ব্যথা
যা দেখার প্রয়োজন ছিলো সময়ের এক সুস্থ আহবানে, এই ছোট্ট পৃথিবীর পুরনো 'ঐ' প্রান্তে বসে আমি তার অনেককিছুই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম না বিধাতা। তুমি আমার সমগ্র সত্তায় আমাকে সরিয়ে- আজ যেখানে যেভাবে আমায় রেখেছো, সে প্রান্তে জাগে অনেক সু্স্পষ্ট রেখা; প্রকট হয়, বাস্তবতার এক শীল স্বচ্ছ রচনা। ব্যথা যে আর কিছু নয়, সমাধানেরই নব্য কোনো এক রাস্তা; তোমারি দিকে ফিরে যাওয়া; উৎসের ঘরে আস্থা গাড়া— সে আমাকে তুমিই জানতে দিয়েছো।
তোমারই কীর্তি এঁকে চলে ফিরছো তুমি সীমা অবধি শব্দের মাঝে। জগতের সমস্ত সংবরণকে (সমাধানকে) যদি ধ্রুবকে বাঁধি, তবে ব্যথার এই চলকে মান বদলে তুমিই আবির্ভূত, প্রকট হচ্ছো সকল অনুভূত আকারে। এ করুণার প্রশংসার একক প্রাপক তুমিই।
ব্যথা না পেলে ভুলে যেতাম ঈশ্বর; ফিরে আসবার পথ।
প্রতিদান
দৃশ্য জগতে আবির্ভূত, আকারে-নিরাকারে জন্মে-প্রজন্মে আসন নেয়া, ধাবমান ধ্যান এবং ধারণার অনেককিছুই এখনো আমাদের জ্ঞানের বাইরে। বহু প্রকোষ্ঠে এখনও পৌঁছায়নি আমাদের চিন্তা বা পুনর্বিচারের ব্যস্ত নিঃশ্বাস। চেতনার রঙ হয়নি পুরোটা আঁকা।
ঠিক সেরকম- ঘূর্ণায়মান আমাদের এই আপন মনমাঝের জগতেও কি নেই এমন অজানা, নিছোঁয়া, অখোদিত, অস্পৃশ্য অনুভূতি-চেতনা-চিন্তার প্রকোষ্ঠ?
ঠিক সেরকম- ঘূর্ণায়মান আমাদের এই আপন মনমাঝের জগতেও কি নেই এমন অজানা, নিছোঁয়া, অখোদিত, অস্পৃশ্য অনুভূতি-চেতনা-চিন্তার প্রকোষ্ঠ?
আছে। এই থাকার দরুন, একে খোঁজার দরুন—
আশা, প্রত্যাশা, (নিরবচ্ছিন্ন) প্রতীক্ষা, অপেক্ষা, আশাবাদ এবং অনুসন্ধানের অব্যর্থ ইচ্ছাপোষণই হবে আমাদের একমাত্র অবলম্বন। মানুষ তার বর্তমান। মানুষ তার আজ। মানুষ তার মুহূর্তের সচেতন ইচ্ছা।
Tags:
মুক্ত গদ্য