পূজা মৈত্র

           

অফিসের ল্যান্ডলাইন থেকে লাঞ্চব্রেকে বউ-এর ফোনে কল করতে গিয়ে চমকাল শুভদীপ। মোবাইল ব্যস্ত। কালকেও এমন সময় –ই ব্যস্ত ছিল মোবাইল। সোমবারেও। এই নিয়ে পুরো হপ্তায় তিনদিন। কার সাথে কথা বলে এত? জিজ্ঞাসা করলে বলবে,”কই? ব্যস্ত ছিল না তো?”মিথ্যাবাদী একটা। নেটওয়ার্ক প্রব্লেমের দোহাই দেবে। শুভদীপ কিছু বোঝে না যেন!ঢলানি মেয়েছেলে একটা। কোন নাগর জুটিয়েছে নিশ্চয়। মাসতিনেক আগেও প্রায়ই ফোন ব্যস্ত পেত শুভদীপ। পরপর চার-পাঁচ দিন পাওয়ার পর একদিন আর ধৈর্য বাঁধ মানেনি।  রোজ বাড়ি ফিরেই প্রশ্ন করত,”কার সাথে কথা বলছিলে?”রোজই ভালমানুষের মত মুখ করে উত্তর আসত,”কারোর সাথে না। সত্যি বলছি।“মিথ্যাটাকে ঢাকার জন্যই সত্যি বলছি বলার দরকার হত। এমন মুখ করে বলত যেন ভাজা মাছটি উলটে খেতে জানে না। মোবাইল কেড়ে নিয়ে চেক করত শুভদীপ।কিন্তু কললিস্টে কিছুই পেত না। পাবেই বা কি করে? ডিলিট করে রাখে সব। যদি কানেকশনটা পোস্টপেইড হত কললিস্ট বার করে আনা যেত।প্রিপেড কানেকশনে সেই উপায় নেই। এবার পোস্টপেইড-ই করিয়ে নেবে কানেকশনটা।সিমটা শুভদীপের-ই নামে। আবার সেই এক রোগ শুরু হয়েছে।

            আগের বার পরপর ক’দিন মিথ্যা শুনে মাথায় আগুন চড়ে গিয়েছিল শুভদীপের। মিথ্যা ও সহ্য করতে পারে না। তার উপর ভালোমানুষের মত মুখ করে নির্জলা মিথ্যা!বিয়ের সময়-ই বন্ধুবান্ধবেরা সাবধান করে দিয়েছিল। এত সুন্দরী মেয়ে বিয়ে করলে জ্বলে মরতে হবে। ঠিক তাই হচ্ছে। শুভদীপের মা-বাবা নেই। সরকারী অফিসে কেরাণীর কাজটা পেলে মাসিমণি দেখেশুনে সম্বন্ধ করে বিয়ে দেয়। গরিবের মেয়ে,বেশি লেখাপড়া শেখেনি। গ্রামের মেয়ে,ঘরকন্নার কাজ ভাল জানে। সংসার করতে পারবে এটা ছিল মাসিমণির পছন্দের কারণ। শুভদীপ পছন্দ করেছিল একেবারে অন্য কারণে। সেটা হল রূপ। বৌভাতের দিন সবাই একবাক্যে বলেছিল পছন্দে আছে শুভদীপের। বন্ধুবান্ধব,অফিস কলিগ সবার-ই একমত। পণ পায়নি তাতে কী হয়েছে? যা বউ পেয়েছে! বাঁদরের গলায় মুক্তোর মালা এমনটাও বলেছিল অনেকে। কথাটাকে অত্যুক্তি ভেবেছিল শুভদীপ। ওকে মোটের উপর চলনসই দেখতে। বেশ লম্বা,বাদামী রায়ের রং,চওড়া চেহার।  মুখশ্রীটা সুন্দর না হলেও ফেলে দেবার মতও নয়।পুরুষমানুষের সুপুরুষ চেহারাটাই অনেক। মুখশ্রীর আর কত দাম!বৌভাতের  দিন কথাটা গায়ে না মাখলেও পরের ছয়মাস পদেপদে হোঁচট খেয়েছে ও। বউকে নিয়ে কেষ্টপুরে এককামরার ভাড়ার ফ্ল্যাটে চলে এসেছে।  অফিস এসপ্ল্যানেড। রোজরোজ নৈহাটি থেকে ডেলি প্যাসেঞ্জারি আর পোষাচ্ছিল না। এখন বিয়ে করে রেঁধে ভাত দেবার লোকও হয়েছে। এইখানে এসে ইস্তক হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে শুভদীপ যে কি ভুলটাই না করেছে। পথেঘাটে বউওকে নিয়ে বেরোবার জো নেই। জোড়াজোড়া চোখ হাঁ করে গিলতে থাকে। ব্যালকনিতে কাপড় মেলতে গেলেও আশেপাশের বাড়ি,ফ্ল্যাটের জানলা দিয়ে উঁকিঝুঁকি। পারতপক্ষে ওকে নিয়ে বাইরে বার হয় না তাই। কাপড়জামা তো আর ঘরে মেলতে বলতে পারে না! পারলে সেটাই বলত শুভদীপ। ওর বউকে লোকে হাঁ করে গিলবে,ভাবলেই অসহ্য রাগ হয়। নোংরা লোকজন যতসব। নিজের বউকে দ্যাখ না গিয়ে। আমি কি তোদের বউকে দেখতে যাই? আর ষাট পঁয়ষট্টি বছরের বুড়ো মিনসেগুলোরও রস কম নয়। মেয়ের বয়সী মেয়ে,তাও লোভে চোখ চকচক করে। ইতর অসভ্যের দল!অফিসে এসেও শান্তিতে থাকতে পারে না শুভদীপ। সবসময় মনে হয় সারা দুনিয়ার সমস্ত পুরুষ হাঁ করে গিলতে আসছে ওর বউকে। সত্যি-ই তো।একা একা ফ্ল্যাটে থাকে । গ্রামের মেয়ে।শহরের চালচলন জানেই না। লেখাপড়াও মাধ্যমিক ব্যাক। বয়সটাও কাঁচা।মাত্র উনিশ। কত বাহানায় লোক আসতে পারে।দুধওয়ালা,পেপারওয়ালা,ধোপা,কলের মিস্ত্রি-যদি কিছু হয়ে যায়?

              প্রথম ক’মাস কিছু হবার আশঙ্কা করত শুভদীপ। এখন আশঙ্কা করে,যদি ওর বউ কিছু করে ফেলে? মেয়েছেলেটার চরিত্র ভাল নয়-বেশ বুঝতে পারে শুভদীপ। ছয়মাস বিয়ে হয়েছে-এখনো ভাল করে কথা বলে না। হ্যাঁ,হু,না-কি এটা আনতে হবে,সেটা নেই-এই। ব্যাস।সোহাগ,আদর,আব্দার এসবের একটা কথাও বলতে জানে না। প্রথমে মনে হত লজ্জা। শুভদীপ নয় নয় করে ন’বছরের বড়। লজ্জা হতেই পারে। লজ্জা কাটাবার অনেক চেষ্টা করেছে শুভদীপ। কাছে এসে,গল্প করে,ভালবেসে-কিন্তু কিছুতেই কিছু তাপউত্তাপ নেই তার। সবেতেই কাঠকাঠ যেন।বিয়েটা ওর বাড়ির লোক জোরজবরদস্তি দেয়নি তো? আগের কোন ইয়ারটিয়ার? হতেই পারে।আর হবে না-ই বা কেন?এত সুন্দরী মেয়ের প্রেমিক থাকবে না,তা কি হয়? কিন্তু সে কে? সেই মালটাই কি রোজ কল করে? তাহলে শুভদীপ যখন থাকে না-তখন ফ্ল্যাটেও আসতে পারে তো!আসলে কি করে জানবে শুভদীপ? কিচ্ছু ভাললাগে না ওর এখন। এমনকি বউ-এর সাথে শরীরশরীর খেলতেও মন হয় না। কলকাতায় এসে প্রথম প্রথম শুভদীপের ইচ্ছেরা ডানা মেলেছিল। নৈহাটিতে বারো ঘর এক উঠোনের বাড়িতে থাকত-চারিদিকে গিজগিজ করত শরিক। কাকিমা-জেঠিমা-বৌদির দল বউকে ঘিরে রাখত। যখন চাইত,তখন পাওয়ার উপায় ছিল না। কলকাতায় এসে থেকে সেসব বাধা নেই। শুভদীপ নিজেকে আটকায়নি আর। মাসতিনেক আগেও অফিস থেকে ফিরেই বউকে পাঁজাকোলা করে সোজা বিছানায় নিয়ে যেত শুভদীপ।হাত মুখ ধোওয়ার অবকাশটুকেও পেত না। আবার অফিসে যাবার সময় জামাকাপড় পরতে পরতে যদি মনে হত কিছু খুঁজে না পাওয়ার অছিলায় বউকে ডেকে নিত। তারপর বিব্রত,ব্যস্তসমস্ত আলমারি হাতড়ানো বউকে প্রস্তুত হবার সময় না দিয়েই আক্রমণ করে বসত।বিস্মিত,লজ্জিত মুখটা দেখে ভারি ভাল লাগত। কামনা বেড়ে যেত। এ ব্যাপারে না কখনো শুনতে হয়নি শুভদীপকে।এখনো হয় না।কিন্তু এখন শুভদীপের মন চায় না। রাতে নাম কা ওয়াস্তে একবার কাছে আসে তবুও।  সে মিলনে মন জাগে না। গতানুগতিক মিলন।কোন শরীরশরীর খেলা নেই তাতে। আজকাল সঙ্গমের মধ্যেও অন্য চিন্তা মনে ভিড় করে শুভদীপের। অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখতে পায় সে। রাতে ঘুমিয়েও স্বপ্নে সেইসব ছবি ভেসে ওঠে।এক সুন্দর যুবককে দেখে শুভদীপ। সর্বার্থে সুন্দর। ওর বউ-এর মত-ই সুন্দর। যুবকটি শুভদীপের ফ্ল্যাটে,শুভদীপের বেডরুমে,শুভদীপের বিছানাতেই ওর বউকে ভোগ করতে থাকে,সারারাত। ধড়মড়িয়ে উঠে বসে শুভদীপ। দেখে বউ দিব্যি ঘুমাচ্ছে। নাকি ভান? নাহ।ঘুমাচ্ছে। শুভদীপ খুঁটিয়ে দেখে ওকে।বিশ্বাসঘাতিনীর প্রতি ঘেন্নায় মন ভরে যায়। সব জেনেবুঝে শুধু প্রমাণের অভাবে এর সাথে থাকছে শুভদীপ। এত চালাক এই মেয়েটা-উফ! যেদিন হাতেনাতে ধরবে সেদিন সব সম্পর্ক চুকিয়ে দেবে।এই সুন্দর মুখের নীচে যে এত নীচু একটা মন বাস করে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। ভুল করেছে শুভদীপ। এই বিয়েটা করেই ভুল করেছে। সুন্দরী মেয়ে মাত্রেই কুলটা হয়।কি করবে? গলা টিপে মেরে ফেলবে? মাঝামাঝে এমনটাও ভাবে শুভদীপ। সব ল্যাটা চুকে যায় তাহলে।কিন্তু না।প্রমাণ করে তবেই শাস্তি দেবে শুভদীপ।  

                  আগেরবার রোজকারের মিথ্যায় রাগে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল শুভদীপ। বাড়ি ফিরেই প্রশ্ন করেছিল,”আজকে ফোন বিজি ছিল কেন?”শান্ত গলায় উত্তর এসেছিল,” কোন ফোনই তো আসেনি!”নিষ্পাপ মুখে মিথ্যা বলাকে আর মেনে নেয়নি শুভদীপ।হিড়হিড় করে টানতে টানতে বেডরুমে নিয়ে গিয়েছিল,”শুধু মিথ্যা,না? আজ সব মিথ্যা ঘোচাচ্ছি।“চুলের মুঠি টেনে ধরেছিল।“ আমি সত্যি-ই বলছি।“” বাপের বাড়ি থেকে আসে কল? লুকিয়ো না।“ “লুকাচ্ছি না কিছুই। বাবা কল করেনি।“” তাহলে কে?”” কেউ না।“” শালি হারামজাদি-ইয়ারটা কে তোর? নাম বল।“চমকে উঠেছিল বউ। শুভদীপের মুখে এমন ভাষা শুনে নাকি ইয়ারের প্রসঙ্গ চলে আসাতে বুঝতে পারেনি শুভদীপ।“ কে ইয়ার?” “ বলবি না তাই তো?”এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেছিল শুভদীপ। একটা কথাও বার করতে পারেনি।তিনদিন কথা বন্ধ রেখেছিল।তাও উত্তর আসেনি। তবে লাঞ্চ ব্রেকে কল করলে আর বিজি টোন আসত না। ওষুধে কাজ দিয়েছে বুঝে খুশি হয়েছিল। তবে কল করার সময়টা বদলেও ফেলতে পারে। লাঞ্চের আগে পরেও কল করে চেক করে নিত তাই,নাহ।রিং বাজত। তবুও অশান্তির কাঁটাটা মন থেকে যায়নি। সম্পর্কটাও আর আগের মত হয়নি। এই তিনমাসে একটাও সিএল নেয়নি শুভদীপ। বিয়ের পরের তিনমাসে প্রায়ই নিত।জ্বরের বাহানায় অফিস যেত না। তারপর সারাদিন……আবার একই অসভ্যতা শুরু করেছে। শুভদীপের সন্দেহ তাহলে ঠিক-ই ছিল।কিচ্ছু করবে না শুভদীপ। মুখেও কিছু বলবে না। কেবল অজান্তে বউ-এর কানেকশনটা পোস্টপেইড করে দেবে।

                    যেমন ভাবা তেমন কাজ। কানেকশনটা বউকে না জানিয়েই পোস্টপেইড করে দিয়েছে শুভদীপ। সপ্তাহ দুয়েক হয়েও গেল।এই ক’দিনে দিন পাঁচেক ফোন ব্যস্ত পেয়েছে। একটাও প্রশ্ন করেওনি। আর ক’দিন পরেই সম্পুর্ণ তথ্য হাতে পাবে। মাথাটা ঠান্ডা হয়েছে অনেক। হাতেনাতে ধরে দুজনকেই এমন শিক্ষা দেবে যাতে জীবনে কাউকে ঠকাবার সাহস না করে। রাতে শুয়েশুয়ে এসব-ই ভাবছিল। গরমকাল। তাতে কারেন্ট নেই।খুব ঘামছিল শুভদীপ। পাশে তাকিয়ে দেখল বউ নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। গ্রামের মেয়ে,ঘামে গরমে ভ্রূক্ষেপ নেই। কোন কিছুতেই কি আছে? শুভদীপ আগে রোজরোজ এতবার করে হামলে পড়তে ওর উপর। এখন সারাদিনে একবারও হয় কি হয়না-নিজে থেকে কাছে আসার প্রশ্নই নেই।সেসব ধাতেই নেই।স্বামীর মনের মধ্যে কি চলছে তা সরাসরি জানতে চাওয়া তো দূর অস্ত।রাঁধছে,খাচ্ছে,ঘুমাচ্ছে-ব্যাস। আর কী চাই? বাকি সবকিছুর জন্য প্রেমিক তো রয়েইছে। বদমাইশের ধাড়ি। এই আজকেই সারাদিনে একবার শুভদীপ ছুঁয়েই দেখেনি ওকে। তাতে কোন হেলদোল নেই। দুপুরে ইয়ার এসেছিল হয়ত। এর মধ্যে দু’দিন অফিস থেকে না বলে বাড়ি চলে এসেছে শুভদীপ। একদিন দুপুরে,একদিন বিকালে। কিন্তু কাউকে পায়নি । নিস্ফল একটা রাগ মনের মধ্যে জেগে উঠল। ওকে টেক্কা দিয়ে যাচ্ছে এইটুকু একটা মেয়ে। আর শুভদীপ দিনের পর দিন বোকা বনে যাচ্ছে। হাতের মুঠোয় এসেও ফস্কে যাচ্ছে প্রমাণ।ছেলেটার চেহারা আর একবার ভেসে উঠল মনের পর্দায়।শালা!খাচ্ছে নিজে আর বিল হবে শুভদীপের নামে।চাঁদের আলো জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকছিল।জানলার পাশেই খাট।টপ ফ্লোর।আশেপাশের কোন বাড়ীই এত উঁচু নয়। তাই জানলার কাছে খাট রাখাই যায়। উঠে দাঁড়াল শুভদীপ। সিগারেট ধরাল।গ্রিলের পাশটায় দাঁড়িয়ে ধোঁয়া ছাড়তে থাকল। মাথাটা হাল্কা হবার বদলে জট পাকিয়ে গেল আরও। ধ্যাত!আসট্রেতে আধ খাওয়া সিগারেট্টা গুঁজল। এর থেকে বিয়ের আগের লাইফটাই ভাল ছিল। এত অশান্তির মধ্যে আগে হলে ফেসবুকে মিলির সাথে সেক্স চ্যাট করত।বিয়ের পর আর সেসব ভাললাগে না। নিজের সব ছেড়ে দিয়েছে। বাড়ি,শহর,বন্ধুবান্ধব,আড্ডা।অফিসেও আড্ডা মারে না। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফেরে। বদলে কি পাচ্ছে? মিথ্যা।বিছানায় শোওয়া শরীরটাকে দেখে ভীষণ রাগ হল। ঘেন্না হল।আর কি আশ্চর্য-শুভদীপের কামনা জেগে উঠল তখনই।বিছানায় ঘুমন্ত শরীরটার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। প্রবল পরাক্রমে কামড় বসাল স্তনবৃন্তে ।  ককিয়ে উঠল বউ। শুভদীপ কান দিল না।

                   পোস্টপেইড বিল আর কললিস্ট নির্দিষ্ট দিনেই হাতে এল। এর মধ্যে আর একটা সমস্যা হয়েছে। শরীর আর জাগছে না। যত বিল আসার দিন এগিয়ে আসছিল ততই কেমন যেন বিকর্ষিত হচ্ছিল শুভদীপ। সন্দেহটা আরও গভীর হয়েছে স্তনবৃন্তে দাঁতের দাগ দেখে।শুভদীপ তো ওভাবে কামড়ায় না। তাহলে নির্ঘাত…কথা বাড়ায়নি। পোস্টপেইডের বিলটা দেখিয়ে ঘাড় ধাক্কা দেবে। কললিস্টটা পেয়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল শুভদীপ। কললিস্টে কোন অবাঞ্ছিত নাম্বার নেই।  শুধু শুভদীপের ফোন-ই এসেছে গেছে। তার মানে?? ফোন কোম্পানিও কি ষড়যন্ত্র করল নাকি? নাকি সত্যি নেটওয়ার্ক সমস্যা বলে বিজি টোন আসে। চটজলদি ফোনটা হাতে নিয়ে কল করল শুভদীপ,” দিস নাম্বার ইস সুইচড অফ।“শুভদীপ চমকে উঠল। কল করতেই থাকল। প্রতিবার একই কথা। বিজি টোনটা কই?তন্নতন্ন করে খুঁজল শুভদীপ। একবার,দু’বার,দশবার……প্রতিবার-ই এক উত্তর বলে গেল বিজি টোনটা হারিয়ে গেছে চিরতরে।


পরিচিতি 

Previous Post Next Post