বসন্ত দেখা
সংক্ষিপ্ত মিলন থেকে লাফিয়ে পড়ছে দাম্পত্য কেবিনের সামনে সমতল পেট চমকপ্রদ অত্যধিক হ্যান্ডসাম এক অমোঘ মৃত্যুশোক,
পিছন থেকে হাতের তালু ঘষতে ঘষতে সমুদ্রের দিকে হেঁটে যাচ্ছে, ধোঁয়ার কুন্ডলী
জল ঝাপটার মাঝখানে অতীত খিদের আক্রমণ ও
মায়ের মুখের স্বাদগুলো তুলে নিয়ে,
ডাক্তারের হাত ধরে আমার অজ্ঞাত যাত্রায়;
বাবা জেনেছিল গর্ভ বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে বেড়ে যায় ডাক শোনার পিপাসা বুকের ভেতর বুক কাকে চায়?
আজও এরপর জন্মের রহস্য বুঝিনি
বড়োই দুঃখের সন্তান আমি
পৃথিবীর বসন্ত দেখা, হয়ে ওঠা হলনা আমায়।
চুমু

নাকের নীচে দাঁড়িয়ে
যে ঠোঁট প্রণয় চেয়েছে
চুমুর শব্দে শব্দে
কিছু কিছু দিন
তারা চুমু ছাড়ে
ঐ ঠোঁটের মুখে ।
আজ আবার কতদিন পর
তারা ছেড়েছে
কী যেন ছিল তাদের নাম !
মাথায় এসেও চলে গেল
নাম
সরিয়ে সরিয়ে
জলে আগুনে
আমাকে রেখে
প্রেম নিয়ে তারা নির্দিষ্ট পথ
নির্দিষ্ট পথ মানে
নির্দিষ্ট কিছু ফেরা
মানে কিছু চুমু
মানে কিছু স্পর্শ
যার কোনো চেহারা থাকেনা !
হাওয়ার গা ছুঁয়ে ।
গা ছুঁয়ে দিলে
সমস্ত চুমুরা ফিরে আসে
ঠোঁট বদলিয়ে
সমস্ত সেদিন ভুলে গিয়ে ।
এরকম ভুলে যারা
চুমু খুলে লাফ দেয়
আমি তাদের প্রেমে
কলম ধরি
কলম ছাড়ি
কিছুকিছু দিন
নিজের কাছে পালাতে পালাতে
যার তার কথায় তাল রেখে
ঠোঁটে ঠোঁটে কিছু চুমু নামিয়ে
চিত্কার করি
বাঁচার নেশায়
মানুষ চলছে মানুষের মতো
ভালবাসার চুমুকে ভালবেসে।
পিসা নগর

পিসা নগরের
নির্জনতায়
রাতের কোলে মাথা রেখে, 'কোপারনিকাস'
পড়তে গিয়ে হারিয়েছি
দুজন-
কালের প্রেমে ।
গর্ভপত্রের গুটিশালা ভেঙে
ভালবাসার জারকরস দিয়ে,
আবেগের গর্ভকোষে বসে
হজম করেছি
তোমাকে-
লেডি হীথকোটের নাচঘরে ।
ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে
আদরের গভীরে
বরফে প্রোথিত লুসিফা দ্যাখে,
আচঁড় কেটেছো মনে
বহু স্তব্ধতার পর
স্বস্তির-নিঃশ্বাসে ।
সময় ভুলে কথা হারিয়ে আজ,
সিল্কের অক্ষরে
অভিশাপের দেবদূত পাঠিয়ে,
জোনের মতো পোড়াচ্ছো
আমাকে-
করুণার জল ভেজা জলে।
অথচ -
তুমিই তো নিয়েছিলে ডেকে
ধুমায়িত চিন্তার
গোপন শ্বাসে
ফিসফিস করা
খোঁচা খোঁচা
স্বপ্নের দ্বিধার আড়ালে-
পরিতৃপ্ত উনুনের আত্মবিশ্বাসে ।
সংক্ষিপ্ত মিলন থেকে লাফিয়ে পড়ছে দাম্পত্য কেবিনের সামনে সমতল পেট চমকপ্রদ অত্যধিক হ্যান্ডসাম এক অমোঘ মৃত্যুশোক,
পিছন থেকে হাতের তালু ঘষতে ঘষতে সমুদ্রের দিকে হেঁটে যাচ্ছে, ধোঁয়ার কুন্ডলী
জল ঝাপটার মাঝখানে অতীত খিদের আক্রমণ ও
মায়ের মুখের স্বাদগুলো তুলে নিয়ে,
ডাক্তারের হাত ধরে আমার অজ্ঞাত যাত্রায়;
বাবা জেনেছিল গর্ভ বন্ধ হয়ে গেলে কীভাবে বেড়ে যায় ডাক শোনার পিপাসা বুকের ভেতর বুক কাকে চায়?
আজও এরপর জন্মের রহস্য বুঝিনি
বড়োই দুঃখের সন্তান আমি
পৃথিবীর বসন্ত দেখা, হয়ে ওঠা হলনা আমায়।
চুমু

নাকের নীচে দাঁড়িয়ে
যে ঠোঁট প্রণয় চেয়েছে
চুমুর শব্দে শব্দে
কিছু কিছু দিন
তারা চুমু ছাড়ে
ঐ ঠোঁটের মুখে ।
আজ আবার কতদিন পর
তারা ছেড়েছে
কী যেন ছিল তাদের নাম !
মাথায় এসেও চলে গেল
নাম
সরিয়ে সরিয়ে
জলে আগুনে
আমাকে রেখে
প্রেম নিয়ে তারা নির্দিষ্ট পথ
নির্দিষ্ট পথ মানে
নির্দিষ্ট কিছু ফেরা
মানে কিছু চুমু
মানে কিছু স্পর্শ
যার কোনো চেহারা থাকেনা !
হাওয়ার গা ছুঁয়ে ।
গা ছুঁয়ে দিলে
সমস্ত চুমুরা ফিরে আসে
ঠোঁট বদলিয়ে
সমস্ত সেদিন ভুলে গিয়ে ।
এরকম ভুলে যারা
চুমু খুলে লাফ দেয়
আমি তাদের প্রেমে
কলম ধরি
কলম ছাড়ি
কিছুকিছু দিন
নিজের কাছে পালাতে পালাতে
যার তার কথায় তাল রেখে
ঠোঁটে ঠোঁটে কিছু চুমু নামিয়ে
চিত্কার করি
বাঁচার নেশায়
মানুষ চলছে মানুষের মতো
ভালবাসার চুমুকে ভালবেসে।
পিসা নগর

পিসা নগরের
নির্জনতায়
রাতের কোলে মাথা রেখে, 'কোপারনিকাস'
পড়তে গিয়ে হারিয়েছি
দুজন-
কালের প্রেমে ।
গর্ভপত্রের গুটিশালা ভেঙে
ভালবাসার জারকরস দিয়ে,
আবেগের গর্ভকোষে বসে
হজম করেছি
তোমাকে-
লেডি হীথকোটের নাচঘরে ।
ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে
আদরের গভীরে
বরফে প্রোথিত লুসিফা দ্যাখে,
আচঁড় কেটেছো মনে
বহু স্তব্ধতার পর
স্বস্তির-নিঃশ্বাসে ।
সময় ভুলে কথা হারিয়ে আজ,
সিল্কের অক্ষরে
অভিশাপের দেবদূত পাঠিয়ে,
জোনের মতো পোড়াচ্ছো
আমাকে-
করুণার জল ভেজা জলে।
অথচ -
তুমিই তো নিয়েছিলে ডেকে
ধুমায়িত চিন্তার
গোপন শ্বাসে
ফিসফিস করা
খোঁচা খোঁচা
স্বপ্নের দ্বিধার আড়ালে-
পরিতৃপ্ত উনুনের আত্মবিশ্বাসে ।
Tags:
একক কবিতা