অরুণিমা মন্ডল দাস



বইমেলা  --২

অচেনা মুখগুলোর চেনা সম্পর্কের সুড়ঙ্গ
পেরিয়ে আপনমনে কাঠুরিয়া কাঠ কাটছে
চোখ মুখ শুকিয়ে বইতে মুখ গুঁজে
জ্ঞানপিপাসু হৃদয় পাতা উল্টাতে ক্লান্ত

আশার মোম গলতে গলতে হাতের তালুতে এসে পড়তেই পোড়া হাত 
চিৎকার করতে লাগল 
ছটফটে কামনার জালে আটকে
ফুচকাওয়ালার ফুচকাটিও আকাশের
দিকে তাকিয়ে সুকান্ত নজরুলকে
ব্যঙ্গের হাসি দিল

স্টলে স্টলে ভীড় বইয়ের আনাকোন্ডা চলাফেরা
কবিতার পাতিলেবুর খঁাটি রসের থেকে অরেঞ্জ ফ্রুটি র ভূতের আর ফ্যান্টাসির গল্প অনেক দামী
প্যাঁচে প্যাঁচে কবিতা প্যাকেট খুলে মুখে দিতে কষ্ট
সোজা রহমানির বিরিয়ানির টাটকা কল্পনা গেলো আর ঢেকুর তোলো
বিক্রেতা খুশী হয়ে পাবলিশার্স কে মিষ্টি
খাওয়ায় !
লেখকের হাতের বুড়ো আঙ্গুলটাও বড় হয়ে যায় লেখার জনপ্রিয়তার 
গ্যাসবেলুনের চাপে!



পুরুষ

আসবে বলে আস নি
আরব্যরজনীর রোমাণ্টিক ঝর্না শুকালো গুজরাটের কালো মাটিতে  
বাসবে বলে বাসনি
পপ গানের ধামাকা ভাঙরা নাচে মিশল

মাতৃদুগ্ধের গন্ধ এখনও কি চাউমিন চাইনিজে খুঁজে পাও?
মায়ের কোলে মাথা দিয়ে না ঘুমোলে প্রেমিকার শরীরও বিষ লাগে?
প্রাইমারী হাইস্কুল পেরোনোর পর কলেজেও কি মনে পড়ে রোদ্দুরে বৃষ্টিতে হাত হাত রেখে বর বৌ ,চোর পুলিশ খেলার পুরোনো সাথির কথা?

ভালো লাগাটা সরকারী জল পরিষেবায় ঘন্টার পর ঘন্টা বদলায়
সে বসেছিল নির্জনে
বেদনায় শুষ্ক মুখ ,বধির কান, ধ্বংসের বোমার আওয়াজ শুনতে পেল না!
প্যারিসের জঙ্গিহানায় রক্ত মাংস ছিটকে পড়ল গালে!
ভারত পাকিস্তানের কাঁটাতার পেরিয়ে মুক্তির আকাশে উড়তে চাইল!
তুমি তঁাকে আছড়ে মাটিতে ফেললে পাগল বানিয়ে চোখ উপড়িয়ে ,রক্ত শুষে, নিয়ে ভুল জীবাণুযুক্ত রক্ত শরীরে প্রবেশ করিয়ে ,ব্লাড ক্যান্সারে আধা মরা করলে? ?
এক সঠিক স্ত্রৈণ ভদ্রলোক স্বভাবে সকালের সংবাদপত্র হাতে, চশমা নাড়ানো
সেই পুরুষ। 



শালীনতা

ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছি। 
বনমালী সাজে গাছের ডালপালা আঁকড়ে ধরলে
অসভ্যতার ইঙ্গিতে সভ্যতার দোহাই দিয়ে নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা নিদর্শন
ক্ষুধার্ত নেকড়ে 
সৌন্দর্য গ্রাস করতে করতে দুর্বল হয়ে অশালীন স্তম্ভই খুঁজে পায় ভালোবাসার পিরামিডে!





Previous Post Next Post