শৌ ন ক দ ত্ত



দাদা। 

রাত শেষে অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখলাম, ঠিক স্বপ্ন নয় যেন বাস্তবতার ছোঁয়া। মায়ের কোলে মাথা গুঁজে কি আশ্চর্য এক ভালোলাগায় গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আমি। মায়ের শরীরের গন্ধে নেশাতুর আমি হ্যাঁ ঠিক আমিইতো...যে ভাবে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুম পারানির গান শুনে ঘুমের গভীর পাহাড়ে হাড়িয়ে যেতাম। কি আশ্চর্য আমি কি স্বপ্ন দেখছি...??? মা মানত করেছিলেন মাজারে মাজারে, দরবারশরীফে, মাজারের সেই বিশ্বাসী ফুল মায়ের এক হাতে যেন সম্মোহনের যাদুর কাঠি, আমার সারা শরীরে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা আল্পনা এঁকে দিল, আর সংগে সংগে আমার হৃদপিণ্ডটা বিস্ফোরিত হোল তরঙ্গিত ঢেউয়ের মতো। এতো হীম আমার বহুকাল পাওয়া হয়নি। যতটুকু পাওনা ছিল প্রাপ্তির স্বাদে মিটে গেল। আমাদুর তার বার্তায়...মাকে বলে দিয়ো দাদা, আমার কথা আমি রেখেছি...এবার মায়ের রাখবার পালা...

দোলা ওভাবে কাঁদছিল কেন...??? আমার দেশ ত্যাগের ৩ কি ৪ দিন পূর্বে, দিন তারিখ জানা নেই, যাই হোক মানা নেই...অবিকল সেই একিভাবে অবিরাম কেঁদে যাওয়া...দোলা যতো কাঁদে আমি ততোই হাঁসি, আমি যতোই হাঁসি দোলার কান্না আরো বেড়ে যায়...এসব হচ্ছেটা কি...? আমি চলে আসার মানোসিক প্রস্তুতির পর্বটাতো ওদের অনেক আগেই চুকেছে, তবে কেন এতো কষ্টের ঝর্নাধারা দেখলাম...? দাদা দোলার ভিতরটা একটু পরে দেখোতো কি হচ্ছে ওর মনের ভিতরে...? স্বপ্নেও আমি চোখ হাতরে দেখেছি চশমা বদলের মতন কয়েক মিনিট আলোড়ন...চশমাটা তার ঠিক জায়গাতেই ছিল। তবে কি আমিই সত্যি...? তাহলে কি আমার দোলার কোন সমসসা...???  না না তাই যদি হয় তবে এমন সত্য খুব বেশী চাইনা আমি আর।

স্নেহা............খুব পরিচিত একটা কণ্ঠস্বর, হাজার হাজার মাইল দূর থেকেও স্পষ্টই শুনতে পেলাম। স্নেহা ডাকের বেকুলতায় যাকে মনে হয়েছিল নিতান্তই এক বেথিত কিশর, আসলে তিনি আর অন্য কেও নন আমাদের সবার অতি প্রিয়ো মিসবাহ ভাই। এমন জমিন নিংড়ানো ডাকের আকুলতায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেল। রুমে আলো-আধারের খেলা। বাহিরে ঘোন কুয়াশা...যত দূরে চোখ যায় মনে হয় কুয়াশার কাফনে ঘেরা পুরো শহরটা। সময়টা অনুমানের বৃথা চেষ্টা...কোথাও কোন শব্দ নেই। আজকাল আমার প্রায়ই এমনটা হয়, সবসময় দিন মনে হয়...সবসময় রাত মনে হয়...দিন আর রাতের তফাৎটা ঘুচেছে অবশ্য আমার দেশের মাটি থেকেই। সময় মাপার যন্ত্রটা আমাকে জানিয়ে দিল এ দেশের সকালের আগমন। দাদাভাই (মিসবাহ) এর ডাকটা এখনো আমার কানে ঘুরে ঘুরে বাজছে...মনে মনে মিসবাহ ভাইকে হাজারবার ধন্যবাদ জানালাম এমন একটা সুন্দর ভোর আমাকে উপহার দিবার জন্য। আর উপরওয়ালার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আমার জীবনে আরো একটি সুন্দর সকাল দানের জন্য। খুব লোভ হোল সূর্যোদয় দেখার...কিন্তু এখানকার আকাশে সূর্যোদয়ের খুব একটা প্রচলন নেই...খুব সৌভাগ্য করে ২/১ জন তা হটাৎ দেখা পায়, তাদের তালিকায় আমার নাম নেই...

হাতে অনেকটা সময়...একদম নষ্ট করা যাবেনা...ডাকবাক্স হাতড়ে বেড়াই একটি চিঠির খোঁজে অনেক চিঠির মাঝে...কিন্তু তোমার জলচিঠি পরে একটু অবাগ আর নিরাশই হোলাম বটে। কোথায় আমার খুশী হবার কথা...কিন্তু আমার খুব রাগ হচ্ছে দাদা, যেমনটা রেগে আছে আমার নীলা দিদিভাই তাকে ভুলে যাবার অপবাদে। কতোখানি খেপেছি টের পাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত...তাই বলে ভেবোনা আড়ি তোমার সাথে...আমি তোমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাব, জ্বালাবো আমৃত্যু.............

প্রথম হোঁচটটা খেলাম তোমার মেঘ হয়ে আমার কাছে ছুটে আসার যান্ত্রিকতা দেখে...কেন সম্ভব নয়...? কেন তুমি মেঘ হয়ে যেতে পারলেনা, পারলেনা কেন শঙ্খচিল পাখির বেসে আমার কপালে......?????? তবে কি তোমার আসার ইচ্ছেটা ছিল নিতান্তই সৌজন্যমাত্র...??? আমি জানি এটা তোমার অন্তরেরই...তবে কোন কারনে তুমি সামান্য ডিস্টার্ব, তাই তোমার মনের সামান্য দূরত্ব......আমার অনুমান শক্তি কিন্তু খুব প্রখোর... আমার মতে পৃথিবীতে ভৌগোলিক দূরত্ব বলে কিছু নেই...যদি না থাকে মনের দূরত্ব...দাদাই (শৈবাল), নীলা দিদিভাই, ফুল দিদিভাই আর নিশা দিদিমনিকে এখানে আমার তীব্র প্রয়োজন চুলচেরা হিসাবে...

৮ তারিখ তোমার বই বের হচ্ছে...এখানে তোমার আমার বই বলে কিছু নেই...লিখেছ তুমি সবার জন্য... এই বই উন্মুক্ত হোক সবার জন্য... এই বই সবার...এই বই সারা বাংলার...৮ তারিখের জন্য আমার সর্বাধিক শুভাকাংখা রইল...নতুন বইয়ের গন্ধ তুমি পাঠানোর আগেই দেশ ত্যাগের পূর্বক্ষণে সর্বাঙ্গে মেখে এনেছি...এর মিষ্টি মিষ্টি সুভাস আমি ক্ষণে ক্ষণে উপলব্ধি করি...নতুন বইয়ের গন্ধ দীর্ঘজীবী হোক...

দ্বিতীয় হোঁচট জলচিঠির শেষের দিকের তোমার একটি বাক্য---“শেষ করার আগে একটা ছট্টকথা"......শেষ আবার কি...? তোমাকে তো গত চিঠিতে বলেইছি জলচিঠির যাত্রা শুরু হোল, হয়তো লেখা শুরু হোল......জলচিঠির শেষ বলে কিছু নেই দাদা...নিত্যদিনের একঘেয়ামী ঘুমের ঘোরে স্বপ্নদলের পিছু ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত স্নেহা জলচিঠির কাছে তৃষ্ণা মিটায়...দাদা স্নেহা আরো জল চায়...আরো...আরো..........

মুক্তসত্য মালী তুমি... উদার চিত্তে প্রফুল্ল সারা পৃথিবীময় ফুলের গন্ধ বিলাতে বিলাতে আজ তুমি আমার হাঁসপাতালের সামনে এসে থমকে দাঁড়িয়েছ... ও দাদা তোমার উদারতায় কখন যে ফুলের গন্ধ ফুরিয়েছেগো......এখানকার হাসনাহেনাগুলোও অনুর্বর...এদের রং-গন্ধের বালাই নেই...এসব হাসনাহেনার গন্ধ ধার করে অন্তত আমার হাসপাতালের গন্ধ দূর করা অসম্ভব। তাতে কি...? তুমিতো মুক্তসত্য মালী...বরং আমার হাসপাতালের সামনে একটি হাসনাহেনার উর্বর বীজ বপণ করো...যত্ন করে রত্ন গোঁড়...শুধু আমার হাসপাতালের গন্ধই দূর হবেনা......একটি মুক্তসত্য মালীর উর্বর হাসনাহেনার মুক্ত গন্ধ এই পুরো যান্ত্রিক দেশটায় ছড়িয়ে যাক......

রজনীগন্ধা আমি এখনো ভালোবাসি দাদা, ভালোবাসি, হাসনাহেনা, টিউলিপ, গোলাপও। বাঁচতে আমি এখনো চাই ফুলের গন্ধে ফুলের পাশে ফুল হয়ে তোমার মুগ্ধতায়......

খুব ইচ্ছে করছে মগ ভর্তি লাল চা...খুব্বব্বব্বব.........মগ ভরে না হোক একটুও যদি......একটু অপেক্ষা করো দাদা...এই মুহূর্তে নিয়োন্ত্রকেরা কেউ নেই...সুযোগটা কাজে লাগাই...টি ব্রেক......তাই বলে ভেবোনা তোমার মতো কফি ব্রেকের নাম করে কফির মগে ডুব দিয়ে পিঁপড়া খোঁজা শুরু করব...আমি এক্ষনি আসছি...জাস্ট ৫মিনিট চোখ থেকে চশমাটা খোলো, দেখো তোমার স্নেহা কতো উজ্জ্বল......  
দেখলে তো দাদা সত্যি আমি কতো দীপ্তিময় ...তোমার মতো কবিতা শুনাব বলে ফাঁকি মেরে উড়ে যাওয়া নয়...চশমাটা চোখে দাও এবার...৫মিনিট তো হয়ে গেলো... এই মুহূর্তে আমার গুরুজী মাহী-দার আবৃতি শুনতে বড্ড মন নড়ছে...মিল্টন ভাইকে জানালে একটা ব্যবস্থা হয়তো তিনি ঠিক করতে পারতেন...

তোমার তাবত বসন্তকে গ্রহন করলাম দাদা...এখানেও বসন্ত আসে, তবে উৎসবের হাওয়া নেই...শুনেছি বসন্তের আগমনের দিনে এই দেশে ঘন তুষারপাত হবার কথা আর সেই উপলক্ষে সরকারী ছুটিও হয়ে যেতে পারে। এই দেশের আবহাওয়া বার্তা আমার দেশের মতো মিথ্যে বলতে জানেনা...তাই শতভাগ সত্য ধরেই আমি বসন্ত বরণে ফাল্গুনের অপেক্ষায় রইলাম.........আমার প্রিয় বসন্ত বলে কথা। জানিনা ঐ দিনটা আমাকে জন্মদিনের মতো ঘুমিয়ে কাটাতে হবে কিনা...ঘুম হোক আর মরন হোক উপরওয়ালার ইচ্ছায় আমি স্বপ্নের মধ্যেই......

রাজবতী সেজে যাব রঙ্গালয়ে...
পরাগের মতো ফু দিয়ে উড়াব দৃশ্যলোক...
আমি মৌমাছি হয়ে উড়ে বেড়াবো
একদল মৌমাছির সাথে...
আমি ফুলের পাশে ফুল হয়ে ফুটে দেখব
তাকে ভালোবাসতে পারি কিনা...
আমি দিয়াশলাই জ্বালিয়ে
ফাল্গুনের আগুন ঝরিয়ে দেখব
ও গাঁয়ে আমার কোন ঘরবাড়ী আছে কিনা...

জন্মদিনের কথা বলতেই মনে হোল...জন্মদিনটা খুব দারুন কেটেছে দাদা...ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে গিয়ে স্বপ্নদলের সাথে... হাই বেবী আর বদ বেবীদের নিখুঁত কৌশলে...

কাল ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২৭ মাঘ ১৪১৮ তারিখ আমার প্রথম বড় অর্থ ব্যায় শুরু...আচ্ছা দাদা, তুমি কি কখনো শুনেছ যে নিজের রূপ, লাবণ্য, উড়ো হাওয়ার ঝলমলে কেশ বিসর্জনের জন্য লক্ষ্য লক্ষ্য অর্থ অপচয় করে...? এতো ভালো হয় কি মানুষ নিজের ক্ষতি করে...??? অমন ভালো মানুষ সাঁজার কোন ইচ্ছে আমার অন্তত নেই...এটা বোধয় অমোঘ নিয়মের জোর দাপট......

তোমার জলচিঠিটা অনেকবার পরলাম শুরু থেকে শেষ...এতো কথার খৈ ছড়িয়েছ তবুও এতো নিষ্প্রাণ কেন লেখা দাদা...??? কেমন যেন একটা বিষণ্ণতা কাজ করছে তোমার ভীতরে, শুনো দাদা তোমার লেখা পড়ার আগে আমি তোমার ভিতরটাকে পড়ি...ভুলে যেয়োনা আমি কিন্তু তোমারই বোন...খানিকটা চিন্তিতও লাগছে তোমাকে...কি হয়েছে আমায় খুলে বলো সবটাই সত্যি। চিঠিতে তুমি কারো কথাই জানাওনা...কারো কথা কিচ্ছু বলোনা...আমার যে সব জানতে ইচ্ছে করে...সব কিছু, সবার কথা...খুব মিস করি সব্বাইকে...আসার সময় জয়-দাদাকে বলে আসতে পারিনি, জয়-দাদাকে বলে দিয়ো এখন আমি বেশ ভালই আছি, তার কথা খুব মনে করি...অনেকদিন পর কল্লোল-দাদার একখানা পত্র পেলাম...কল্লোল কর্মকার, কল্লোল-দাদাকে বলো তার কথাও খুব মনে পড়ছে, আর বলো আমার নাম্বারটা হারিয়ে ফেলে ভালোই হয়েছে...কারন ঐ নাম্বারটা এখন আর কোন কাজেই আসবেনা...জানিয়ে দিয়ো স্নেহা এখন বেশ ভালোই আছে...যন্ত্র নিয়ে খেলা করে। আমার ওয়ালে সুভ্র-দার নিঃশব্দ ডাক শুনতে পেলাম...খুব মিস করছে আমাকে, টের পেয়েছি অনুভবে...কারো তার বার্তায় জানিয়ে দিয়ো আমিও তদ্রুপ নিঃশব্দে... তার সাথে সমানে সমানে......

অনিক নামে একজন লেখক ছিলেন, লেখালেখির পাশে চমৎকার ছবি আঁকার হাতটাও তার পাকা ছিল...আমাকে কবি বলত, আমি খুব ভড়কে যেতাম...আজ খুব ইচ্ছে হচ্ছে শুধু তার জন্য কবি হয়ে যেতে...অনিককে বোলতো আমার জন্য একটা জলছবি আঁকতে...শেখ নজরুল একজন কবি, ২/১টা লেখা পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল, কবিতা লেখায় বেশ পটু...তার কবিতার বই আমার হাতে আজো পৌছাতে পারেনি...অভিযোগটা তার কানে তুলে দিয়ো...

ভালো কথা দাদা তৌহিদ ভাইকে জানিয়ে দাওতো...আমার বেলুনগুলো যেন সব উড়িয়ে দেয়...যেদিন মেঘ ডাকবে তার মনে......বোলো তাকে...

তার স্নেহা ভোরের কুয়াশার এক বন্ধু
তার এক হাতে আছে মনের চাহিদা
অন্য হাতে রয়েছে অন্তরের বিশ্বাস...

এই বিশ্বাসেই তার স্নেহা বেলুনগুলো ঠিক ঠিক পেয়ে যাবে, যত বজ্রপাতই হোকনা কেন......

এইরে কিসের যেন গন্ধ টের পাচ্ছি, ভুল বললাম গন্ধ নয় সুবাস... মনে হোচ্ছে শিমূল ফুল... ওমা শিমূল আবার নিজেকে আবিস্কার করলো কবে থেকে...? বেশ ভালো লক্ষন তো...শিমূলেরাও সুবাস ছড়াতে শিখেছে... সে যতোই সুবাস বিলাক এখন আমি এখান থেকে নড়ছিনা...ওর ওখানে গেলেই লম্বা সময় নিবে...আমি আরো কিছুক্ষন থাকতে চাই এইখানে, এই ঘরে...এই মনে...

দাদা মমোটা বড় জালাচ্ছে...ওকে কিছু বলবে......?

----------------------
স্নেহা। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২, ২৬ মাঘ ১৪১৮



স্নেহা,

শঙ্খনীল সন্ধ্যায় নক্ষত্রের নামাবলি
গায়ে জড়িয়ে তোমার জন্য
অনন্তকাল সরোবরে ছিপ ফেলে
বসে আছি।মরুভূমিতে ছায়া
রচনা করেছি কেবল তোমারই জন্য
আর নিঃসঙ্গ চোখের মতো,
দূর প্রান্তবাসী নীরব তোমার দুল
যুগ যুগ ধরে তাকেই গোলাপ ভেবে
সব কবি ভুল করছে!

গতকাল তোর চিঠি পেলাম একরাশ অভিযোগে। মেঘ হয়ে আমি যে তোর পাশেই আছি সেটা যে তুই বুঝলি না সেটা দোলার কান্না আর তোর হাসির মতই লাগলো। তুই তো শুধু আমার বোন না মা ও সেটা ভুলে গেলি! নার্গিসের ছেলেটার জ্বর পুছকি মেয়েটা মা এখনো এত ছিঁচকাঁদুনে কি বলবো বল।

এখানে এখন সন্ধ্যা আযান আর উলুধ্বনিতে ভাসচ্ছে ধুপের গন্ধ এমন সময়টা আমার সবচেয়ে প্রিয়। অমাকে সবচেয়ে ভাল পড়তে যদি পারে সেটা তুই হ্যাঁ আমি একটু বিষন্ন গুটিয়ে আছি নিজের ভেতর। সব গান একসুরে হয়না বিটু,সব কবিতা টিকে থাকে না মহাকালের পাতায় তবু আমরা পথ চলি। আমুদা চিটাগাং আমুদেই আছে। বাকীরা তো আর আমার খোঁজ দেয় না তাই তোকে জানাতে পারিনি।  

অন্ধকার ঘিরে আসচ্ছে। আমার দোকানের চেয়ার থেকে বসে যে একচিলতে আকাশ দেখা যায় আজ সেখানে পূর্ণিমার চাঁদ।
কিচ্ছু চাইনি তো কখনো
অপরাজিত প্রেম
হারাবার ভয় নেই।
আজ তাই
ঘুনধরা একচিমটি আকাশ চাই
ভালবাসার!
কফি খাবি? অপেক্ষায় থাক ফিরছি কফি হাতে।

এই দেখ আজ তোর চেয়েও তাড়াতাড়ি ফিরলাম। বইমেলায় যাওয়া হচ্ছেনা আমার হয়ত। মম তোকে কেন এত জ্বালাচ্ছে কফিতে চুমুক দিয়েই উদ্ধার করলাম। দেখি তো ভেবে পাস কিনা। নীলা তোর প্রতিদিন খোঁজ নিচ্ছে তোর নাম্বারটা ওকে দিস।  মমকে বলিস তোকে একটা নাক কান গলার ডাক্তার দেখাতে।  হাসনাহেনার গন্ধ তোর নাকে যাচ্ছে না বলে সন্দেহ জাগলো আর কি!
আমার চশমার পাওয়ার আরো বেড়েছে। তাই বারবার চশমা খুলতে বলবি না।

তোর উত্তরের আশায়.. তুষারময় ভালবাসায়
দাদা।


Previous Post Next Post