মেডুসার মাথা
সরীসৃপ জন্ম তার ছিল না কখনই
অন্ত্যেটিক্রিয়া শেষে শরীরের ভিতর
যাবতীয় যন্ত্র আর অন্ত্র যখন বাইরে
বেরিয়ে এল সংরক্ষণের প্রয়োজনে
ক্যানোপি জারে নজর এল মমির
মাথাটা হয়ে গেছে মেডুসার মাথা
নপুংশক

নপুংশক জন্ম ছিল না কখনই
পরোপকারার্থে এই তকমা প্রাপ্তি
রথ দেখা কলা বেচা সারতে গিয়ে
কবেই যেন ছেঁচে ছেঁচে গরল উঠে এল
ফুলশয্যার রাত কাটিয়ে প্র্রাক্তন
প্রেমিকার পরমার্থে হন্যে হতে হয়
তার আগে ও পরে
অসমাপ্ত অধ্যায়ের শেষ রেশটুকু টেনে টেনে
যে কাজ সে করেছে তার কোনটাই
তারা জীবনে করে নি
কারণ তাদের জীবনের ঘটনাগুলি
সততায় ঘেরা, প্রাঞ্জল
ছবিতে খালি তাকেই আঁকা যায়
যথেচ্ছভবে, যার বিরুদ্ধে
নির্দিষ্ট কোনো তথ্য হাতের কাছে নেই
তাই ঘাটে ঘাটে টোপ ফেলে দিই
যদি বঁড়শীতে মাছটা গাঁথে
হাজার হোক সে ত' মানুষই অথবা
দেবীর ছদ্মবেশে কোনো রাক্ষুসী
কড়িকোঠা

দেখতে দেখতে একটা নদীর
বারোটা হাত বেরিয়ে যায়
সেই বারো হাত কাঁকুরের তেরো হাত বীচি
এক একটা হাতে এক একটা সমুদ্র ধরে নেয়
লালা ঝরা ঝিভগুলো ঝুলতে থাকে কড়িকোঠায়
বায়না

ও বন্ধু যাইঅস না আমার মাথা খাও
তোমার তরে এনেছি ময়ূরপংখী নাও
তোমায় ডাকি অচিন পাখি শুনতে কি না পাও?
খুব হয়েছে চোখটি তুলে এবার ফিরে চাও
তোমার মন আর আমার মনে আছে অনেক মিল
তোমার কথায় হাসতে হাসতে ধরল পেটে খিল
যদি আবার ছোট হতাম বেশ হত যে তাই না ?
চল আমরা আবার খেলি এই ত' আমার বায়না
Tags:
একক কবিতা