অস্তিত্ব
একটি বিন্দুতে এসে বারে বারে দাঁড়াতে হয়
ছিন্নভিন্ন হয় সমস্ত অস্তিত্ব
পাখির ডানার মত ঝাপটে ওঠে মন
দূরত্বের পথ আঁকে...
অথচ মৌরুসিপাট্টাতে ধর্ম আর সমাজের সাক্ষর।
বাকী অস্তিত্বটুকুতে
নাড়ির টান
নারীত্বের অঙ্গীকার
মাটির সোঁদাগন্ধ-
আলুলায়িত সমস্ত ছন্দকে আবার
বেঁধে নিতে চায় সুরে সুরে
বুলিয়ে দিতে চায় স্পর্শ উপচারের মন্ত্র।
যতদূরের আকাশেই উড়ে যাইনা কেন
জীবনচারিতায় অদৃশ্য শৃঙ্খলের উপস্থিতি...
দেখি বিন্দু থেকে বিন্দুতেই
আমার প্রকৃত স্থিতি।
আকাশ পাতাল তফাৎ
সুমিত্রা পাল
বিক্ষুব্ধ হৃদয় দিনে ও রাতে
নীরব আর্তি সংযোজন করে রাখে
নিম, অশ্বত্থ আর বটের শিকড়ে
চাওয়াগুলি সব জট বেঁধে থাকে।
আলপনা দেওয়া উঠানে পূর্ণিমার রাত যেই থমকে দাঁড়ায়
অপরূপ ঐন্দ্রজালিক আবেশের সমাবেশ যেন ঘটে যায়
দূরে... বহুদুরে... সমুদ্রে, অবিশ্রান্ত ঢেউ
ঢেউয়ের বুকে রূপালি একটি মাছে
হঠাৎ শঙ্খচিলের ছোঁ-
ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সমস্ত চালচিত্র
এইভাবে ভেসে যায়,
ভেসে যায় সাদা মেঘেদের অস্তিত্বহীনতায়।
জীবনচারিতায় চাওয়া ও পাওয়ায়
আকাশ-পাতাল তফাৎ রয়ে যায়।
Tags:
একক কবিতা