নিয়ন্ত্রণ রেখা
মাটি দিতে হবে জল চুয়ানোর ছিদ্রে,
তা না হলে, ধীরে ধীরে তা বাড়তেই থাকবে।
অচিরেই অতিক্রম করবে
নিয়ন্ত্রণ রেখা,
তখন উচ্ছন্নে যাবে যে কোনো উদ্যোগ।
তাই, পুবাকাশে ক্রিয়াশীল থাকতে সূর্য
নামা চাই প্রস্তুতির কোদাল ও ঝুড়ি হাতে।
নালী ধরার আগেই নিতে হয় ঘায়ের চিকিৎসা,
অন্যথায় নেমে আসে অকূল বিপদ –
হেলায় হারাতে হয় হাত, পা-যুগল,
বাকি পথে পা ফেলতেই চোখে পড়বে মাথা তুলে আছে
কতো পথিক ধরার কাঁটা, নিচে গহীন গর্ত বা চোরাবালি,
দূরে তাকালে কেবল ধু ধু মরুভূমি।
এমন দুর্দিনে যারা যা করার নয়
তারাই দুর্ভেদ্য সারি বেঁধে অগ্রভাবে,
তুমি বসে কেনো? বরং ঝাঁপিয়ে পড়ে
ডুব দিয়ে তুলে আনো উদ্ধার ব্যবস্থা,
আর ভাঙ্গতে নয় গড়তে শিখাও জাতিকে।
কাঁটা-কিন্তু

যে আছে অন্যান্য অঙ্গকে দেখভালে, গত-উজ্বলতা ধরে রাখতে
খসবে না পানের চুন বা খয়ের – পাখিটা গেলেও
যার কাছে রেখে যেতে হয় ডানা মেলা সৌন্দর্যের ক'টা ফুটি ভাগ,
শুভ, অশুভ আঁচের তথ্য কড়া নেড়ে নিমেষে যে পৌঁছে দেয়
যথাযথ পক্ষ-সমূহের বিন্দুবৃত্তে –
সে-ই যদি খই ফোটা বালির ছেকায়,
কাঁটা-কিন্তু হয়ে বে-উপায় করে নিজ পুত্তুলিকে
কী দশা তাহলে সঙ্গীদের?
ডাক্তার নিজেই রোগী, কী দেবে চিকিৎসা
কিংবা ওষুধ নিজেই ভেজালের বেড়াজালে – কী দায় দেখাবে
রোগ প্রতিরোধে ?
Tags:
একক কবিতা