কালের ইতিহাস
বেশ কিছু না বলা থেকে গেল প্রাচীন নগরীর মত
এ বুকের উন্নত গহ্বরে ।
দেখলাম আজও হেঁটে চলেছে
ইতিহাসে জমে থাকা সভ্যতার কাহিনী ;
কালের অনন্ত প্রবাহে এ ইতিহাস আমার অচেনা
এক অনুভুতির আর্ত রব মাত্র ! তবু বলি ,
সোচ্চার হয়ে জমে থাকা কালের চক্র ।
কোন এক প্রভাতবেলায় অজাত রাশিচক্রে
উন্মেষ হয়েছিল যে শব্দ নির্ঝরিণীর মত ,
আজ তাকে কেন হতে দাও ফল্গু !
উত্তরটা শুধু শূন্যতার প্রতীকমাত্র ,
কালের হাহাকারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ছিন্ন
জরায়ুর বোবা কান্না । তবুও, কিছু মন
অস্তিত্বের প্রামাণ্যের তাগিদে পেতেছিল বুক
তপ্ত তাম্র খন্ডের উষ্ণতার সাথে করেছিল
আপোষহীন ফুলশয্যা ।
বিদ্যুৎ বেগে যে ধাতব স্পর্শ করেছিল
সংগমরত কণ্ঠের সাথে ধ্বনির মিলনকে ,
অকাল বারুদের ঝঙ্কার হেরেছিল শত মানুষের
রক্তের কাছে । নিজের দাবী করেছিল আদায় ,
আমার-তোমার অবরুদ্ধ ভাষা , মনের ভাষা
মাতৃভাষা , বিজয় রথের বাংলা ভাষা ।।
কত ভাষা

তুমি জান কত ভাষা ,
অভিধান তোমাকে দেখলে লজ্জা পায় ।
কিন্তু, কান্নার আওয়াজ, নক্ষত্রের
চলাফেরার- কথার ধ্বনির কাছে
কেন লাগে অসহায় তোমায় !
সকল প্রশ্নের উত্তর তুমি জানো-
এ আমার গর্ব-
একবার , যদি পারো নিঃশ্বাসের
রক্ত কেমন বল, তার আবর্তের ভাষাটা বল !
সব থাক, অর্থ-প্রশ্ন ইত্যাদি-
ভালোবাসার স্তব্ধতার
গভীরতা পারলে বুঝিয়ে না হয় দিও ;
সূর্য ওঠার পালা-
হাঁটতে শুরু করলাম আবার নবাঙ্কুরের খোঁজে ।।
পরিচিতি
Tags:
একক কবিতা