শৌনক দত্ত



কয়েকদিন ধরেই কলটা আসছে। অদৃজা আর পুরান ভেতরে ভেতরে খুব অস্থির কেউ কাউকেই কিছু বলছে না অথচ বারবার বলতে গিয়ে যেন আটকে যাওয়া।  অদৃজা আর পুরানের সমন্ধ করে বিয়ে এই অগ্রহায়ণে বছর ঘুরবে।

অদৃজার কথা বলতে মন্দ লাগেনা।  নির্জন দুপুরে প্রথম প্রথম কলটা এলে বিরক্ত লাগতো এখন বেশ লাগে অনেকটা সময় কাটে কবিতায় গানে কত অজানা কথা কত জায়গার স্বপ্ন । এখন অদৃজা কলটির অপেক্ষা করে রোজ আর ভাবে পুরান যদি এমনটি হতো।

অফিস থেকে বেরোতেই পুরানের মোবাইলে মেসেজ আসে।  বাড়ী ফিরতে ফিরতে মেসেজে কতকথা হয়ে যায়।

আজ কফিসপে দেখা করার কথা, সময় গড়িয়ে গেছে সময়ের নিয়মে অদৃজা অপেক্ষায় সাগর নীল শাড়িতে। এতদিন যার সাথে কথা তাকে দেখার সময় যেন কাটছেনা।  প্রতীক্ষার অস্থিরতা কাটছেনা কিছুতেই। ঘড়ির কাঁটা যেন থেমে গেছে।

পুরান আজ হাফ ছুটি কাটিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। অনেক কষ্টে যোগাড় করা রনোড্রেনড্রন আর ক্যামেলিয়া নিয়ে সে গিয়ে দাঁড়িয়েছে মোড়ে। নিজের গাড়ি নেয়নি। একটা ট্যাক্সি ধরলো।  পরনে জিন্স আর গম রঙের টিশার্ট।  একটা বুকস্টোরে গাড়িটা দাঁড় করিয়ে একটি কবিতার বই নিলো।

অদৃজার অস্থিরতা বাড়ছে এভাবে একা একা বসে থাকা মানে হাজার জোড়া চোখ খুঁটে খুঁটে দেখে।
-ম্যাডাম কি কিছু অর্ডার করবেন।
উত্তর দিতে ইচ্ছে করলো না মাথা নেড়ে অসন্মতি জানালো অদৃজা।  টেবিলে গানের সিডি। একবার ঘড়ি দেখেলো তারপর আবার চেয়ার থেকে উঠেই পড়বে তখনই শীতাতপ দরজা ঠেলে গরম হাওয়া সটান হেঁটে এলো। সিডির সাথে গল্পে বসে গেলো কবিতার বই আর রনড্রেনড্রন ক্যামেলিয়ার সাথে শিউলি বকুল।  রিং বাজচ্ছে,ম্যাসেজ টোন বাজচ্ছে আর কফির মগে নতুন করে চেনা দুটি মানুষ কিংবা একটি প্রেম...

ছাদ,রাত


পরিচিতি
Previous Post Next Post