অদিতি চক্রবর্তী

তারপর মাতৃমন্দিরে সুঘ্রাণের জন্ম হয়

ছেলেটা রং এর পোষাক তৈরী করে
পোষাকী শরীরে শ্বাসাঘাত হয়ে আসে ক্ষীণ
শীত কুড়িয়ে এমন করেই ছেলে রোজ এনে চলে বসন্তদিন।

একদিন ছেলেটার মাঝে বিলপুকুর খুঁজে পেয়েছিলো এক বিশিষ্ট দেশনেতা
সম্বর্ধনাও জুটেছিলো,কিন্তু হাঁটু অব্দি পাঁকে ডোবা নেমেসিস
তাই শুধু একদলা বাহবা কুড়িয়ে
রুমালের ফুল পাপড়িটা উড়ে এসে
জানিয়েছিলো রহস্যনিখিল।
তারই বিলপুকুরের মাছে উদরপূর্তি করেছে একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি
-একথা জেনেছিলো ছেলে মাছের খেলা দেখতে দেখতে।
এরকম ছেলেকে বোঝানো শক্ত
এরকম ছেলেকে পরোয়া করানো কঠিন
এরকম ছেলেরা শুধু মুচকি হাসে। লোকান্তরিত আত্মতৃপ্তি।
ছেলেটি আজকাল পাখি চেনে
তুলিতে তুলিতে প্রান্তরের দানাপানি ঐন্দ্রজালিক করতে করতে
গোটা ভারতবর্ষের নিলাজি পাখির লজ্জাঅঙ্গ করে তোলে জননী সুলভ।
দরকষাকষি চলে আর সব বিলপুকুরে, "মাছ থেকে পাখি হতে কতখানি ঘরদোরে ভ্রমণের আনাগোনা?"
চৌরাস্তার মোড়ে আদমসুমারির খাতার ছেলেটি পোস্টার থেকে শীত কুড়িয়ে
আনতে থাকে নিঃস্বার্থ বসন্তদিন।
তারপর...



Previous Post Next Post