দেশ ভারতবর্ষকে অসহিষ্ণুতার খেতাব যারা দিয়ে চলছেন তাদের একটা কথাই বলব আমাদের দেশে আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি, কেউ আমাদের গলা কাটতে আসে না। আমি ইদানীং বাংলাদেশের একটা সাইটে (ব্লগ) লিখছিলাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, মুক্তিযুদ্ধে বন্ধু দেশ ভারতের অবদান,বিশ্বের উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে। কিছু লোক রে রে করে তেড়ে এল। নোংরা নোংরা মন্তব্যে বাধ্য হয়ে মূক্তিযুদ্ধের লেখাটা ডিলিট করে দিলাম।
ভারতে মুসলিমদের ওপর নাকি অত্যাচার হচ্ছে! প্রশ্ন বাংলাদেশে কি ভালো আছে হিন্দুরা সংখ্যালঘু আর মানুষেরা? দিন দিন হিন্দুদের সংখ্যা কমছে কেন ঐ দেশে ? অথচ ভারতে মুসলিমরা সবচেয়ে ভালো আছেন নিরাপদে আছেন বলেই মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
শীর্ষ ৪ দেশে অবস্থানরত মুসলিম জনসংখ্যা:-
১। ইন্দোনিশিয়া, (১২.৭%)
২। পাকিস্থান, (১১.০%)
৩। ভারত, (১০.৯%)
৪। বাংলাদেশ, (৯.২)
বাংলাদেশে হিন্দু জনসংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে কি কারণ সে বিষয়ে বাংলাদেশের একটি পত্রিকার থেকে সংগ্রহ করা তথ্য তুলে ধরছি কোন কিছু পরিবর্তন না করেই ।
২০০১ ও ২০১১ সালের শুমারির জেলা-ভিত্তিক তথ্য পাশাপাশি রাখলে দেখা যায়, ১৫টি জেলায় হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব জেলার হিন্দুরা দেশের অন্য কোনো জেলায় চলে গেছে, পরিসংখ্যান তা বলছে না। অর্থাৎ, অন্য জেলায়ও হিন্দু জনসংখ্যা বাড়েনি। কর্মকর্তারা এদের বলছেন, ‘মিসিং পপুলেশন’ বা ‘হারিয়ে যাওয়া মানুষ’।
বরিশাল বিভাগের কোনো জেলাতেই হিন্দুদের সংখ্যা বাড়েনি। বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা—এই ছয়টি জেলায় ২০০১ সালের আদমশুমারিতে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল আট লাখ ১৬ হাজার ৫১ জন। ২০১১ সালের শুমারিতে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৬২ হাজার ৪৭৯ জনে।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা—পাশাপাশি এই তিন জেলায় হিন্দুদের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। বিভাগের নড়াইল ও কুষ্টিয়া জেলার প্রবণতা একই। ঢাকা বিভাগের মধ্যে এ তালিকায় আছে গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা। অন্যদিকে রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলায়ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে হিন্দু বাড়েনি।
স্বাধীনতার আগের দুটি ও পরের পাঁচটি শুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ও হার কমেছে। মুসলমানদের সংখ্যা ও হার সব সময়ই বেড়েছে। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর হার মোটামুটি একই ছিল বা আছে। প্রবীণ রাজনীতিক ও গণঐক কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি করে সম্প্রীতি নষ্ট করায় এমনটা ঘটছে। জামায়াতের মতো শক্তিগুলো পরিকল্পিত ও নিয়মিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের চিরিরবন্দরে ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না, তাদের আশ্বস্ত করছে না। নীরবে তাই দেশত্যাগ হচ্ছেই।
কেন কমছে: একাধিক শুমারির প্রতিবেদনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট—টিএফআর) তুলনামূলকভাবে কম বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু এর পক্ষে কোনো তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে চেয়ে পাওয়া যায়নি। তবে গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ভোলার বিভিন্ন গ্রামে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বড় কারণ দেশত্যাগ। কয়েকটি জেলার লোকজন বলেছেন, ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ভাগের সময় থেকে এই ভূখণ্ড ছেড়ে যাওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের একটা স্বাভাবিক প্রবণতা। কেউ বলেছেন, মূল কারণ শত্রু সম্পত্তি আইন। বলেছেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের চাপ ও নির্যাতনে পড়তে হয় হিন্দুদের। অন্যদিকে ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিলে তার আঁচও লাগে এ দেশের হিন্দুদের গায়ে।
‘বুক বেঁধে দাঁড়াবার সংস্কৃতি কমে গেছে’—এমন মন্তব্য করেছেন ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অভাববোধ বাস্তব ও অনুমিত। সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু লোক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু নেতা বা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় না, কর্মী পাওয়া যায় না।
আতঙ্ক আছে চাঁদশী-ইল্লা-ধানডোবায়: বরিশাল জেলার গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে বেশ কিছু হিন্দু পরিবার ২০০১ সালের পর এলাকা থেকে চলে গেছে। ধানডোবা গ্রামে গিয়ে জানা যায়, মনোজ বৈদ্য তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনের দুই দিন পর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। আর ফিরে আসেননি। মনোজের প্রতিবেশী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নির্বাচনের পরদিনই বিএনপির কর্মীরা গ্রামের হিন্দু ও খ্রিষ্টানবাড়িতে আক্রমণ ও লুটপাট করেন। তাঁরা মনোজের বাড়ি থেকে গরু, ধান নিয়ে যান। পানের বরজ নষ্ট করেন।
ইল্লা গ্রামের কালীপদ দফাদার, সুবল দফাদার, মন্টু দফাদার, জয়দেব নন্দীর পরিবারও দেশ ছেড়ে চলে যায় ২০০১ সালের নির্বাচন-পরবর্তী সন্ত্রাসের কারণে। একই কারণে সুতারবাড়ি গ্রামের আদিত্য নাগ ও সুবল দে পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
৩ নম্বর চাঁদশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণকান্ত দে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর নিজের পরিবার, আত্মীয়, প্রতিবেশীসহ অনেক পরিবারে আক্রমণ, লুটপাট ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ইউনিয়ন থেকে কোনো পরিবার এলাকা ছেড়ে যায়নি। তবে অনেক পরিবারের অংশবিশেষ দেশে থাকে না। তিনি বলেন, ‘ধরেন, কোনো পরিবারে পাঁচ ভাই আছে, তাদের দুই ভাই দেশে থাকে না।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজল দেবনাথ বলেন, সম্মান রক্ষায় অনেক বাবা-মা অল্প বয়সে মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছেন, অথবা ভারতে রেখে স্কুলে বা কলেজে পড়াচ্ছেন। তবে তিনি দাবি করেন, দেশত্যাগের প্রবণতা কমেছে। শত্রু সম্পত্তি (অর্পিত সম্পত্তি) নিয়ে সরকারের উদ্যোগ পুরোপুরি সফল না হলেও সংখ্যালঘুরা আশা করছে, সম্পত্তি আর হাতছাড়া হবে না বা হাতছাড়া সম্পত্তি ফেরত পাবে। এখন বড় বড় শহরে হিন্দুরা বাড়ি করছে, ফ্ল্যাট কিনছে।
ভোলার পরিস্থিতি: বিবিএস পরিসংখ্যান বলছে, ভোলা জেলায় ২০০১ সালে হিন্দু ছিল ৭২ হাজার ২৭৫ জন। সর্বশেষ শুমারিতে দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬১ হাজার ১৬২ জনে। ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের নলগোড়া গ্রামের সাধু সিংয়ের বাড়িতে ছিল ছয়টি পরিবার। পরিবারের প্রধান ছিলেন লক্ষ্মী নারায়ণ সিং। লক্ষ্মী নারায়ণ ১৯৯২ সালের পরে জমিজমা বিক্রি করে চলে যান। ওই গ্রামের লোকজন প্রথম আলোকে বলেছেন, ১৯৯২ সালের পর থেকে হিন্দু পরিবারগুলো চলে যেতে শুরু করে। ওই সময় বাররি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছিল, তাতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার হয় এই গ্রামের মানুষ।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সার্বজনীন শারদীয়া দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। কৈলাশের শ্বশুরালয় থেকে মা দূর্গা এই সময় পিতৃগৃহে আগমন করবেন। এই সময় থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ শুরু হবে। জাতির মঙ্গল কামনায় সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতিবছর মহালয়ার দিন দেবী দুর্গা শ্বশুরালয় থেকে পিতৃগৃহে আসেন। আসুরিক শক্তির বিনাশ আর পার্থিব শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি লাভের জন্য হিন্দু সম্প্রদায় যুগ যুগ ধরে মা দুর্গার এভাবেই আরাধনা করে আসছে। প্রতিবছরের মত এ বছরও শারদীয়া দুর্গা উৎসব উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে করা হয়েছিল ব্যাপক আয়োজন। প্রতিবছর বাংলাদেশে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে। এ বছরও বাড়ছে প্রায় ৫ শতাধিক পূজামণ্ডপ। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এবং উদ্বেগের বিষয় হলো, দেশে প্রতিবছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা বাড়লেও ভক্ত বা পূজারীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কমে যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা প্রতিবছর পূজামণ্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কিন্তু পাশাপাশি তাঁরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করছেন।
বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের এই ভয়ঙ্কর চিত্র, সেই হিসেবে ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চিত্রটা একেবারেই উল্টো । বীরভূম জেলার একটি মুসলিম প্রধান গ্রামে শুনলাম মুসলমানরা প্রশাসনকে চাপ দিয়ে দুর্গাপূজা করতে দেননি। ৩০০ হিন্দু পরিবার এবার দুর্গাপূজা করার থেকে বঞ্চিত হল । এতো গেল একটি চিত্র , আরেকটি চিত্র তুলে ধরছি, ঘটনা স্হান নন্দী গ্রাম । ঈদের আগে মুসলিমরা গরু কেটে বালতি বালতি রক্ত হিন্দুদের পুকুরে এনে ফেলল । এরাই আবার দুর্গাপূজার আগে দুর্গাপূজা করবে বলে প্রশাসকের কাছে পার্মিশান নিয়ে গেল । উত্তর প্রদেশে এক মুসলিম গরুর মাংস খেয়েছে তাই কিছু হিন্দু তাকে হত্যা করল এর জন্য দেশ জুড়ে বিদ্বজ্জন রা প্রতিবাদ তুললেন । একের পর এক পুরষ্কার ফেরত দিলেন । ধর্মতলায় বসে গরুর মাংস খেয়ে প্রতিবাদও করলেন ।
সাধু........... সাধু.........এই না হলে ভারতবর্ষ !!!!!! সাম্প্রদায়িক ঐক্যের জীবন্ত উদাহরণ ।
আমার একটা প্রশ্ন আছে বিদ্বজ্জনদের উদ্দেশে। শিল্পী সাহিত্যিকদের কাছে দেশ কালের গণ্ডি বলে কিছু থাকে না জানি । আপনারা এই ঘটনাটা নিয়ে কি ভাবছেন । কাশ্মীরে হিন্দু পণ্ডিতদের যখন কাশ্মীর থেকে মেরে তাড়ান হল তখন তাদের প্রতিবাদ কোথায় ছিল ? (কলহনের রাজতরঙ্গিনী পড়ে জেনেছি কাশ্মীর হিন্দু প্রধান রাজ্য ছিল) । মুম্বাই হামলায় এতগুলো নিরপরাধ মানুষের যে প্রাণ গেল তখন তাদের প্রতিবাদ কোথায় ছিল ? ফ্রান্সে জঙ্গি হামলায় এত গুলো নিরীহ লোকের যে প্রাণ গেল তখনও সেই হিসাবে কোন প্রতিবাদ নেই কেন?
যদি প্রতিবাদ করতেই হয় সাম্প্রদায়িক ঐক্যের কথা মাথায় রেখে প্রতিবাদ করুন। কোন বিশেষ সম্প্রদায়কে গুরুত্ব দিলে আমাদের মতন বৈচিত্র্যময় দেশে সমস্যা দেখা দেবে । তখন আপনারা সামনে থাকবেন তো ? না সময় মতন গা ঢাকা দেবেন ?
ভারতে মুসলিমদের ওপর কোন অত্যাচার হলে বুদ্ধিজীবীরা গরুর মাংস খেয়ে প্রতিবাদ করেন , পুরষ্কার ফেরত দেন । বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হলে বুদ্ধিজীবীরা শূয়োর খেয়ে প্রতিবাদ করবেন তা ভাবাই যায় না । ভারতবর্ষে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উচ্চপদ এবং সেনাবাহিনীতে মুসলিমরা ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন কিন্তু মুসলিমপ্রধান দেশ গুলিতে কটা উচ্চপদ কিংবা সেনাবাহিনীতে কজন হিন্দু ছিলেন ?
পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে মানুষ ঢুকছে, সঙ্গে বেশ কিছু ISIS মার্কা জিনিস পত্রও ঢুকছে । দেশটা যে কিছু দিনের মধ্যে KHURASAN এ না পরিনত হয় । যা ISIS জঙ্গীদের স্বপ্ন । এটাই একটা ভয় । তখন কিন্তু ভারতীয় মুসলিমরাও ভালো থাকবে না। কারণ এরা মধ্য এশিয়ায় মুসলিমদের কি অবস্থা করছে তা আমাদের সবার জানা । তসলিমা নাসরিন কে লজ্জা লেখার অপরাধে নিজ দেশ ত্যাগ করতে হল । নিজ দেশে তার ঠাই নেই , সলমন রুশদির THE SATANIC VERSES কে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হল ইসলাম বিরোধিতার অপরাধে । কিন্তু আমাদের দেশে হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে মুসলিম দের চেয়েও সেকুরা যেভাবে অপপ্রচার চালান তাদের দেশ থেকে দূর করা তো অনেক পরের কথা , তাদের কোন লেখাকেই নিষিদ্ধ করা হয় না । এই দেশে শুধু পলিটিক্যাল পার্টির বিরুদ্ধে কিছু বলা বা লেখা যাবে না । হিন্দু ধর্মকে যে ভাবে আক্রমনের সম্মুখিন হতে হয় নিজের দেশে মুসলিম ধর্মকে পাকিস্তা কিংবা বাংলাদেশে কেউ যদি এই ভাবে আক্রমন করত তাহলে তার ঘাড়েমাথাটা থাকত ?
নিছকই রাজনীতি নয় , সভ্য সমাজে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির প্রকৃত অবস্থানই দেশ এবং জাতির পক্ষে মঙ্গলজনক আসুন সেই বার্তাই তুলে ধরি মুখোস খুলে ।
Tags:
প্রতিবেদন