মৌমিতা দে

moumita




নৈশ একতারা




বেলা পড়ে এলে ঠান্ডা পায়ে অন্ধকার নেমে আসে-
তারপর সন্ধ্যাতারা- তারপর চাঁদ- তারপর হাসনুহানা-
আর সারা ঘরজুড়ে ঘুমের স্তব্ধতা ৷
কিছু কিছু চোখে ঘুম আসে না
বরং খেলে বেড়ায় গত সকালের আলো
চুড়ুইপাখি- দুধওয়ালা- মাদারডেয়ারীর
ঝুড়ি নামিয়ে দরজায় দাঁড়ানো ফেরিওয়ালা বাসনকোসনের ৷
খেলে বেড়ায় দুধসাদা বিড়ালছানা
খেলে বেড়ায় দুপুর রোদের আম-কাসুন্দি
আর অবান্তর সব গল্পের ডাকপিয়ন
মিথ্যে রূপকথার মতো ৷
রাত্রি নামে- কিন্তু তবুও তার কালো গায়ে
কিছু কিছু টুকরো টাকরা আলো এসে ডোরা কাটে
কারো কারো চোখে- কখনও কখনও-৷
কিছু কিছু চোখে ঘুম আসে না কিছুতেই
কিছু কিছু চোখ দৃশ্য সাজিয়ে রাতভর জেগে থাকে
আর একটা ভাঙা একতারা কে যেন বাজায়-

“যখন জমবে ধুলা তানপুরাটার তারগুলায়
কাঁটালতা উঠবে ঘরের দ্বারগুলায়, আহা
ফুলের বাগান ঘন ঘাসের পরবে সজ্জা বনবাসের
শ্যাওলা এসে ঘিরবে দীঘির ধারগুলায়-
তখন আমায় নাইবা মনে রাখলে---”


Previous Post Next Post