ফারহানা খানম



মুন্নিকে সকালে উঠতেই হয় ,রোজ সে ছয়টায় ওঠে আজ সাড়ে ছয়টা বেজে গেল মোবাইলে এলার্ম দেয়া ছিল কখন যে বেজে বেজে বন্ধ হয়ে গেছে বুঝতেই পারেনি । মুন্নি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে নেমেই ফারিহা কে ওঠায় উফফ আজ ওর স্কুলের দেরী হয়ে যাবে , আপুটা যে কি একটু ডেকেও দিল না । যাকগে ফারিহাকে তাড়াতাড়ি হাতমুখ ধুতে পাঠিয়ে বিছানাটা গুছিয়ে, ফারিহার স্কুলের ব্যাগে বই গুছাতে থাকে, এসময় ফুলি চা নিয়ে এলে মুন্নি বলল কি রে আজ এতদেরী হল আমাদের তবু তুই ডাকতে এলিনা আপুও কিছু বলল না আবার চাও নিয়ে এলি কি হয়েছে বলত ? ফুলি বলে ,কি করে জাগাবো সময়ই তো পাইনি খালাম্মা খালু সেই ভোরেই বেড়িয়ে গ্যাছে খালুর এক বন্ধু নাকি এক্সিডেন্ট করেছে । খালাম্মা খালুরে চা দিয়ে নাস্তা রেডি করছিলাম ভাবলাম রোজ তো আপনি নিজেই ওঠেন আজো উঠেছেন তাই ডাকতে আসিনি ,কিন্তু দেরী দেখে একেবারে চা নিয়েই এলাম ।

মুন্নি চা খেতে খেতে বাইরের দিকে তাকায় কি সুন্দর ঝলমলে দিন , গাছের পাতায় তির তির করে কাঁপছে সকালের স্নিগ্ধ আলো , পাখিদের কলকাকলি ভাসছে বাতাসে , এমন একটা দিনের শুরুতে এরকম দুঃসংবাদ শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল । ফারিহা এসে স্কুলের জন্য তৈরি হতে থাকে সেই ফাঁকে মুন্নিও কলেজের জন্য তৈরি হয়ে নেয়।ওরা একসাথেই বের হবে ফারিহাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে মুন্নি যাবে কলেজে ,ফারিহার ব্যাগে টিফিন ভরছিল ঠিক এসময় অচেনা নাম্বার থেকে একটা ফোন আসে ধরতে ধরতে ফোনটা কেটেও গেল। নাস্তা খেতে বসতেই আবার এলো ফোনটা , মুন্নি ধরলো । ঐ প্রান্ত থেকে একজন মহিলা জানতে চাইলেন, আপনি কি সুমাইয়া? 

মুন্নি বুঝল রঙ নাম্বার বেশ ভদ্র ভাবেই বলল জী না আপনি ভুল নাম্বারে ফোন করেছেন ।
মহিলা বললেন না আমি ভুল করিনি আপনি নিজের পরিচয় লুকোচ্ছেন। 
মুন্নিও রেগে গেলো।  কি জ্বালা ... আমি পরিচয় লুকাবো কেন? আমি সুমাইয়া নই আপনি রাখুন বলেই সে নিজেই ফোন কেটে দিল । 

ওদিকে ফুলি আর ফারিহা অবাক হয়ে এই কথোপকথন শুনছিল । ফোনটা আবার বেজে উঠলো মুন্নি ভাবছে কি করবে? এতো ভালো ঝামেলায় পড়া গেলো ! ও এবার ফোনটার সুইচ অফ করে দিল ফারিহার স্কুলে দেরী হয়ে যাচ্ছে । 

ফুলি বলল খালা কেউ মনে হয় শয়তানী করছে ? দিন দেখি আমার হাতে দুই কথা শুনিয়ে দেই তাহলে আর সাহস করবে না । মুন্নি হেসে বলল নারে আর করবে না ভুল নম্বর থেকে ফোন আসছে তুই কাজ করগে যা ,কিন্তু মনের ভেতর একটা বিষ পিঁপড়ে যেন কুটকুট করে ক্রমাগত কামড় বসাচ্ছে , মনে হচ্ছে ফোনটায় একটা রহস্য আছে । 

মুন্নি কলেজের জন্য রিকশা ঠিক করে উঠে বসে তারপর মোবাইলটা অন করে ,কিন্তু মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায় মেসেজ উঠে আছে ঐ একই নাম্বার থেকে আরো পাঁচ বার কল এসেছিল । তবে ভাবার বেশি সময় পেল না আবার কল এলো ,এবার মহিলা ধমক দিয়েই বলল কেন মোবাইল বন্ধ করেছিলেন ভয়ে? 

মুন্নি বলল দেখুন ভয়ে নয় আপনার সাথে বাজে আলাপ করতে গেলে ফারিহার স্কুলে দেরী হয়ে যেত তাই যাই হোক বলুন আপনি কে ? কেন আমাকে বিরক্ত করছেন?

- মহিলা হুবুহু মুন্নির মোবাইল নাম্বারটা বলে বলল এটা আপনার নাম্বার নয়? মুন্নি বলল হ্যাঁ এই নাম্বারেই তো তখন থেকে আপনি কল করে বিরক্ত করছেন।

- মহিলা বলল তাহলে কেন বলছেন আপনি সুমাইয়া নন?
- এখন আমি বলছি আমি সুমাইয়া।  কিন্তু আপনি আমার নাম্বার কোথায় পেলেন ?
এবার মহিলার কণ্ঠে ঝাঁজ।   কেন আপনার প্রেমিকের কললিস্টে ।
- কার?
মহিলা আরও রেগে গিয়ে ,  কেন কটা প্রেমিক আপনার যে চিনতে পারছেন না?
- এবার কিন্তু আপনি আমাকে অপমান করছেন আপনি বলুন তো আপনি কে ?
ঐ প্রান্তে মহিলা একটু ধরা গলায় ,  আমি সজিবের স্ত্রী নিনা ।  মুন্নি যেন হাজার ভোল্টের একটা শক খেলো ।

- কি বললেন ? কোন সজীবের কথা বলছেন ?
- যার সাথে কাল রাতেও আপনার কথা হয়েছে । যাকে রাত জেগে একের পর এক এস এম এস করেছেন ,  ফেসবুকে চ্যাট করেছেন সেই সজীব ।
- প্লিজ আমি আপনাকে পাঁচ মিনিট পর কল দিচ্ছি অনেক কিছু জানার আছে আমার । নিনা বলল বেশ আমিও অনেক কিছু জানাতেই ফোন দিয়েছি । 

মুন্নি রিক্সাটা ঘোরাতে বলে কলেজে না গিয়ে বাসার পথে এগোয়।  সব কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যেচ্ছে এও কি সম্ভব?, সজীব ওর সাথে এতোটা মিথ্যে বলেছে এতদিন,  আর ও বুঝতেও পারেনি ? গলির মোড়ে চায়ের দোকানে একটা লোক চায়ে রুটি ভিজিয়ে বেশ আয়েশ করে খাচ্ছে মুন্নির মনে হল ওই মহিলার কথা যদি সত্যি হয় তাহলে সজীবও এতদিন এভাবেই ওকে মিথ্যে প্রেমে ভিজিয়ে গিলে নিয়েছে ওর বিবেক,বুদ্ধি ,বিবেচনা সব। কিন্তু কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে? ওর মাথায় হাজারো প্রশ্ন তখন ঘুরপাক খাচ্ছে , মনে হচ্ছে অথৈ সাগরে পড়েছে ও ।

বাসায় ফিরে স্বস্তি বোধ করলো সে যাক আপুরা ফেরেনি । আপুকে একটা ফোন করা উচিত কি হয়েছে জানা উচিত কিন্তু এখন ওর মনের অবস্থা খুবই খারাপ । আপুর সাথে কথা বলার মতো অবস্থায় সে নেই । আগে জানতে হবে সত্যিটা।  নিনা কে ফোন দিল মুন্নি এবার নিনার গলা বেশ শান্ত কিন্তু কঠিন , নিনা বলল শুনুন আপনার নাম ঐ নামে সেভ করা বলেই আমি আপনাকে সুমাইয়া বলেছি তাই বলে ভাব্বেন না আমি এখন যে কথাগুলো বলবো তা মিথ্যে । মুন্নি বলল বলুন ।

নিনা শুরু করল তার কথা ......দেখুন আমি আপনার সম্পর্ক ভাঙার জন্য কিছু বলছিনা যা বলছি সব সত্যি আর শুনলে আপনারই ভালো হবে । মুন্নি আর পারল না বলল আপনার যা বলার আছে বলুন ।

- সজীব আপনাকে ঠকাচ্ছে সে আপনাকে কি কখনো বলেছে যে সে বিবাহিত ? তার সন্তান আছে ? 
-  না বলেনি ,কিন্তু তাহলে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল কেন? সেত আমাদের বাসায় এসে আমার আপু আর ভাইয়ার সাথে দেখা করেছে।   ওর বায়োডাটা দিয়েছে।  আপু তার মায়ের সাথে কথাও বলেছে । আর আপনি তার স্ত্রী হলে এতদিন কোথায় ছিলেন ? তার সন্তান কোথায় ছিল ? আমার সাথে তো তার অনেক দিনের সম্পর্ক।

এবার নিনা হাসলো বলল ---কতদিন বলুন্ তো ? 
- প্রায় এক বছর তো হবেই , এতদিন আমি তার সাথে কত কথা বলেছি আমি তার বাসায় গিয়েছি সে আমাদের বাসায় এসেছে এগুলো আপনি এতদিন জানতেন না আজ জানলেন? 
- না আমি কিছুই জানতাম না কারণ আমি এতদিন এখানে ছিলাম না। আমার মায়ের কাছে ছিলাম । আপনি ভুল বলেননি একবছর আপনাদের সম্পর্ক অথচ আমি টের পাইনি এটা আশর্য তো বটেই । কি করে জানবো বলুন ? আমি প্রেগন্যান্ট অবস্থায় খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম তখন মায়ের কাছে চলে গেছি। আর এসেছি এই তো চার মাসের ছেলেকে নিয়ে গতকাল দুপুরে। আর আপনাকেও বলি যাকে আগে দেখেননি যার সম্পর্কে কিছুই জানেন না ফেসবুকে সম্পর্ক করে হুট করে একা একটা লোকের বাসায়ও চলে এলেন ? এই ঘরটা ভালো করে একটু খেয়াল করলেই তো বুঝতে পারতেন সে বিবাহিত।  কত মেয়েলি জিনিশ এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।  আর সে তো প্রতি উইকেন্ডে ফরিদপুর যেত তখন তো আপনার সাথে যোগাযোগ রাখত না রাখলে আমি ঠিক বুঝতাম । আর একটা এডাল্ট মেয়ে হয়ে আপনি কিছুই বুঝলেন না ? আপনার তো বিপদ হতে পারতো । 

মুন্নি চুপ করে থাকে কি করে বলবে বিপদ তো হয়েই ছিল কোনরকমে কাটিয়ে এসেছে সেদিন । আর সত্যিই সে ওই বাসায় গিয়েছে ঠিক ,কিন্তু কিছুই খেয়াল করেনি দেয়ালের ছবিটাও ভাল করে দেখেনি । সেদিন সজীবের একটু ছোঁয়া তো লেগেইছে ওর গায়ে সে জন্য নিজেকে অপবিত্র মনে হতে থাকে তার । 

নিনা বলতে থাকে কাল রাতে সে আপনার সাথে যখন চ্যাট করছিলো তখন বার বার জানতে চেয়েছি কাকে এত সময় দিচ্ছে ? বলেছে ওর এক বন্ধুর খুব বিপদ তাকে পরামর্শ দিচ্ছে আর লুকিয়ে অন্য ঘরে গিয়ে কথা বলেছে তখনই আমার সন্দেহ হয় আর তাই ও ঘুমিয়ে পড়লে আমি ওর মোবাইলটা নিয়ে যাই।  তার ফেসবুক ও ওপেন করাই ছিল আর আপনাদের বেশ কিছু এস এম এস ও ছিল ওখান থেকেই আপনাদের সম্পর্কের কথা জানলাম। 

কথাটা শোনা মাত্র অপর প্রান্তে থাকা মুন্নি লজ্জায় লাল হয়ে গেল ওর মরে যেতে ইচ্ছে হল ,মনে হচ্ছিলো কেউ যেন ওর সম্ভ্রম কেড়ে নিয়েছে । মুন্নি কি করবে সে তো সজীবকে ভালবেসেছিল একে অপরকে ছেড়ে কোনদিন কোথাও যাবে না কথা দিয়েছে এই ভালোবাসার মানুষের সাথে না বলা কোন কথা থাকে কি ? 

নিনা বলেই যাচ্ছে তখনো ... এটাও বুঝতে পারছি আপনাদের সম্পর্ক অনেকদূর এগিয়ে গেছে । আপনি তাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছেন । কিন্তু আমি কি করব বলুন? আমি তো তার সন্তানের মা । অবশ্য আমি স্বাবলম্বী আমি ওকে ছেড়ে চলে যেতে পারি আর তাই করবো ভেবেছি । কিন্তু আপনি ভেবে দেখুন আপনি এমন একটা লোককে বিয়ে করবেন ? মুন্নি দৃঢ় গলার উচ্চারন করে ...
 - না কিছুতেই বিয়ে করব না ।
- ঐ যে বলছিলেন তার মায়ের সাথে আপনার আপুর কথা হয়েছে ওটাও অন্য কোন মহিলা । কারন আমার শাশুড়ি খুব ভাল মানুষ উনিও ফরিদপুরেই থাকেন। আমাদের বাসা আর ওদের বাসা তো পাশাপাশি।   সেই ছোটবেলা থেকেই তো আমারা একসাথে বড় হয়েছি । মা প্রায় প্রতিদিনই আমারদের দেখতে আসতেন। ওনার নাতিকে উনি খুব ভালবাসেন ,উনি এসব জানলে আপনার আপুকে জানিয়ে দিতেন যে সজীব বিবাহিত । নিনা একসময় এক অদ্ভুত প্রশ্ন করে বলে ... 
- আচ্ছা আপনি কি ডিভোর্সি ?
- মানে ? আপনার এমন মনে হল কেন ? 
- ওই যে বললেন কার স্কুলের দেরী হয়ে যাচ্ছে ? তাই ভাবলাম ও আপনার মেয়ে ।
- হ্যাঁ মেয়ে।  বোনের মেয়ে।  আমি আমার আপুর কাছেই থাকি বাবা - মা নেই আমার । তারপর  দীর্ঘশ্বাস গোপন করে বলে রাখি এখন আপনি আমার অনেক বড় উপকার করলেন । আমি আপনার সংসারে কোনদিনই আর ডিস্টার্ব করব না । আপনার হাসবেন্ড কল করলেও ধরব না ।  তবুও নিনা কল ছাড়ে না ,  বলে ...
- দেখুন আমিই ওর সাথে থাকব না।  এরকম ফ্রড এর সাথে থাকা মানে সারা জীবন জ্বলে পুড়ে মরা । 
- তা কেন হবে ? দেখুন সন্তানের সাথে থাকলে এসব দোষ কেটে যাবে বলেই কলটা কেটে দেয় আর সজীবের নাম্বারটা ব্লক লিস্টেদিয়ে রাখে ।

মুন্নির বুকটা ভারী হয়ে ওঠে কান্নায় । এরকম একটা ধোঁকা খেয়ে কাঁদতেও তার লজ্জা হচ্ছে । আপুরা ফিরে এসেছে ওদেরও খুব বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে।  ভাইয়া এত কঠিন মানুষ অথচ আজ কাঁদছেন।  তাঁর বন্ধু আর বন্ধুর বউ মারা গেছেন চার বছরের পুতুলের মত মেয়েটা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে লড়ছে । আপু ওর দিকে তাকিয়ে বলে আমরা আবার যাবো ওখানে তুই গিয়ে ফারিহা কে নিয়ে আয়না আজ । আপুর মন ভাল নেই তাই রক্ষে নাহলে ওর ভেতর যে ভাংচুর চলছে তা ধরা পরে যেতো আপুর চোখে ।

মুন্নির কথা বলতে ইচ্ছে হয়না রিক্সাও নেয় না।  চৈত্রের দুপুরের গনগনে রোদে হেঁটে ফারিহাকে স্কুল থেকে আনতে যায়।  চারদিকে এত মানুষ অথচ তার নিজেকে খুব একা মনে হচ্ছে। তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু শিমুল কেউ এই কথা বলতে তার খুব লজ্জা হচ্ছে আজ।  ভাবছে একটা দুর্ঘটনা ঘটে সে মরে যাক। তার এই মুখ সে কাওকে দেখাবে না কাওকে না ............। কোনোদিন সে বিয়েও করবে না । 

এই ঘটনার পর অনেকদিন আপু জানতে চেয়েছে সজীবের কথা মুন্নি বলেছে তাকে সে বিয়ে করবে না ।

প্রায় বছর কেটে গেছে সজীব আর কোনদিন কাওকে ফোন ও করেনি , তার কৃতকর্মের জন্য সে অনুতপ্তপ তাও বোঝা যায়নি । তবে একটা মেসেজ এসেছিল অচেনা নাম্বার থেকে।  লেখা ছিল ক্ষমা করে দিও ,তোমাকে সত্যই ভালোবাসি কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম । মেসেজটা পড়ে আরও বেশী ঘেন্না জন্মেছে সজীবের প্রতি। একটা মানুষ আর একটা মানুষকে এভাবে ঠকাতে পারলো ? ভালবাসলে পারতো না। সত্যি কথা বলত বন্ধুত্ব করত । 

মুন্নির করুণা হয় নিনা নামের মেয়েটির জন্য সে হয়ত জনমভর ঠকেই যাবে এই লোকটির কাছে ।  এ ধরনের মানুষ গুলোর চরিত্র কখনো কি পাল্টাতে পারে ? এদের শুধু রঙ পাল্টায় । আর মুন্নির মতো মেয়েরা নিজের অজান্তেই অন্যের সুখের ঘরে আগুন হয়ে জ্বলে আর নিজেকেও জ্বালায় সে আগুনে । একটু বুদ্ধি খাটালে হয়ত এভাবে তাকে ঠকতে হতনা ,কষ্ট পেতে হত না ,তার জীবনের রঙও এভাবে পাল্টে যেতো না । 

প্রায় মাঝরাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে ও ভাবে ...। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায় ?

Previous Post Next Post