জয়া চৌধুরী

গোলাপ
লাল টকটকে কিছুটা কালচে ওদের ত্বক
অন্যমনস্ক হয়ে হাত সরাতে গিয়েই চলকে জল পড়ল
কতগুলো কথা মুঠোয় পুরে সারাক্ষণ একাজ ওকাজ অকাজ
সারাদিন কতটা সময় পারি বলো তো?
ভোরবেলায় ভাঙা ভাঙা ঘুম জড়ানো ভালো আছিস?
বিছানায় ঘুম ভাঙিয়েও হঠাত আদর কী জানি
ঘর অফিস মানুষ না পারা হ্যাঁ বলা ভিড় শুধু ভিড়
উফফ সারাটাদিন তুমি নেই,  নেই  নেই
কালচে মদির পাপড়ি রঙে আমার ঘর ছাওয়া সেই সুগন্ধটাও
তোমার একান্ত প্রিয় যেমন আমার তোমাকে
হাত পুড়ে যায় পা মচকায় জল পড়ে অবিরাম অনিবার অভিসার
ধ্যাত্‌

পারিনা আমি পারি না আমি পারি না তো আর
তোমাকে ছাড়া ...সোনামন



আছি আমি 


আমি জানি সামনে তোমার বাড়ি
ছায়া সুনিবিড় গোয়ালে গরু ঘরে ছানা
বিছানায় আপনজন আর সমাজে সঙ্গী মন
আমি দেখি তোমার পিকচার পারফেক্ট সুখ
আর মনের জালে তোমার গোপন দুঃখের টনটনানিতে
দুপুর রোদে হাত বাড়িয়ে ছায়ায় ঢাকি উঠোন
রোজকার আচার পাহারায় আর কাক তাড়াতে
ঝিমুনি এলে হাত থেকে পাঙ্খা খসে পড়ে
মাথা ঠুকে দাও তুমি জাগিয়ে
তড়িঘড়ি চোখ ডলে তোমার চরণের ময়লা তুলে দিই।
স্নানের সময়টা তোমার প্রসাধনের
তোমাকে সুন্দর সাজাত ভালো লাগে
না খেয়ে বেলা গড়িয়ে এলে একা বটগাছ কুঁকড়ে যাওয়া পাতা
তোমার গরুকে খানিক খাওয়াও আর
জলের গামলা উপুড় করো আমার গোড়াতে
আমার তেষ্টায় মন গলে যায় তোমার
আমার রাজার মত কপাল তোমার ভালবাসার তাপে
গলতে থাকে চোখ চিবুক বালিশ ভিজিয়ে
রেগে গেলে তুমি বল আমি তোমার উঠোন
পাতায় ছিটেল করে রাখি
কাক পায়রার মল সাজিয়ে তোমায় জব্দ করি
তোমার আজই আমায় কোতল করার মন।
মরেই যেতাম জানো?
তোমার আদর মাখা মুখ মনে পড়ে গেল যেই-
নাঃ
বট নামে তো তুমিই চিনেছিলে প্রথম
আর তো সবাই কচু ঘেঁচুর তফাত বোঝে নি!
তুমি না কাটলে থাকুকই না বটগাছ
তুমি কাঁদলে মোছার জন্যই থাকি!



নিকটে


শরবিদ্ধ হয়ে যাই কখনো
রাজহংসের পিঠ বেয়ে ঘাড়ে মুখ ঘষি
বুঝি সব খেয়ালের দন্ডে গড়িয়ে পরে রক্ত
আহা তোমাকে আমার জানি বলেই এত কষ্ট দিই!
এ ঘোর অপরাধে আমায় দূরে ঠেলো না প্রেম
এ ঘর ও ঘরের কত চোখের জল ইচ্ছেরা
ধুলায় গড়িয়ে যাক। তাদের এমনই দেখুন তিনি
প্রগলভতা সরিয়ে দুহাতে জড়িয়েছ যদি
আদরে আনদেখ করো তবু...

বুকছাড়া করো না সোনামন


Previous Post Next Post