অনু সঞ্জনা সোম ঘোষ


প্রিয়,
বসন্ত, 

তুমি কি জানো, পাহাড়ের চূড়া বেয়ে গোধূলী রং নেমে এলে কি আবেশ ছড়ায় মনে ? চার দিক রঙে রঙে ভরে ওঠে। অর্ধেক আকাশ ভিজে যায় বসন্ত জলে।

বিকেলের কোলে যখন সূর্য ঢলে পড়ে তখন তোমার কথা খুব মনে পরে বসন্ত । যদিও শীত চলে গেছে অনেক দিন, তবুও বাতাস কাঁপায় মাঝে মাঝে। সব ঋতুতেই দু'চোখে শুধু বসন্তের খেলা। 

বিষন্ন দুপুর গুলো রঙীন হয়ে ওঠে পলাশের ডালে ডালে।  শুকনো পাতার কচকচানি কেমন সুন্দর গল্প লিখে চলে বাতাসে গায়ে গা এলিয়ে। কপালের চুল সরিয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে এলোমেলে চুমু এঁকে চলে বসন্ত।  দু-গাল স্পর্শ করে নেমে আসে হলুদ আভা। লাজুক ঠোঁট হেসে ওঠে নিমেশে।  চোখে নেমে আসে লজ্জা।  বেগুনী আভায় পরিপূর্ণ নারী হয়ে উঠি আমি।

আমার আঁচল জুড়ে শিমুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া আর নিষ্পলক চেয়ে থাকা আকাশে।  ঢেউ খেলে যায় অসংখ্য অনুভবে।  নীরবে নিশ্চুপে ঝরে পরে পাতা ঝরার মেঘ। লুটিয়ে পরে হাসি পাতায় পাতায়।  এ যেন অন্য কোনো বসন্ত, অন্য কোনো জন। 

প্রিয় বসন্ত আমার রক্তে মিশে আছে।  প্রিয় বসন্ত আমার না বলা কথার ভাঁজে না না রং এ রংধনু সাজে ছড়িয়ে।  তোমারই আমি বসন্ত কোকিল গান বাঁধি অরন্যে।

ঝরা পাতায়
অনু সঞ্জনা




Previous Post Next Post