ভ্রম
ভেসে গেলাম নৈঃশব্দের স্ফটিক হৃদে
তীক্ষ্ন দৃষ্টির তদন্তে অনিঃশেষ জীবন
নিরিবিলি, যেন অবসন্ন ফেরার একেক স্তম্ভ এড়িয়ে;
তুমি, আলাদা কোন দুঃখের ধুলোমাটি নিয়েই
আমাকে জানাবে-
চুম্বন অভ্যর্থনা।
পাহাড়ি ফুল

আরও কিছু পাহাড়ি ফুল দেখে নেয়
ঘোলাজলে,
পুরুষের অপূর্ব দৈহিক গড়ন
মারাত্মক নেশায়-
রোদে ভেঙে যাওয়া নারীর মুখের
বৈশাখ;
পৃথিবীর কিছু মুখস্ত সংলাপ ভুলে
আরও কিছু পাহাড়ি ফুল
মনে রাখে,
পিতৃত্বের হাকডাক
বিব্রত ব্যয়িত সময়
আলোর কান্নায়-
তৃষ্ণায় ভরপুর মাতৃত্ব, প্রাণ জাগানো
পৃথিবীর যাত্রাপথ;
আরও কিছু পাহাড়ি ফুল দেখে নেয়,
ছোট ছোট শিশুদের পরিপাটি স্নান
ভেতর ভেতর দুধভাত
স্কুল কলেজের সমস্ত সবুজ
প্রেমের শঙ্খে কে বাড়ে? কেই বা বাজায়?
পৃথিবীই বা পুড়ছে কার দীর্ঘশ্বাসে?
মানুষের পদক-খ্যতির সংসদ ছেড়ে
আরও কিছু পাহাড়ি ফুল অন্যরকম চায়,
বৃদ্ধের সৌন্দর্যের নির্মল জলে
শুদ্ধ হোক
সবার মন ভুদৃশ্যের গোপন গঙ্গায়-
হোক অবসান
আদিবাসী নির্যাতন, শিশুহত্যা ও ধর্ষণ
এখন সময় এসেছে
নারীশক্তি বোঝবার
জাগুক পুরুষ
কর্তব্যবোধের জানালায়।
বছরের প্রথম দিন

প্রত্যেক বছরের প্রথম দিন আমাকে ঋণী করে
গলায় আওয়াজ রেখে উপচে পড়া স্মৃতির,
বিগতদিনের করে রাখা এক পা দু'পা সংসার
এমন কিছু দুঃখের উর্দ্ধশ্বাসে শব্দহীন সুখ,
ক্রমেই একা হয়ে যাওয়া একাকিত্বের কাছে
শিখে নেওয়া পরবর্তী ভালবাসার পুনর্জীবনে;
ধীরে ধীরে ঠিক কীভাবে রচিত হয় ব্যবধান?
ঠিক তখনি আমাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠার
প্রবণতা সমস্ত চমত্কারের যা এখনো
বর্তমান হয়ে পড়ে থাকে নতুন ভোরের দিকে
দুপুর পেরিয়ে বিকেলের চমকপ্রদ মৈথুনে ।
এমন বিকেলের একচেটিয়া চুমু অনেকেই
মাটি ঘুমো, বলতে বলতে মনে রাখে জীবনের;
আপনি তুই তুমিদের মাঝে কাটানো তরতাজা,
ভানের খামখেয়ালি সংসারে বহিরাগত দুঃখে
কীভাবে স্মার্টফোনে ছবি শনাক্ত হয় পোয়াতি সুখের !
কে জানে এই সুখ ভুলে কেউ কি কোথাও খুঁজেছে?
পুরোনো বইয়ের তাকে পেয়েছে নতুন প্রেমিক?
শুধু প্রেমিকা থাকে বড়ো গভীর অসুখী ডানায়
একোয়া রিজিয়ায় সোনা গলিয়ে ডাক দেয়া নামে,
প্রথম দিনেই সমাজ সংসার পার করে করে
রাস্ট্রকে ভালবাসা শেখায় মাথা উঁচু রেখে ।
ঠিক তখনি বিবর্ণ রাস্ট্র আলো হয়ে ওঠে
রাজনীতির অন্ধকার গা থেকে মুছে ফেলে
আমার মতোন কাটিয়ে দেয় বছরের প্রথম দিনের
অনেক সময় কিংবা আজ।
Tags:
একক কবিতা