বসন্ত এসে গেছে
১।
রবীন্দ্রনাথ বলছেন , “বিরহ মধুর হল আজি” …
সুচিত্রা মিত্রের স্বর ছড়িয়ে যাচ্ছে এ ঘর থেকে ওঘর,
ঝুরঝুর পাতা ঝরা শীতে যত অভিমান আছে তোমার ।
উজার করে দিও বাগানের গাঁদার ওপর ছিটিয়ে পড়া রোদ্দুরের মত,
শুধু আমাদের মাঝে শৈত্যটুকু রেখো না।
পৌষালী শীতলতাকে কুড়িয়ে নিওনা
চন্দ্রমল্লিকার পাপড়ি ছোঁওয়া শিশিরদানা থেকে,
অন্ধ কুয়াশায় ঢেকো না লেবুফুলের গন্ধভরা তুলসী তলা,
শীতের বাতাস হয়ে চুপিসারে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস আর চাই না।
মাথায় হাত বোলানোর হাতটা একটু ছুঁয়ে দাও আবার,
যন্ত্রণা নয়, ঘৃণা নয়, কোন আঘাত নয়,
শুধু ভালবাসাই তো দিতে চেয়েছিলাম ।
এখন, একটু উষ্ণতা দাও,দাও একটু রোদ্দুর,
শরীরে অরণির ঘর্ষণে ঘর্ষণে আগুন জ্বলুক ,দাউদাউ নয়,ধিকিধিকি।
মুঠোফোনের ফ্রিকোয়েন্সি চেনা কণ্ঠটাকে বয়ে আনুক উষ্ণতার মোড়কে
পারফিউমের চেনা গন্ধটা, গোলাপের গন্ধ হয়ে ঘিরে থাকুক,,
আবছা আঙুলে আঙুলের অদৃশ্য স্পর্শ আগুনের পরশমনি ছুঁয়ে যাক,
ভালোবাসা নি:স্ব হয়ে যাক সমর্পনের আলিঙ্গনের কাছে,
মোবাইলে রিং টোনটা পাল্টে নিই বরং “ বসন্ত এসে গেছে।“
২।
অনেকগুলো পাতাঝরা দিন আর আগুন-পোহানো রাত পড়ে রয়েছে পিছনে....
সামনে সাদা বালি-বালি রোদের ঢেউতোলা পথ অথবা রাতচরা রেশমী রাস্তা
তারপরেই সবুজের স্বপ্ন চোখে মেখে শবরীর মত প্রতীক্ষায় যে ঋতুমতী বিকেল
তার খোলাবুকেই নি:শর্ত আত্মসমর্পন!!!
লজ্জায় লাল তখন শেষসূর্যের আলোও...
আকাশে বাতাসে কানাকানি...গাছে ঘাসে ফিসফিসানি..বন্য গুঞ্জন
ইঁট কাঠের শহর জুড়ে অঙ্কুরোদ্গম উল্লাস
"বসন্ত এসে গেছে..."
৩।
জানলার কাঁচে শীতার্ত জলবিন্দু,
চিরাচরিত প্লবতায় নেমে যায় মাটির দিকে,
অসীম মমতায় কাঁচের উল্টোপিঠে গাল ছুঁইয়ে বুঝে নিই
ঠিক কতটুকু উষ্ণ হলে চুম্বনে তপ্ত হবে নবজাত বাসন্তি সকাল।
বারবার ছুঁয়ে দেখি দখিণা হাওয়ার উড়ু উড়ু বেহিসাবী উত্তরীয়।
এখনো রোদরঙা গুঁড়ো গুঁড়ো মেঘ লেগে আছে।
পরিযায়ী মন, মধুমাস তো শহর জুড়ে এসেই গেছে,
ইট কাঠ পাথরে, ঘাস ফুল পাতায়, গলি রাজপথে, মানুষের মনে,
তুই কবে ফিরবি শবরীর প্রতীক্ষাঘরে?
৪।
শীতজোছনায় ফুরিয়ে যায় হলুদ ক্যালেনডুলা দিন।
মাঠ জোড়া সরষ ক্ষেতে হলুদও সোনাঝুরি আলোয় আলোময় হয়ে আসে।
কম্পমান শিশিরের ফোঁটায় আর্দ্র হয় বসন্তের নবীন কিশলয়।
অঙ্গাঙ্গী আবেষ্টন তৃষায় মধুরাত নামে গৃহস্থের বিছানার চাদরে।
পোড়ামাটির ভাস্কর্য্যে যেমন লেগে থাকে নৃত্য ও নাট্যমুদ্রা–
শীতের ফেলে যাওয়া নক্সীকাথাঁয় রঙ ধরায় বসন্তের বর্ণালি আল্পনা।
১।
রবীন্দ্রনাথ বলছেন , “বিরহ মধুর হল আজি” …
সুচিত্রা মিত্রের স্বর ছড়িয়ে যাচ্ছে এ ঘর থেকে ওঘর,
ঝুরঝুর পাতা ঝরা শীতে যত অভিমান আছে তোমার ।
উজার করে দিও বাগানের গাঁদার ওপর ছিটিয়ে পড়া রোদ্দুরের মত,
শুধু আমাদের মাঝে শৈত্যটুকু রেখো না।
পৌষালী শীতলতাকে কুড়িয়ে নিওনা
চন্দ্রমল্লিকার পাপড়ি ছোঁওয়া শিশিরদানা থেকে,
অন্ধ কুয়াশায় ঢেকো না লেবুফুলের গন্ধভরা তুলসী তলা,
শীতের বাতাস হয়ে চুপিসারে বয়ে যাওয়া দীর্ঘ নিঃশ্বাস আর চাই না।
মাথায় হাত বোলানোর হাতটা একটু ছুঁয়ে দাও আবার,
যন্ত্রণা নয়, ঘৃণা নয়, কোন আঘাত নয়,
শুধু ভালবাসাই তো দিতে চেয়েছিলাম ।
এখন, একটু উষ্ণতা দাও,দাও একটু রোদ্দুর,
শরীরে অরণির ঘর্ষণে ঘর্ষণে আগুন জ্বলুক ,দাউদাউ নয়,ধিকিধিকি।
মুঠোফোনের ফ্রিকোয়েন্সি চেনা কণ্ঠটাকে বয়ে আনুক উষ্ণতার মোড়কে
পারফিউমের চেনা গন্ধটা, গোলাপের গন্ধ হয়ে ঘিরে থাকুক,,
আবছা আঙুলে আঙুলের অদৃশ্য স্পর্শ আগুনের পরশমনি ছুঁয়ে যাক,
ভালোবাসা নি:স্ব হয়ে যাক সমর্পনের আলিঙ্গনের কাছে,
মোবাইলে রিং টোনটা পাল্টে নিই বরং “ বসন্ত এসে গেছে।“
২।
অনেকগুলো পাতাঝরা দিন আর আগুন-পোহানো রাত পড়ে রয়েছে পিছনে....
সামনে সাদা বালি-বালি রোদের ঢেউতোলা পথ অথবা রাতচরা রেশমী রাস্তা
তারপরেই সবুজের স্বপ্ন চোখে মেখে শবরীর মত প্রতীক্ষায় যে ঋতুমতী বিকেল
তার খোলাবুকেই নি:শর্ত আত্মসমর্পন!!!
লজ্জায় লাল তখন শেষসূর্যের আলোও...
আকাশে বাতাসে কানাকানি...গাছে ঘাসে ফিসফিসানি..বন্য গুঞ্জন
ইঁট কাঠের শহর জুড়ে অঙ্কুরোদ্গম উল্লাস
"বসন্ত এসে গেছে..."
৩।
জানলার কাঁচে শীতার্ত জলবিন্দু,
চিরাচরিত প্লবতায় নেমে যায় মাটির দিকে,
অসীম মমতায় কাঁচের উল্টোপিঠে গাল ছুঁইয়ে বুঝে নিই
ঠিক কতটুকু উষ্ণ হলে চুম্বনে তপ্ত হবে নবজাত বাসন্তি সকাল।
বারবার ছুঁয়ে দেখি দখিণা হাওয়ার উড়ু উড়ু বেহিসাবী উত্তরীয়।
এখনো রোদরঙা গুঁড়ো গুঁড়ো মেঘ লেগে আছে।
পরিযায়ী মন, মধুমাস তো শহর জুড়ে এসেই গেছে,
ইট কাঠ পাথরে, ঘাস ফুল পাতায়, গলি রাজপথে, মানুষের মনে,
তুই কবে ফিরবি শবরীর প্রতীক্ষাঘরে?
৪।
শীতজোছনায় ফুরিয়ে যায় হলুদ ক্যালেনডুলা দিন।
মাঠ জোড়া সরষ ক্ষেতে হলুদও সোনাঝুরি আলোয় আলোময় হয়ে আসে।
কম্পমান শিশিরের ফোঁটায় আর্দ্র হয় বসন্তের নবীন কিশলয়।
অঙ্গাঙ্গী আবেষ্টন তৃষায় মধুরাত নামে গৃহস্থের বিছানার চাদরে।
পোড়ামাটির ভাস্কর্য্যে যেমন লেগে থাকে নৃত্য ও নাট্যমুদ্রা–
শীতের ফেলে যাওয়া নক্সীকাথাঁয় রঙ ধরায় বসন্তের বর্ণালি আল্পনা।
Tags:
দীর্ঘ কবিতা