রঙ vs সঙ
বয়েসটা এবার এই হল আট
পুতুলের মত ছেলে, নামটি মিতুল
বাবা, মা আর সে, খুউব ঠাটবাট
বাহারী কার্পেট, দামী দামী ফুল।
ইংলিশ মিডিয়াম, ডে-বোর্ডিং স্কুল
ঠান্ডা এ.সি বাস, ঝকঝকে সিট
হাতে ঘড়ি,পায়ে মোজা,পরিপাটি চুল
' বাই-বাই মিতুল' - সিন সুপারহিট।
মা, বাবা দুজনেই বেরোবে কাজে-
ব্যস্ত সকাল আর রং- মাখা মুখ
মিতুল ফিরবে ঘরে সেই সে সাঁঝে
মা-বাবা মিলেমিশে কিনবে যে সুখ।
সন্ধ্যের দামী বাল্ব জ্বলছে ঘরে
মিতুল সোনার সব হোম-ওয়ার্ক শেষ
এখন কার্টুন দেখা, ডিনার পরে
তারপর চোখ বুজে স্বপ্নের দেশ।
স্বপ্নেতে নিন্জা বা ডোরেমন
রাজা-রাণী, দৈত্য সেই সব নেই-
স্বপ্নও শিখে গেছে সব দিনক্ষণ
স্ট্যাটাস মেপে তাকে আসতে হবেই।
সামনে ফেস্টিভ্যাল, হোলি উৎসব
স্কুলের প্রোজেক্ট আছে,গিফট আর কার্ড
হার্বাল রঙ চাই, সাজ সাজ রব
ইভনিং পার্টি, গেস্ট হাই-স্ট্যান্ডার্ড।
সুগন্ধী সাবানেতে তুলেছে ফেনা-
মিতুলসোনা করে বাথটাবে স্নান-
স্বপ্নের বুদবুদ হয়েছে কেনা
চারপাশে বাজছে বাসন্তী-গান।
এখন বেলা দুপুর, ইভনিং এ পার্টি
মা-বাবা বেডরুমে,বিউটি - ন্যাপ-
মিতুল-সোনা দেখে ছেলেগুলো ডার্টি
ঘর থেকে পথের অনেকটা গ্যাপ।
খোঁজ খোঁজ খোঁজ, ফ্ল্যাটময় তোলপাড়-
ছেলে নেই ঘরেতে, কোথায় যাবে!
গার্ড বা সিকিউরিটি নেই আজ ছাড়
রাস্তাই চেনে না, বেরোবে কিভাবে!!
বড় রাস্তা ছেড়ে পাশের গলি-
ছোট্ট বস্তি - রঙচঙে মোড়কে
ছেলের জন্য যাওয়া, কি যে বলি!
নইলে কে পা রাখে, এই নরকে!!
"মাম্মা, টুকি" - মিতুলের ডাক
এক ছুটে ছেলে কোলে, " কি করে এলে?"
মুখে কথা সরে না, দৃষ্টি অবাক-
" রঙ খেললাম মা, তোমায় ফেলে"..
কালো বাদুড়ে রঙ সারাটা গায়ে-
তারই মাঝে ঝকঝকে হাসি অম্লান-
চোখে জল, অসাড়তা মায়ের পায়ে
ঘেন্না উধাও, শুধু কান্নায় স্নান।
" মা, প্লিজ বোকো না, কাঁদছো কেন?
তুমি কি আমার ওপর খুব রেগেছো?"
ছোটোবেলা হাত ধরে ফিরলো যেন -
মায়ের মুখে হাসি, " খুব সেজেছো"!
হাতের মুঠোয় ভরা চটকানো ফুল
লাল লাল পলাশে চ্যাটচ্যাটে হাত-
মুছে গেলো, মুছে গেলো সঙ সাজা ঝুল-
মা - বাবা মিতুলের আদরের ছাদ।।
বয়েসটা এবার এই হল আট
পুতুলের মত ছেলে, নামটি মিতুল
বাবা, মা আর সে, খুউব ঠাটবাট
বাহারী কার্পেট, দামী দামী ফুল।
ইংলিশ মিডিয়াম, ডে-বোর্ডিং স্কুল
ঠান্ডা এ.সি বাস, ঝকঝকে সিট
হাতে ঘড়ি,পায়ে মোজা,পরিপাটি চুল
' বাই-বাই মিতুল' - সিন সুপারহিট।
মা, বাবা দুজনেই বেরোবে কাজে-
ব্যস্ত সকাল আর রং- মাখা মুখ
মিতুল ফিরবে ঘরে সেই সে সাঁঝে
মা-বাবা মিলেমিশে কিনবে যে সুখ।
সন্ধ্যের দামী বাল্ব জ্বলছে ঘরে
মিতুল সোনার সব হোম-ওয়ার্ক শেষ
এখন কার্টুন দেখা, ডিনার পরে
তারপর চোখ বুজে স্বপ্নের দেশ।
স্বপ্নেতে নিন্জা বা ডোরেমন
রাজা-রাণী, দৈত্য সেই সব নেই-
স্বপ্নও শিখে গেছে সব দিনক্ষণ
স্ট্যাটাস মেপে তাকে আসতে হবেই।
সামনে ফেস্টিভ্যাল, হোলি উৎসব
স্কুলের প্রোজেক্ট আছে,গিফট আর কার্ড
হার্বাল রঙ চাই, সাজ সাজ রব
ইভনিং পার্টি, গেস্ট হাই-স্ট্যান্ডার্ড।
সুগন্ধী সাবানেতে তুলেছে ফেনা-
মিতুলসোনা করে বাথটাবে স্নান-
স্বপ্নের বুদবুদ হয়েছে কেনা
চারপাশে বাজছে বাসন্তী-গান।
এখন বেলা দুপুর, ইভনিং এ পার্টি
মা-বাবা বেডরুমে,বিউটি - ন্যাপ-
মিতুল-সোনা দেখে ছেলেগুলো ডার্টি
ঘর থেকে পথের অনেকটা গ্যাপ।
খোঁজ খোঁজ খোঁজ, ফ্ল্যাটময় তোলপাড়-
ছেলে নেই ঘরেতে, কোথায় যাবে!
গার্ড বা সিকিউরিটি নেই আজ ছাড়
রাস্তাই চেনে না, বেরোবে কিভাবে!!
বড় রাস্তা ছেড়ে পাশের গলি-
ছোট্ট বস্তি - রঙচঙে মোড়কে
ছেলের জন্য যাওয়া, কি যে বলি!
নইলে কে পা রাখে, এই নরকে!!
"মাম্মা, টুকি" - মিতুলের ডাক
এক ছুটে ছেলে কোলে, " কি করে এলে?"
মুখে কথা সরে না, দৃষ্টি অবাক-
" রঙ খেললাম মা, তোমায় ফেলে"..
কালো বাদুড়ে রঙ সারাটা গায়ে-
তারই মাঝে ঝকঝকে হাসি অম্লান-
চোখে জল, অসাড়তা মায়ের পায়ে
ঘেন্না উধাও, শুধু কান্নায় স্নান।
" মা, প্লিজ বোকো না, কাঁদছো কেন?
তুমি কি আমার ওপর খুব রেগেছো?"
ছোটোবেলা হাত ধরে ফিরলো যেন -
মায়ের মুখে হাসি, " খুব সেজেছো"!
হাতের মুঠোয় ভরা চটকানো ফুল
লাল লাল পলাশে চ্যাটচ্যাটে হাত-
মুছে গেলো, মুছে গেলো সঙ সাজা ঝুল-
মা - বাবা মিতুলের আদরের ছাদ।।
Tags:
দীর্ঘ কবিতা