিনিস তুলতে নেই। যাও আরেকটা নিয়ে এসো। 



Previous Post Next Post