তাপসকিরণ রায়

আজের ক্ষয়িষ্ণু বসন্ত
পলাশ ঠোঁটের স্পর্শে বুঝি বসন্ত বারবার ফিরে আসে না !
আমেজী হওয়া কতটুকু ছোঁয় দেহ, কি তাপ ধরে রাখা এ আতপ দুপুর দেহে ? চঞ্চলতা ছুঁয়ে থাকে
ছায়ার মুকুর, লাবণ্য শরীরের বনজ ঘ্রাণ, পড়ন্ত দিনের সূর্য দেখো রং মেখলায় কতটা উদভ্রান্ত!
তলানি আতুর ইচ্ছেতে এখনও ছিন্ন গোলাপের ঘ্রাণ!
ধুসর মাটি ছোঁয়া দেহ, বাতাস চৈতন্যে ধ্বস্ত ফুল রেণু ভাসে।

বিকেলের ভাসানে বিসর্জিত ফুলেরা শুয়ে আছে !
হা-আকাশ তলে মোমের আলো ফেলে কারা খুঁজে ফেরে তোমাদের উৎস ? --নগ্নতার পাহাড়
ভেঙে আজ উলঙ্গ শুয়ে ওরা,
আজের ক্ষয়িষ্ণু বসন্ত বুঝি,
সময়ের ব্যস্ততায় দ্রুত গুটিয়ে নিয়েছে তার পাততাড়ি !


বসন্ত বীজ


রাত জাগা পাখির কথা যদি কবিতাতে ধরে রাখি--
তুমি কি জান আমার বিরহ কথা ?
বিরহ না হলেও বাসন্তিক হওয়ায় সে বীজ ছড়িয়ে পড়ে,
মনের বসন্তবীজও নাকি বোনা থাকে আকাশে !
মুহূর্তে শিমুল বীজ ফেটে ওড়ে তুলোর পাহাড়,
নিশীথ ব্যথার কথা কেউ জানে না--কারো মৃত আগ্নেয়গিরির
বিসুভিয়াস  জন্মান্তর একান্তে ঘুমিয়ে থাকে।    

বস্তুত প্রত্যেকের থাকে এক একটি বেদনা ঘর --
রাত্রিকে ভেঙে চুরে আবার গুছিয়ে রাখি, মনের ভেতর--
নির্ঘুম ফাঁকে বিছাই ভাবনার কাগজ কলম।    
       

Previous Post Next Post