প্রণব বসুরায়



অপ্রত্যাশিত সূত্রে জানিলাম যে টেডি বিয়ারের বিপুল পরিমান আদর ও চাহিদা হইয়াছে —একবার হস্তগত হইলে উহা যথেষ্ট নোংরা না হওয়া পর্যন্ত কেহ তাহাকে পরিত্যাগ করিতেছে না এবং তাহাকে লইয়াই নিজস্ব কাজকর্ম সারিতেছে।

অতএব আসন্ন বসন্ত-উৎসবে সাধারণ্যে বিতরণের জন্য বেশ কয়েকটি টেডি বিয়ার সংগ্রহ করিয়া ফেলিলাম। কিন্তু, বর্তমানে শরীর স্বাস্থ্য বিশেষ জুতের না হওয়ায় নিজের উপর পুরা ভরসা রাখিতে না পারিয়া এক বেলুনওয়ালার সহিত চুক্তি করিলাম—যে ব্যক্তি দুইটি বেলুন কিনিবে তাহাকে একটি টেডি বিয়ার বিনামূল্যে বিতরণ করিবে। প্রথমে সে রাজি হইতেছিল না এই বলিয়া যে টেডি বিয়ারের প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে তাহার কোন সম্যক জ্ঞান নাই। তাহাকে বুঝাইলাম যে টেডি বিয়ারকে কোলে স্থান দেওয়া যায়, উরুর নীচে রাখিলে পায়ের আরাম হয়, উহাকে বালিশের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা চলে ও অন্যকে দেখাইয়া আদর সোহাগ বর্ষণ করা যায়। শুধু এইটুকু বলিলাম। সে ধুরন্ধর-- রাজি হইয়া গেল।

আমার সংগ্রহ হস্তান্তর করিয়া তাহাকে একটি বিশেষ অনুরোধ জানাইলাম—বসন্ত উৎসবের ঘোর কাটিয়া গেলে আপন আপন ডেরায় প্রত্যাবর্তনের সময় অনেকেই সাময়িক স্মৃতি বহনে অনিচ্ছুক থাকে বলিয়া টেডি বিয়ারগুলি পরিত্যাগ করিয়া যাইবে—সেই পরিত্যক্ত পুতুলগুলি সংগ্রহ করিয়া আমাকে যেন ফিরৎ দেয়। সে আপত্তি করিল না।

আমি পুতুলের সহিত আলাপ করিবার ভাষা শিখিয়াছি। তাহাদের অভিজ্ঞতা আপনাদের জানাইব ভাবিয়াছি কেননা আমি ইহা সবিশেষ জানি যে আপনারা প্রকৃত সমজদার।

আপনাদের প্রতিক্তিয়ায় আমারও আগ্রহ আছে, জানিবেন।

Previous Post Next Post