চয়ন ভৌমিক




আশ্রমের বারান্দায়


আমাদের গ্রীষ্মপ্রধান জীবনের দাবি গুলো নিয়ে দুচার কথা না বললেই নয় দেখছি। ভীষণ এক বর্নবৈষম্য আমরা মিশিয়ে নিচ্ছি আমাদের দিনলিপিতে, প্রতি প্রহরে। অভ্যাসগত প্রতিবর্তক্রিয়া নিয়ে আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি প্রান্তর, দুর্গম মাঠের নিষিদ্ধ নিশিযাপন। 

খুব ভোরে জলের ধারে ঘুরতেই থাকেন যাঁরা , সূর্যকে ওনারা চেনেন পাঞ্জাবীর বোতামে লেগে থাকা এক কমলা চুম্বন হিসাবে। 
জানো কী, তাপ মানে পূর্ব থেকে পশ্চিমের এক  অর্ধবৃত্তাকার পথ,  আর জীবন যেন এক রাক্ষুসে হাত বদলানো ভিক্ষাপাত্র, তার খরতার নীচে! তাইতো,  কলঘরকে মানসে সাজাই আমরা নাতিশীতোষ্ণ সাগরতট নামে, রান্নাঘরে ভরেদিই কোদাইকানালের ঘন কুয়াশা। নিদাঘ দুপুরে মেঘলা আকাশের নীচে, চাইতে থাকি অঝোর বৃষ্টির দরবারি কানাড়া। 

এই যে প্রত্যেক চাওয়া, এর পিছনে কোনো যুক্তিপূর্ণ জবাবদীহি নেই হয়তো। তবুও অলীক সোনালী পূর্ণতাও  তো এক ঈশ্বর বন্দনা। 
সময় কিন্তু এক অনন্ত অপচয়। 

তবুও টাট্টু ঘোড়ার পিঠে চড়েছি আমরা, কোথায় যাচ্ছি জানিনা যদিও।



Previous Post Next Post