কাক
(গৌরচন্দ্রিকাঃযখন যে ভাবে ছবি এঁকেছি, কবিতাকেই এঁকেছি। সাথের সারবদ্ধ শব্দএবং ছবি Ted Hughes -এর কবিতা ‘Crow’ অবলম্বনে)
মানুষের উপর বিরক্ত হয়ে ঈশ্বর যখন
স্বর্গের দিকে ফিরেছিলেন,
এবং, ঈশ্বরের উপর বিরক্ত হয়ে মানুষ
ফিরে ছিল ইভের কাছে,
সব কিছু তখন ভেঙে যাচ্ছিল যেন।
কিন্তু কাক কাক
কাক কাঠি করেছিল,
কাঠি করেছিল স্বর্গের কাছে, মর্ত্যের কাছে-
অবশেষে মানুষ কেঁদেছিল, কিন্তু সে কণ্ঠ ঈশ্বরের।
আর ঈশ্বরের শরীর জুড়ে রক্তক্ষরণ, কিন্তু সে রক্ত মানুষের।
এরপর ভেঙেছে স্বর্গ-মর্ত্যের শেষ সংযোগ
সবটাই যেন পুঁজ রক্তের মতপচনশীল
দায় মুক্তি রবাইরে এক অনন্ত ভয়
নিরন্তর দ্বন্দ্ব কখনও নিঃশেষ হয়নি।
মানুষ মানুষ থাকতে পারেনি, ঈশ্বরও ঈশ্বর নেই।
সেই নিরন্তর দ্বন্দ্ব
বেড়েছে।
কাক
কর্কশ
স্বরেচিৎকার করেছে- ‘এরা আমার সন্তান’,
এরপর সে ‘অন্ধকারের ডানা’ বিছিয়েছে।
Tags:
অনুবাদ