থুঃ
চোরের মতো ঘরে তুলিস- গেস্ট হাউসে- ডাকবাংলোয়-
তারপরে তো ডাকাত সাজিস
তর সয়না একটুকুও- হ্যাঁচকা টানে খিল ছিঁড়ে দিস
ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার উপর নগ্ন থাকা বেলজ্জ পশুর মতো ।
খামচে ধরিস মাংসপিন্ড নখর থাবায়
উগরে ঢালিস যেথায় যতো গরল জমা
তরল স্রোতে জোর খাটিয়ে কুয়োর ভেতর ।
ভেবে দেখিস তখন তোরা মাংসটা কার?
গরুর ? নাকি শুয়োর ? নাকি জাতের মাংস ?
কোন ধম্ম কোথায় থাকে বলতো দেখি তোদের তখন ?
আমরা যারা গরুর মতো- ঘাস পাই না মাঠে ঘাটে
মুরোদ আছে সাচ্চা পথে ঘাস জোটানোর ?
ঘাস দে বাবু- মুরোদ থাকলে ঘাস দে বাবু
খিদের পেটে জাবর কাটি একটুখানি ।
আমরা তো সব মজুরখাটি- হাটবাজারে-
ইঁটের ভাটায়- কলয়াখনি- চাবাগানে-।
ট্যাঁকের কড়ি বলতো কোথায় মাংস খাবো ?
কপাল ঠুকে পাই যদি বা পড়ে পাওয়া চোদ্দ আনায়
সবই খাবো গরু শুকর- সবই খাবো ইচ্ছে মতো
দিনদুপুরে সামনে তোদের ।
বলবিটা কী তুই রে শালা বেজম্মা কুত্তাছানা?
মুরোদ তোদের জানা আছে-
ধম্ম নিয়ে কচকচানি ঢের হয়েছে
থু দিই তোর ধম্মো কথায়-।
ধম্মো বরং তোদের চেয়ে আমরাই তো অনেক বুঝি
আমরা যারা গতর খাটাই- শরীর বেচি
তোদের মতো পশুর কাছে
ঘাস জোটাতে মদো-মাতাল ঘর ভাতারের
পয়দা করা বেটার জন্য- বেটির জন্য- আমার জন্য-
তোদের ধম্ম ধন্যি বাবু- ধন্য দিলাম- ধন্য ধন্য ।
Tags:
কবিতা