গল্পটা যেখান থেকে শুরু হওয়ার কথা ঠিক সেখান থেকে শুরু হচ্ছে না । একটু পাশ থেকে , মানে দরজার পাশ থেকে । দরজার পাশ থেকে জুতোজোড়া পায়ে গলিয়ে এই মাত্র বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । তেতলার সিঁড়ি দিয়ে জুতোর ভারি শব্দ আস্তে আস্তে নীচে নেমে মিলিয়ে যাওয়ার কথা ছিল । খোলা দরজাটা কিছুক্ষণ খোলা থেকে আবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল । সবুজ শাড়ির, হলুদও হতে পারে বা আকাশি- শাড়ির পাড় দরজার পাশ থেকে হাত নাড়িয়ে আবার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ছিল । তারপর সারাদিন চুড়ির ঠুনঠান , বা নুপূরের টিংটাং বা আবছা গানের গুনগুন ভেসে আসার কথা ছিল । গল্পটা এরকম ভাবেই শুরু হওয়ার কথা । কিন্তু কিছুতেই তা হচ্ছে না ।
এরকম একটা না গল্প শুরু হওয়া নিয়ে গল্পটা শুরু হতেই পারে । কিন্তু কিছুতেই তাও হচ্ছে না । থমকে থেমে থাকছে । কিন্তু কেন । পাঠক চঞ্চল , পাঠক অস্থির , পাঠক বিরক্ত । এরমকম একটা না শুরু হওয়া গল্প পড়ার কোনো মানে হয় ! একজন পাঠক কিন্তু স্থির । স্থির , শান্ত চোখে তাকিয়ে আছেন না শুরু হওয়া গল্পটার দিকে। বৃদ্ধ , পোড় খাওয়া চোখ তাঁর । এত সহজে অস্থির হওয়ার মেজাজ তাঁর তো নয় । কত গল্পই তো পড়লেন সারা জীবন ধরে। সেই পোড় খাওয়া পাঠকটি কিন্তু অপেক্ষা করছেন না শুরু হওয়া গল্পের শুরু হওয়া টা দেখার জন্য । শেষ দেখে ছাড়বেন কি না । ইয়ে মানে গল্পের শেষ। মানে যে গল্পটা এখনও শুরুই হয়নি তার শেষ ।
গল্পটা থমকে থেমে আছে দরজাটার পাশে । ভারি জুতো পা বেরিয়ে গেল না । সবুজ , হলদে , আকাশি শাড়ি হাত নাড়ল না । চুড়ির ঠুংঠাং নেই। নুপূরের টিংটাং নেই। ‘গুনগুন করে মন ভোমরা যে ঐ’ নেই । একটু শুধু পারফিউমের হালকা ভেসে এল যেন । বাতাস কেমন আজব মাল । বন্ধ দরজাও পার করে সুগন্ধটা বয়ে চুরি করে আনল ঠিক । পৌঁছে দিল অস্থির , চঞ্চল , বিরক্ত পাঠকের ঘ্রানে । আহ , গল্পটা তাহলে শুরু হচ্ছে ভেতরে । কিছুটা স্বস্তি । পোড় খাওয়া বৃদ্ধ পাঠকটি কিন্তু অবিচল । গন্ধ টা ঘ্রাণশক্তি ভেদ করে মস্তিষ্কের সেই কোষ গুলোতে পৌঁছনোর পর , যদি মগজ বলে দেয় ‘তুমি একটা সুগন্ধ পেলে হে’ , তবেই তখন আমরা আহ কি অপূর্ব বলে স্বস্তি নিতে পারি । এ তো স্কুলের বাচ্চাদের বই তে কবেই লিখে রাখা আছে । স্কুলের দিদিমনি , দাদামনি রা পড়িয়েও দিচ্ছেন বছর বছর । তা তে কি ? ধুর ! এই বেশ একটা পারফিউমের গন্ধ দিয়ে শুরু হচ্ছিল গল্পটা , তা না তো যত খিল্লি শুরু হল । বাকি পাঠক রা আবার তেতে উঠছেন । আহা সবে তো ফাগুন মাস , দারুণ এ সময় । তেতে তো উঠবেনই । ‘হাই বেব’ , ‘হাউ আর ইউ বেব?’ , ‘দারুন সেক্সি লাগছে তোমাকে সোনা’ , একদল পাঠক ফেসবুক মেসেঞ্জারে এসব মেসেজ টাইপ করছেন । ছেলে প্রোফাইল , মেয়ে প্রোফাইল , সব প্রোফাইল থেকে সবাই কে । পড়ুয়া , না পড়ুয়া , আপিস করুয়া , না-আপিস করুয়া , সবাই । আহা এই তো জীবন । ছাতার জীবনে এছাড়া আছে টা কি । একটু সেক্সের ছোঁয়ায় না থাকলে জীবন যে কাটানো দায় ।
এই রে কিছু পাঠক (দুঃখিত আমি পাঠিকা বলে মহিলা পাঠকদের আলাদা করছি না ) ক্ষেপে লাল , বেগুনি , হলুদ । ধুর , সবাই কি শুধু যৌনতার টাচ পেতে কথা বলে না কি । একটু ভালোবাসার মাখন , একটু স্নেহ জাতীয় পদার্থ পাওয়ার ইচ্ছে থাকে না সাধারণ মানুষের ? থাকেই তো । ধুর ! এখনও গল্পটাই শুরু হল না । ফালতুবাজি চলছে এতক্ষণ । আঁতেল থুড়ি ইনটেলেকচুয়াল পাঠকরা প্রথম লাইনটাও নির্ঘাত পড়েও দেখেননি । তাদের অন্য অনেক ইনটেলেক্ট ফলানোর কাজ আছে । এসব পড়ে সময় নষ্ট তাঁরা করেন না । আগে বাওয়া নাম ধাম কামাও , পুরস্কার টুরস্কার জোটাও , তখন দ্যাখা যাবে কি লিখেছ – এরকম মনোভাব কিছু পাঠকের । আঁতেল , তেল , তেল ছাড়া , ইত্যাদি বেশ কিছু পাঠক এরকমই ভাবেন । তবু কিছু পাঠক যাঁরা যদি বা পড়তে বসেছিলেন , তাঁরাও এবার শুরু না হওয়া গল্পটা কে ছুঁড়ে ফেলে উঠি উঠি করছেন । গল্পটা আগে শুরু তো হোক । তারপর এসে আবার পড়ে ফেলা যাবেখন । ঐ পোড় খাওয়া বৃদ্ধ-চোখ শুধু নড়ছে না । শুরু এবং শেষ দুটোই দেখে তবে উঠবেন । ইয়ে মানে গল্পটার , যেটা এখনও দরজার আড়ালে । শুধু মস্তিষ্ক সবে জানান দিল যে একটা সুগন্ধ ভেসে এসেছে । কয়েকজন পাঠক আবার এতক্ষণে সন্দেহের চোখে ভাবছেন সুগন্ধ মানেই পারফিউম নাও হতে পারে । রুম ফ্রেশনার গুলোর গন্ধ দিন দিন ফরাসি পারফিউম গুলোর নকল করে ফেলছে । এই তো সেদিন শিলিগুড়ির তিনতারা , চারতারা লাগানো একটা হোটেলে মিনি স্কার্ট পড়া রুম সার্ভিস দিতে আসা মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলে মিস্টি হেসে বলল ‘ওটা রুম ফ্রেশনার স্যার বা ম্যাডাম’ । এর মধ্যে শিলিগুড়ি এল কেন । হচ্ছিল একটা দরজার পাশ থেকে গল্প শুরু হওয়ার কথা , তা তো হলই না । যদিবা সুগন্ধ ভেসে এল , তার মধ্যে আবার শিলিগুড়ি এসে পড়ল । পোড় খাওয়া চোখ কিন্তু স্থির । পোড় খাওয়া বৃদ্ধ পাঠকটি জানেন ওটা পারফিউমেরই গন্ধ । এবং তাঁর চেনা । নাহ কোনো ফরাসি পারফিউম নয় । ‘অরিফ্লেম’ ব্র্যান্ডের উডি স্মেলের মেয়েদের একটা পারফিউম । কনফার্ম এ বিষয়ে । তাঁর মস্তিষ্কের কোষগুলো বলে দিয়েছে । চাবির ঝনাৎ শব্দ । দরজার ওপার থেকে । যাক , প্রথমে পারফিউমের গন্ধ , তারপর চাবির শব্দ , গল্প টা শুরু হয়ে গেছে তাহলে ভেতরে । মানে একটু পরেই কেউ ঠিক দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে । আরেকটু অপেক্ষা করা যাক । টুক করে ফেসবুকে লাইক কমেন্ট গুলো পড়ে আসা যাক , করে আসা যাক । ‘আচ্ছা আমাদের কি ফেসবুক ছাড়া , মেসেঞ্জার , হোয়াট অ্যাপ ছাড়া কাজ নেই ? আমাদের কি মনে করেন কি অ্যাঁ ?’ মনে মনে বলছেন কিছু পাঠক । আহা তা কেন । ‘কত ব্যস্ত থাকি জানেন ? কি বোঝেন আপনি ? বসে বসে ফালতু কিসব লিখছেন । পড়ছি যে এই ঢের জেনে রাখবেন,’ এটাও বলে নিলেন কয়েকজন মনে মনে । আরেকবার চাবির শব্দ । মাটিতে পড়ে যাওয়ার । তারপর তুলে কোথাও একটা রাখার । অ , তা লে ভেতরে কত্তা গিন্নির ঝগড়া , বা প্রেমিক প্রেমিকার মান অভিমান পালা চলছে । গল্প টা শেষ পজ্জন্ত এই , জাস্ট বোরিং । পোড় খাওয়া বৃদ্ধ স্থির । ‘গুনগুন সুরে মৌমাছি গানে স্বপ্ন দোলায় , বলতো কেন ?’, পুরোনো চালু একটা বাংলা সিনেমার কলি ভেসে এল । যাহ শালা , হচ্ছেটা কি মাইরি । পারফিউম , চাবির ঝনাৎ বার কয়েক , এর পর আবার গুনগুন সুরে মৌমাছি! অ , তা লে কত্তা গিন্নি , বৈধ অবৈধ প্রেমিক প্রেমিকা যাই হোক , মাল গুলো সেজেগুজে বেড়াতে বেরোবে আর কি । আজ কি বার । কোন সময় । বেস্পতিবার । দুপুর বেলা । এদের কোনো কাম কাজ নেই না কি রে ভাই । বারবেলা সেজেগুজে বেড়াতে বেরোবে । ছুটির দিন হলেও না হয় কথা ছিল । আগেই বলেছি কিন্তু ‘একে তো ফাগুন মাস দারুণ এ সময়’ , একটা স্মাইলি বা ইমোটিকম দিতে ইচ্ছে করছে এখানে । সে অপশন গল্প লেখার ক্ষেত্রে নেই ......... একটা স্পেশ দিলাম । দরজা খোলার শব্দ খুটুস করে । ভারি জুতো পরা পা নয় । হালকা তোড়া ঘেরা , পাতলা চপ্পল পরা , আলতার দাগ ধোয়া আবছা গোলাপি লেগে থাকা , ফলসা বরণ শাড়ির কালো বরণ পাড় ঘেরা পা দুখানি দরজার অর্ধেক খুলে বেরিয়ে এল । পুরো দরজাটা খুলে দাঁড়ালো পুরুষটি । ফলসা শাড়ি বরণ কালো পাড়ের হাতে একটা ছোটো মাপের লাগেজ , কাঁধে মাঝারি ব্যাগ ।
এই রে কিছু পাঠক (দুঃখিত আমি পাঠিকা বলে মহিলা পাঠকদের আলাদা করছি না ) ক্ষেপে লাল , বেগুনি , হলুদ । ধুর , সবাই কি শুধু যৌনতার টাচ পেতে কথা বলে না কি । একটু ভালোবাসার মাখন , একটু স্নেহ জাতীয় পদার্থ পাওয়ার ইচ্ছে থাকে না সাধারণ মানুষের ? থাকেই তো । ধুর ! এখনও গল্পটাই শুরু হল না । ফালতুবাজি চলছে এতক্ষণ । আঁতেল থুড়ি ইনটেলেকচুয়াল পাঠকরা প্রথম লাইনটাও নির্ঘাত পড়েও দেখেননি । তাদের অন্য অনেক ইনটেলেক্ট ফলানোর কাজ আছে । এসব পড়ে সময় নষ্ট তাঁরা করেন না । আগে বাওয়া নাম ধাম কামাও , পুরস্কার টুরস্কার জোটাও , তখন দ্যাখা যাবে কি লিখেছ – এরকম মনোভাব কিছু পাঠকের । আঁতেল , তেল , তেল ছাড়া , ইত্যাদি বেশ কিছু পাঠক এরকমই ভাবেন । তবু কিছু পাঠক যাঁরা যদি বা পড়তে বসেছিলেন , তাঁরাও এবার শুরু না হওয়া গল্পটা কে ছুঁড়ে ফেলে উঠি উঠি করছেন । গল্পটা আগে শুরু তো হোক । তারপর এসে আবার পড়ে ফেলা যাবেখন । ঐ পোড় খাওয়া বৃদ্ধ-চোখ শুধু নড়ছে না । শুরু এবং শেষ দুটোই দেখে তবে উঠবেন । ইয়ে মানে গল্পটার , যেটা এখনও দরজার আড়ালে । শুধু মস্তিষ্ক সবে জানান দিল যে একটা সুগন্ধ ভেসে এসেছে । কয়েকজন পাঠক আবার এতক্ষণে সন্দেহের চোখে ভাবছেন সুগন্ধ মানেই পারফিউম নাও হতে পারে । রুম ফ্রেশনার গুলোর গন্ধ দিন দিন ফরাসি পারফিউম গুলোর নকল করে ফেলছে । এই তো সেদিন শিলিগুড়ির তিনতারা , চারতারা লাগানো একটা হোটেলে মিনি স্কার্ট পড়া রুম সার্ভিস দিতে আসা মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করলে মিস্টি হেসে বলল ‘ওটা রুম ফ্রেশনার স্যার বা ম্যাডাম’ । এর মধ্যে শিলিগুড়ি এল কেন । হচ্ছিল একটা দরজার পাশ থেকে গল্প শুরু হওয়ার কথা , তা তো হলই না । যদিবা সুগন্ধ ভেসে এল , তার মধ্যে আবার শিলিগুড়ি এসে পড়ল । পোড় খাওয়া চোখ কিন্তু স্থির । পোড় খাওয়া বৃদ্ধ পাঠকটি জানেন ওটা পারফিউমেরই গন্ধ । এবং তাঁর চেনা । নাহ কোনো ফরাসি পারফিউম নয় । ‘অরিফ্লেম’ ব্র্যান্ডের উডি স্মেলের মেয়েদের একটা পারফিউম । কনফার্ম এ বিষয়ে । তাঁর মস্তিষ্কের কোষগুলো বলে দিয়েছে । চাবির ঝনাৎ শব্দ । দরজার ওপার থেকে । যাক , প্রথমে পারফিউমের গন্ধ , তারপর চাবির শব্দ , গল্প টা শুরু হয়ে গেছে তাহলে ভেতরে । মানে একটু পরেই কেউ ঠিক দরজা খুলে বেরিয়ে আসবে । আরেকটু অপেক্ষা করা যাক । টুক করে ফেসবুকে লাইক কমেন্ট গুলো পড়ে আসা যাক , করে আসা যাক । ‘আচ্ছা আমাদের কি ফেসবুক ছাড়া , মেসেঞ্জার , হোয়াট অ্যাপ ছাড়া কাজ নেই ? আমাদের কি মনে করেন কি অ্যাঁ ?’ মনে মনে বলছেন কিছু পাঠক । আহা তা কেন । ‘কত ব্যস্ত থাকি জানেন ? কি বোঝেন আপনি ? বসে বসে ফালতু কিসব লিখছেন । পড়ছি যে এই ঢের জেনে রাখবেন,’ এটাও বলে নিলেন কয়েকজন মনে মনে । আরেকবার চাবির শব্দ । মাটিতে পড়ে যাওয়ার । তারপর তুলে কোথাও একটা রাখার । অ , তা লে ভেতরে কত্তা গিন্নির ঝগড়া , বা প্রেমিক প্রেমিকার মান অভিমান পালা চলছে । গল্প টা শেষ পজ্জন্ত এই , জাস্ট বোরিং । পোড় খাওয়া বৃদ্ধ স্থির । ‘গুনগুন সুরে মৌমাছি গানে স্বপ্ন দোলায় , বলতো কেন ?’, পুরোনো চালু একটা বাংলা সিনেমার কলি ভেসে এল । যাহ শালা , হচ্ছেটা কি মাইরি । পারফিউম , চাবির ঝনাৎ বার কয়েক , এর পর আবার গুনগুন সুরে মৌমাছি! অ , তা লে কত্তা গিন্নি , বৈধ অবৈধ প্রেমিক প্রেমিকা যাই হোক , মাল গুলো সেজেগুজে বেড়াতে বেরোবে আর কি । আজ কি বার । কোন সময় । বেস্পতিবার । দুপুর বেলা । এদের কোনো কাম কাজ নেই না কি রে ভাই । বারবেলা সেজেগুজে বেড়াতে বেরোবে । ছুটির দিন হলেও না হয় কথা ছিল । আগেই বলেছি কিন্তু ‘একে তো ফাগুন মাস দারুণ এ সময়’ , একটা স্মাইলি বা ইমোটিকম দিতে ইচ্ছে করছে এখানে । সে অপশন গল্প লেখার ক্ষেত্রে নেই ......... একটা স্পেশ দিলাম । দরজা খোলার শব্দ খুটুস করে । ভারি জুতো পরা পা নয় । হালকা তোড়া ঘেরা , পাতলা চপ্পল পরা , আলতার দাগ ধোয়া আবছা গোলাপি লেগে থাকা , ফলসা বরণ শাড়ির কালো বরণ পাড় ঘেরা পা দুখানি দরজার অর্ধেক খুলে বেরিয়ে এল । পুরো দরজাটা খুলে দাঁড়ালো পুরুষটি । ফলসা শাড়ি বরণ কালো পাড়ের হাতে একটা ছোটো মাপের লাগেজ , কাঁধে মাঝারি ব্যাগ ।
‘তিস্তা তোর্সা তো সেই মাঝরাতে, এত আগে বেরোতেই হতো?’
‘ঘুরে দেখবো , পুরোনো যা কিছু । পথ-ঘাট’ ।
‘আমি গাড়ি নিয়ে পৌঁছে দিলে তোর ঘুরে দ্যাখা হত না?’
‘নাহ । একা ঘুরব। তুমি কি আমার যা কিছু পুরোনো সব চেনো ?’
‘না । যা নতুন তাও চেনাবি না?’
‘নতুনের মধ্যে তোমারও তো নতুন জন্ম হবে , চিনে নেবে নতুন এসে তোমাকে’ ।
‘যা, মানে আয়’ ।
‘এসব মানো ?’
‘আজ থেকে । যা বলতে নেই’ ।
‘শিলিগুড়ি যাবে তো কখনও । খোঁজ করো না’ ।
দরজার ওপ্রান্ত চুপ । দরজার এপ্রান্ত থেকে ফলসা বরণ শাড়ির কালো বরণ পাড়ে ঘেরা পা দুখানি ধীরে ধীরে নেমে যেতে লাগল তিনতলা থেকে দোতলা হয়ে একতলা হয়ে... গতি ধীর । নতুন কোনো সম্ভাবনা শরীরে । তাই একটু সাবধানী ।
সব পাঠক এখন শুধু চুপ করে গেছেন, স্থির হয়ে গেছেন , থেমে গেছেন । পোড় খাওয়া বৃদ্ধটি শুধু অস্থির , চঞ্চল । গল্পটা তো এরকম হওয়ার কথা ছিল না । গল্পটার শুরু হল না , গল্পটার শেষ হলনা । গল্পটা গল্প হল না ।
......... পাঠক সকল , এখনও বসে আছেন ? থেমে থমকে আছেন ? একটা না শুরু হওয়া গল্পের না শেষ হওয়ার রেশটুকু ভালো লাগল কি লাগল না জানাবেন । না জানালেও ক্ষতি নেই অবশ্য ।
Tags:
গল্প