পৃথা রায় চৌধুরী

preetha













কনক্ল্যুশান 



সন্ধানে তোমার হৃদস্পন্দন...
তুমি টের পাওনা,
সমান সমান পথে হেঁটে গেছি
অবিরত ওই ঘূর্ণিঝড়ের আবর্তে।

তুমি যখন স্থানীয়ের পক্ষে গলা ফাটাতে,
ধ্বজা ওড়াতাম ব্র্যান্ড নেমের;
জিতে যেতো যদিও আমার কনকনে ঠাণ্ডা জেদ।
ঠোঁটের ঘেরাটোপে জড়াতে
ঠাণ্ডা পানীয়ের বোতলের ঠোঁট,
ঠিক সেভাবেই, যেভাবে...।

সশব্দে পেরিয়ে যেতো রেলের প্রেত,
কামিজের কোণা টেনে
বসিয়ে রাখতে সেই পাটকিলে বেঞ্চে।
সটান শোয়া অবস্থায়, লাল টি-শার্ট,
গেরুয়া সিক্স পকেট পাজামা।

লজ্জা পেতে না এভাবে আসতে।
আচ্ছা, প্রেমিকার সাথে দেখা করতে এলেও
সাজুগুজু করার কথা তোমার মাথাতেই আসতো না।

জানতে, যেমনই থাকো,
বিড়িই কামড়াও, কি চ্যান্সেলার,
দেখতাম শুধু তোমার... তোমার... তোমার... কি যেন?
কিই বা দেখতাম? রূপ? নাহ্‌... গুণ?
ধুস্‌! তবে... নাহ্‌ নাহ্‌, শুধুই জানতাম, ভালোবাসি।

খেলা করতে এলে, তারপর বাসতে,
তারপর বাসো না, ঘৃণা উগরোও।
কিসের ঘৃণা ভেবে দেখেছো?

ঠিক আমার আমিত্বকে তুমি সহ্য করতে পারো না।
আঙ্গুল তুলে বললে, "তুমিই আদতে কর্কট।"
বেশ তো, তাই নাহয় হোলো।

কিন্তু, সেদিনের সূর্যাস্ত দেখে যখন লিখলে,
"কমলা সূর্য চত্বর ছাড়ালো..."
সেদিন ক্যামেরার লেন্সের সব ঝলক সিন্দুকে তুলে রেখেছি;
আপাততঃ তালা দেওয়া থাক।

ঘুরে এসো,
স্তিমিত হয়ে এসেছে চার্চের ঘন্টা,
সিঁড়ি উঠতে তোমার হাঁফ, তোমার কষ্ট,
অথচ আমার কোন আজগুবি স্বপ্নের সেই চার্চ তুমি খুঁজে বার করবেই।

মেলাচ্ছি, অঙ্কে কাঁচা ছিলাম না কখনো,
অথচ, এই অঙ্কের উত্তর, কিছুতেই যেন মেলে না।
ওই তো দক্ষিণ দিক থেকে ছুটে আসছে শেষ অঙ্কের ড্রপসিন।

ড্রপসিন... প্রেক্ষাগৃহের আলো তো জ্বলে উঠলো না ফের!
উপেক্ষা, তাচ্ছিল্য, তামাশা তোমার জীবনে
ছায়া তোমার পাশেই হাঁটে তো?


Previous Post Next Post