সভ্যতার তরল সুখ
ভাল থাকতে হলে আমাদের ভুলে থাকতে হয় নষ্ট সময়, কষ্ট দুপুর। বেদনার
সারা বেলায় গেয়ে যাই পূর্ণিমার গান। যখন আঁধারেরা সঙ্গী হয় মৃত্যুরা তখন
কাছে এগিয়ে আসে ধীর পায়ে। শকুনের পেটে চলে যাচ্ছে সত্যরীতি, শিল্প-সাধনা,
সভ্যতা ঢুকছে চোরাবালিতে। তোমাদের মতো পাপগুলো ঢাকতে পারিনা বলেই
আমি পাপী। নক্ষত্রহীন অন্ধকারে মৃত চোখ নিয়ে ছিঁড়ে খাচ্ছো জাহেলিয়াতের
সুখ। উন্মাদ ট্রেনের মতো নিদ্রাহীন চোখে দেখ দেবী আফ্রোদিতির সঙ্গম স্মৃতি।
প্রলম্বিত প্রতীক্ষায়ও শুনে যাও নার্সিসাসের প্রলাপ। বিশ্বাস করলে ক্ষতি কি?
যখন লকলকে জিহ্বায় পুড়ে যাচ্ছে কুমারী মায়ের স্তন। এখনও আদিম চোখে
চেয়ে থাকে ঈশ্বর, মূর্খ ভাবনায় কেটে যায় রিয়ালিস্টিক সময়। একদিন
আচমকা আমিও বেরিয়ে পড়বো ঝিনুকসুপ্ত মুক্তার ন্যায়, নিঃস্পৃহ চোখে চেটে
খাব সভ্যতার তরল সুখ।
মৃত্যু নিয়ে লিখি
মৃত্যু ভাবনা হয় বলেই আমিও নিজের মৃত্যু নিয়ে লিখি
জীবনের সেই সন্ধিক্ষণ, ভাল লাগার দু-চার বছর
আদিম রাত, ভয়ংকর একা, আত্মহত্যা মৃত্যুরমত।
কখনও কি কেউ নিয়েছে প্রকৃত যৌবনের নির্যাস?
আক্রোশে নয় দগ্ধ রাতের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকে ঈশ্বর
সভ্য শহরের মোড়ে!হাত বাড়ালেই মেলে বাঁচার রসদ।
বড়ই বেপরোয়া সময়ে বুঝে উঠতে পারিনি জীবনের প্রয়োজন
মৈনাক মেঘের ছায়ায় বসে বাড়িয়ে নিচ্ছি আয়ুষ্কাল,
যতটুকু সঞ্চয় ছিল আলোর কাছে তারচেয়েও বেশি
ঋণী আমি আজ মৃত্যুর কাছে।
অপেক্ষা
অপেক্ষার শরীরে লিখে দেবো না পাওয়ার কথামালা
যুবতী বিকেল বেলায় শহরে পোড়াব দুঃখবাদের আতশবাজি
ফাগুনের রিক্ততা মুছে গেলে আমিও মাথাঠুঁকে মরবো বিষন্ন দুপুর রোদে।
হয়তো তুমি নেই, আদিগন্ত শূন্যতায় বিষণ্নতার বিপুল সম্ভাবনায়
তৃপ্তিময় সময়গুলো ডুবে মরে না পাওয়ার বেদনায়।
প্রাপ্তবয়স্ক দিনগুলোও আজ ক্রীতদাসীর মতো চুপ মেরে আছে
বেদনার নীল ফানুস উড়িয়ে আকাশে সারারাত বাজী ধরো
আর আমি গভীর চিন্তায় ডুবে দিনে দিনে হয়ে উঠি চন্ডিদাস।
শখ ছিল, গুম হওয়া চাঁদের রাতে আমরাও হারিয়ে যাবো
বৈশ্বয়িক স্বপ্নের উষ্ণতায় গড়ে তুলবো সুখের বাসর।
স্বেচ্ছাচারিতা পেন্ডুলামে শুধুই ঘুরে মরেছি এদোঁ পিঁপড়ার মতো
এসব হয়তো কিছুই না তোমার কাছে,
শরীর চুঁইয়ে পড়ছে মৃত্যু পানি, যৌবনের আকাশে ঢলে পড়ছে সূর্য।
Tags:
একক কবিতা