দেবশ্রী চক্রবর্ত্তী

শাপ মোচন
বিশ্বকের দেবযান অতিক্রম করে
অভিকর্ষজ ত্বরনে আকর্ষিত হয়ে
আমরা প্রবেশ করলাম খগবতীর ক্রোড়ে ।
তখন বসন্ত এ ধারয়িত্রীর ইন্দ্রীয়াতনে ।
দেবতার অবক্রোশে জীবমন্দিরে
উপজনন হল আমাদের যক্ষ যক্ষিনীর রূপে ।
ধীন্দ্রিয়ে বিরাজ করল পূর্ব সুতকের নিরিন্দ্রিয়
প্রেমময় মিলনের চিরন্তন অভিপ্সা ।
কালচক্রের গজেন্দ্রগমনে যৌবনোদয়
হল আমাদের দেহ পিঞ্জরে ।
পৌনঃপুনিকতায় বসন্তের
পুঃন আগমন হল নৃলোকে ।
ক্রন্দসীর নীলাভ অবয়বে অম্বরমনির
দদীধিতি সংস্হিতি,তার প্রতিবিম্ব
নীলাভ অকূলপাথারে ।
পল্লবীর প্রথম তেউড় অঙ্কুরিত
আজ আমার আমার মালঞ্চে ।
আমি তখন প্রতিক্ষায় সোমদ্ভবার কান্ধারে,
হরিদ্রাভ অভ্রে এক প্রমদার দীর্ঘ তিয়সার
মননের চিত্রের প্রতিফলন হল ইরনের মত,
তারই মাঝে অংশুধরের অনুবিম্ব এক প্রস্ফূটিত
রক্তিম মরুপুস্পের মতন ।
সোমদ্ভবার তটে আমি সদ্য স্নাতা হরিদ্রাভ অঙ্গাবরনে
আমার প্রতিক্ষা আজ তীব্র অভিষঙ্গের আকাঙ্খায় ।
দূর হতে তোমার আগমনের বার্তা বয়ে আনে বিহঙ্গ,
শ্বেত শুভ্র পরিধেয় তোমার,রক্তিম অঙ্গাবরন ।
মঙ্গল তেজ জ্যোতির্বানে মূগ্ধ আমি ভাবি কে এই মহাজন ।
ইন্দ্রীয়াতীত সুগন্ধে আমি তখন আত্মসংঙ্গাহীন ,
যক্ষের ভুজবন্ধনে আবদ্ধ যক্ষি পঞ্চবান অবাগ্রে ।
অখিলতারনের শাপমূক্ত হয়ে পাড়ি দিলাম অমৃতাচলে ।
যুগল নিঃস্প্রান ইন্দ্রীয়াতন শায়িত আজ বসন্তের
গন্ধবিধুর আম্র মালঞ্চে ।


Previous Post Next Post