কাজ থেকে ফিরেই মেজাজটা গরম হয়ে গেল সুমিতের। মোজা দুটো তখনো ছাড়ে নি। বাবা বলল, "আমার বাথরুমের আলোটা খারাপ হয়ে গেছে গতকাল থেকে। রাত্তিরে বার বার উঠতে হয়। খুব অসুবিধে হচ্ছে রে। একটু ঠিক করে দিবি?".....
"অফিস থেকে ফিরতে না ফিরতেই শুরু হয়ে গেল অনুযোগ", মনে মনে ভাবল সুমিত। তবে রাগের প্রকাশ না করে মা কে বলল, "লাইটের মিস্ত্রীকে খবর দিয়েছিলে?"... "একদম ভুলে গেছি রে, কালকেই খবর দেব", সিরিয়াল থেকে এক ঝলক চোখ ফিরেয়ে বলল মা।
কমার্শিয়াল ব্রেকের সময় বাবা কে বিরক্ত স্বরে বলল মা, "ছেলেটা অফিস থেকে ফিরতেই না বলে হচ্ছিল না!"... বাবা কানে কম শোনে। মার কথাটা শুনতে পেল কিনা ঠিক বোঝা গেল না। চুপ করে থাকল।
সারাদিন অফিসে খুব চাপ গেছে। আচ্ছা, বাড়িতে সবাই ভাবে কি! ভাবে বোধয়, ঠাণ্ডা ঘরে সারাদিন খুব আরামেই থাকে সুমিত। রাতে খেতে খেতে বউকে বলল, "কি ভাব তোমরা আমায় জানি না! সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে বাড়ি ফিরেই যত অনুযোগ শুনতে কার ভালো লাগে!" ...উত্তর শুনল, "সবাই বোল না, সবাই বললে আমাকেও বলা হয়"....
আর কথা বাড়ালো না সুমিত। আড় চোখে দেখলো বাবা এখনো বসে আছে সোফায়। মনে পড়ে গেল, এই মানুষটাই একদিন অফিসে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করার পরেও আবার দুটো টিউশানি করে বাড়ি ফিরতো রাত করে। আর সুমিতও অপেক্ষা করে থাকতো - সারা দিনের অভিযোগ গুলো বাবাকে জানাবে বলে।
Tags:
অণুগল্প